কেমন হবে ঈদের নতুন পোশাক
প্রকাশিত : ১৬:৩২, ২০ মার্চ ২০২৫

আর কয়েকদিন পরই মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। আর ঈদ মানেই নতুন নতুন পোশাক। তাই তো ঈদের কেনাকাটা শুরু করেছেন অনেকেই। তবে আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে পোশাক নির্বাচন করাটা জরুরি, যাতে সারাদিন স্বস্তিতে আনন্দ উপভোগ করা যায়। এমনকি মার্কেটে যাওয়ার আগে নানা রকম পরিকল্পনা ও জিজ্ঞাসা থাকে সবার। চোখ-কান খোলা রেখে পছন্দের পোশাক খুঁজে নিতে পারেন নিজেই। চলুন জেনে নেওয়া যাক, এবারের ঈদে কেমন পোশাক আপনাকে ফ্যাশনেবল এবং আরামদায়ক রাখতে পারে।
এবারের ঈদ পড়েছে গরমের দিনে। তাই এমন কাপড় নির্বাচন করুন, যা শরীরে বাতাস চলাচলে সাহায্য করবে এবং ঘাম শোষণ করবে। সুতি, লিনেন ও তাঁতের পোশাক হবে বুদ্ধিমান নির্বাচন।
তবে রান্নাঘরে সময় কাটাতে হলে, পোশাকের নিরাপত্তার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। সিল্ক, মসলিন বা জর্জেটের মতো পোশাক এড়িয়ে চলাই ভালো, কারণ এগুলোতে আগুন লেগে যাওয়ার ঝুঁকি বেশি।
শাড়ি: ঈদের সকালে হালকা রঙের সুতি শাড়ি হতে পারে আদর্শ। টাঙ্গাইল, ব্লক প্রিন্ট বা বাটিক শাড়ি আপনাকে আরাম দেবে। বিকেলের জন্য পাতলা জর্জেট বা সাটিনের শাড়ি বেছে নিতে পারেন, যাতে থাকবে মিনিমালিস্টিক এমব্রয়ডারি বা জরির কাজ।
সালোয়ার-কামিজ: হালকা রঙের, কম কাজের সালোয়ার-কামিজ পরতে স্বস্তিদায়ক হবে। এমব্রয়ডারি বা প্রিন্টেড কামিজের সঙ্গে ম্যাচিং ওড়না যোগ করলে ফ্যাশনে আসবে নতুন মাত্রা। ঢিলেঢালা ডিজাইনের কামিজ গরমে বেশি আরামদায়ক। অনেকে পাকিস্তানি স্টাইলের কুর্তি পছন্দ করেন, যা স্টাইলিশ এবং স্বস্তিদায়ক।
পাঞ্জাবি: ঈদের নামাজে সুতি বা লিনেনের হালকা রঙের পাঞ্জাবি পরতে পারেন। সাদা, হালকা নীল, বেজ বা পেস্টেল শেডের পাঞ্জাবি আপনাকে দেবে ফ্রেশ লুক। চাইলে মিনিমাল এমব্রয়ডারি বা প্রিন্টেড ডিজাইনের পাঞ্জাবি পরেও ফ্যাশনেবল দেখাতে পারেন।
শার্ট, ফতুয়া, টি-শার্ট: নামাজের পর আরামদায়ক পোশাক বেছে নিতে পারেন। হাফ স্লিভ সুতি শার্ট, লিনেন শার্ট বা মসলিনের ফতুয়া হতে পারে উপযুক্ত। হালকা রঙ ও মিনিমাল ডিজাইনের পোশাক বেছে নিলে গরমে আরাম পাবেন।
গরমের দিনে হালকা রঙের পোশাক সবচেয়ে স্বস্তিদায়ক। সাদা, হালকা নীল, পেস্টেল পিংক, মিন্ট গ্রিন, বেজ বা হালকা হলুদ রঙের পোশাক আপনাকে গরমে স্বস্তি দেবে এবং ফ্যাশনেবল রাখবে। গাঢ় রঙের পোশাক পরলে ঘামের দাগ স্পষ্ট হতে পারে, তাই এগুলো এড়িয়ে চলাই ভালো।
সারাদিন আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সময় কাটানো, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া এবং ঘোরাঘুরির মধ্যে ঈদের আনন্দ নিহিত। তাই পোশাক নির্বাচনের সময় আরামকে গুরুত্ব দিন। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে ম্যাচিং অ্যাকসেসরিজ যোগ করতে পারেন, তবে অতিরিক্ত ভারী কিছু পরা এড়িয়ে চলাই ভালো।
ঈদের দিন পোশাক যেমনই হোক, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো, ভালোবাসা ভাগাভাগি করা এবং ঈদের আনন্দ উপভোগ করা। পোশাক সেই আনন্দেরই একটি অংশ—তাই আরাম ও ফ্যাশন দুটোকেই গুরুত্ব দিয়ে বেছে নিন আপনার ঈদের সাজ।
এমবি//