কোটা আন্দোলন: কাল সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে কালো পতাকা মিছিল
প্রকাশিত : ১১:২৫, ১ জুলাই ২০১৮ | আপডেট: ১৩:০৩, ১ জুলাই ২০১৮
ফাইল ছবি
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ও প্রজ্ঞাপন দাবিতে সারাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করেছে কোটা আন্দোলনের প্লাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। আগামীকাল সোমবার সকাল ১০ টায় সারাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে লাগাতার ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন ও অবরোধ কর্মসূচির পাশাপাশি এ কর্মসূচি পালিত হবে।
আজ রোববার সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের পক্ষ থেকে যুগ্ম আহবায়ক ফারুক হাসান এ কর্মসূচি ঘোষণা দেন। কর্মসূচির বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি একুশে টিভি অনলাইনকে বলেন, গতকাল শনিবার আমাদের পূর্বনির্ধারিত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এসময় কেন্দ্রীয় কমিটির বেশ কয়েকজন নেতাকে মারধর ও পাশবি নির্যাতন করা হয়। আমরা এর প্রতিবাদে এ কর্মসূচি ঘোষণা করছি।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার আড়াই মাসেও কোটার প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় গতকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলনের ডাক দেয় সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। সংবাদ সম্মেলন থেকে পরবর্তী আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণার কথা ছিল।
বেলা ১১ টায় পূর্বনির্ধারিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা জড়ো হলে হামলা চালানো হয়। কোটা আন্দোলনকারীদের অভিযোগ ছাত্রলীগ এ হামলা চালিয়েছে। এতে পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক নুরুল হক নুর গুরুত্বর আহত হয়। তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল ও পরে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। যদিও ছাত্রলীগ হামলায় দায় স্বীকার করে নি।
এর প্রতিবাদে আজ থেকে সারাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন ও অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। পরে অবশ্য আজ রোববার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী থাকায় এটি কর্মসূচির আওতার বাইরে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মসূচি পালনে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে একুশে টেলিভিশন অনলাইনকে অভিযোগ করেছেন সাধারন ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহবায়ক হাসান আল মামুন।
প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীদের দফায় দফায় আন্দোলন শেষে গত ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে দেওয়া ভাষণে ‘কোটাই থাকবে না’ বলে ঘোষণা দেন। এই ঘোষণাকে সাধুবাদ জানিয়ে আন্দোলন স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা। সংগঠনটির নেতারা জানান, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার আড়াই মাস অতিবাহিত হলেও কোটা সংস্কারের কোনো প্রজ্ঞাপন জারি হয়। গতকালের সংবাদ সম্মেলন থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা ছিল।
আআ / এআর
আরও পড়ুন