রাশিয়া বিশ্বকাপ
কেমন চলছে মস্কোর প্রস্তুতি?
প্রকাশিত : ১৬:১৯, ১৩ জুলাই ২০১৮
রাশিয়া বিশ্বকাপ শেষের পথে। ফাইনাল ম্যাচ উপলক্ষে প্রস্তুত হচ্ছে মস্কো ও দু দলের সমর্থকরা। ক্রোয়েশিয়ার জন্য উৎসবের মঞ্চটা বড়, প্রথমবারের মতো ফাইনালে ওঠার আনন্দে উদ্বেলিত দেশটির ফুটবল ভক্তরা। মস্কোর লুঝনিকিতে ফাইনাল, তবে উৎসব আছে শহরের বিভিন্ন জায়গায়।
ক্রেমলিন, রেড স্কয়ারের মতো জায়গাগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন ফুটবল ভক্তরা। রাশিয়ানদের মধ্যে বিশ্বকাপ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া, রাশিয়ার এক শিক্ষার্থী সাশা বিবিসিকে বলেন, `রাশিয়া গর্বিত। এখানকার পরিস্থিতি গেলো মাসে খুব সুন্দর ছিল, আমরা আসলেই গর্বিত এমন আসর আয়োজন করে।`
বিশ্বকাপ এখন শেষ বাঁশির অপেক্ষায়, তাই শেষ আমেজটুকু উপভোগ করছেন স্থানীয় ও বিভিন্ন দেশ থেকে খেলা দেখতে আসা ফুটবল ভক্তরা।
পুরো মাস জুড়ে চলা ফুটবল মেলা ক্ষান্ত হবার আগে পুরোটা মন ভরে উপভোগ করতে চান রাশিয়ানরা। তারা মনে করেন রাশিয়ার জন্য এটা অনেক বড় একটা আসর। বিভিন্ন দেশের অতিথিদের আতিথেয়তা দিয়ে তারা গর্বিত।
রাশিয়া বিশ্বকাপের এক স্বেচ্ছাসেবক দারিয়া আন্দালফ বলেন, `আমরা খুব উপভোগ করেছি। এখানে বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড় এসেছে, বিভিন্ন দেশের মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। রাশিয়ার জন্য এটা অনেক বড় ইভেন্ট। আমরা এই সময়টা মনে রাখবো।`
রাশিয়া বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় চমক ক্রোয়েশিয়া, নক আউট পর্বের ২ টি ম্যাচ পেনাল্টি শুটআউট ও একটি ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ের উত্তেজনায় পাড় করে নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠেছে ক্রোয়েটরা।
এর আগে সংখ্যায় কম দেখা গেলেও সেমিফাইনালের পর লাল সাদা জার্সির আধিক্য চোখে পড়ার মতো। একজন ক্রোয়েট নারী দারিয়া রাদালজভ বলেন, `আমি আসলেই খুব আনন্দিত, এটা আমাদের জন্য অনেক বড় কিছু। আমি বিশ্বাস করি, ক্রোয়েশিয়া জিতবে, এটা আমাদের সময়।`
ক্রোয়েশিয়ার আরেক সমর্থক মনে করেন ক্রোয়েশিয়ার মতো দেশের জন্য উপলক্ষটা অনেক বড়।
তিনি বলেন, `আমরা খুবই উত্তেজিত, লুকা মদ্রিচ শুধু আমাদের না বিশ্বে সেরা মিডফিল্ডার আমরা ওদের ওপর ভরসা রাখি। আমরা অনেক ছোট দেশ মাত্র ২৮ বছর হল স্বাধীনতার। আমরা গোটা সময়টা উপভোগ করতে চাই।`
আগামী ১৫ জুলাই মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে আয়োজিত হবে ফ্রান্স ও ক্রোয়েশিয়ার মধ্যকার বিশ্বকাপ ফাইনাল।
ফরাসি সমর্থকরা শুরু থেকেই সংখ্যায় অনেক বড় থাকলেও, এবার বাড়তে শুরু করেছে ক্রোয়েশিয় ঢল। রাশিয়ানরাও প্রস্তুত আয়োজন ও আতিথেয়তা দিয়ে। প্রশ্ন একটাই, লুঝনিকিতে কে হাসবে শেষ হাসি? ফ্রান্স নাকি ক্রোয়েশিয়া?
সূত্র: বিবিসি
একে//