কোটা আন্দোলনে দায়িত্ব পালনকালে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার ইটিভির সাংবাদিক
প্রকাশিত : ২০:২৪, ২৪ জুলাই ২০২৪ | আপডেট: ১৭:৩৪, ২৫ জুলাই ২০২৪
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হয়েছেন একুশে টেলিভিশন (ইটিভি) ডিজিটাল বিভাগের প্রতিবেদক নাজমুল হক রাইয়ান।
গত ১৯ জুলাই (শুক্রবার) রাজধানীর মহাখালি রেলগেট এলাকায় কোটা আন্দোলনে মিশে যাওয়া একদল উচ্ছৃঙ্খল যুবক তাদের প্রচণ্ড মারধর করে আহত করে।
নাজমুল হক রাইয়ান জানান, বৃহস্পতিবার একটি ব্যাক্তিগত প্রয়োজনীয় কাজে আমার বাসা মোহাম্মদপুর থেকে বনানীতে যায়। ওইদিন কোটা আন্দোলনকারীদের রাস্তা অবরোধের কারণে বনানীতে বন্ধুর বাসায় থেকে যাই। এবং পরের দিন শুক্রবার বনানী থেকে আমার বন্ধুকে নিয়ে তারমোটর সাইকেলে অফিসের উদ্দেশে রওয়ানা দেই। মহাখালী পৌঁছালে একদল দুর্বৃত্ত আমাদের রাস্তা আটকে মোটর সাইকেল পুড়িয়ে দেয় ও আমাদের ওপর হামলা করে।
তিনি আরও বলেন, মেরে ফেলার উদ্দেশে বিভিন্ন দেশিয় অস্ত্র দিয়ে আমাদের মারতে থাকে। এসময় আমি মাথা ও শরীরে মারাত্মক আঘাতে আহত হয়ে পড়ে যায়, এরপর ঘটনাস্থলের কয়েকজন যুবক দুর্বৃত্তদের হাত থেকে আমাদের উদ্ধার করে।
তিনি জানান, হামলাকারীদের কাউকে আমার শিক্ষার্থী মনে হয়নি। দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করাই ছিলো তাদের উদ্দেশ্য।
পরবর্তীতে রাইয়ানকে রাজধানীর মিরপুরের আমিরা মেডিকেল এন্ড হেলথ সার্ভিসেস-এ চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ডা. মোঃ হুমায়ন কবির তালুকদার জানান, একুশে টেলিভিশনের সাংবাদিক নাজমুল হক রাইয়ান মাথা ও পিঠে আঘাত নিয়ে গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসা নিতে আসেন। সেসময় তার মাথা ও পিঠের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক আঘাতের চিহ্ন ছিলো। তখন তাকে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দিয়ে এক্সরেসহ কয়েকটি টেস্টের পরামর্শ দেওয়া হয়।
এদিকে, একুশে টেলিভিশনের ডিজিটাল বিভাগের আরেক প্রতিবেদক দীপক কুমার পালও কোটা আন্দোলনের সময় দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হয়েছেন। রাজধানীর মালিবাগ-মৌচাক এলাকায় দায়িত্ব পালনকালে তাকে ধাওয়া করে একদল উচ্ছৃঙ্খল যুবক। গত শুক্রবারের এই ঘটনায় তিনিও আহত হন।
এছাড়াও পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় একুশে টেলিভিশনের সাংবাদিক মাহমুদ হাসান, ক্যামেরাপার্সন ওয়াসিম খান ও গাড়ি চালক সোহেল দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হয়েছেন।
শনিবার (২০ জুলাই) সংবাদ সংগ্রহে রাজধানীর যাত্রাবাড়ির কাজলা এলাকায় গেলে তাদের উপর এই হামলা হয়। তারা জানিয়েছেন, ৫০ থেকে ৬০ দুর্বৃত্ত গাড়ির উপর হামলা চালায়। মারধোর করে ক্যামেরা, বুম, ট্রাইপডও গাড়ির চাবি ছিনিয়ে নেয়। তারা কোনমতে প্রাণে বাঁচলেও দুর্বৃত্তরা গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
১৯ জুলাই শুক্রবার বিকেলে ধানমণ্ডি ৩/এ থেকে ফেরার সময় মোহাম্মদপুরে দুর্বৃত্তদের ছোড়া ইটের আঘাতে আহত হন একুশে টেলিভিশনের রিপোর্টার কাজী ইফতেখারুল আলম তারেক। তিনি বলেন, কোটা আন্দোলনের পক্ষে কিছু দুর্বৃত্তরা হাতে লাঠি-সোটা এবং লোহার রড, অস্ত্র নিয়ে তেড়ে আসে। তাদের ছোড়া ইট এসে আমার পিঠে লাগে। এতে আমি আহত হই। এসময় আমার সঙ্গে থাকা দুই বন্ধু ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে আমাকে নিয়ে শ্যামলী চলে আসে।
আআ/এনআর