কোটা আন্দোলনের নেতা ফারুক গাড়ি পোড়ানো মামলায় গ্রেফতার
প্রকাশিত : ১৭:২৫, ৩ জুলাই ২০১৮
কোটা সংস্কার দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনের যুগ্ম আহবায়ক ফারুক হাসান শাহবাগ থানায় রয়েছেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান এতথ্য নিশ্চিত করছেন।
এবিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফারুককে শাহাবাগ থাকায় রাখা হয়েছে। তাকে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) একটি মোটরসাইকেল পোড়ানোর মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার আদালতে তোলা হতে পারে ।
সোমবার শহীদ মিনারে কোটা সংস্কার আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও আশেপাশের কলেজগুলোর ছাত্রলীগ নেতারা মোটরসাইকেলে দলবেঁধে এসে ফারুক হাসানসহ তিন জনকে বেধড়ক মারধর করে।
এরপর অন্য ছাত্রলীগ নেতাদের সহায়তায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সানি ফারুককে সেখান থেকে তুলে নিয়ে যায় এবং শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
তবে শাহবাগ থানা পুলিশ এ বিষয়ে কোনও তথ্য প্রকাশ করেনি। নিখোঁজ অপর দুই নেতা মাহফুজ ও জসিম উদ্দিনের ব্যাপারেও কোনও তথ্য দেয়নি পুলিশ।
তবে ফারুককে তুলে নিয়ে যাওয়া ঢাবি শাখার ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান সানি বলেন, ‘আমি তাকে সেখান থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে আসলে জনরোষ থেকে রক্ষা করেছি এবং তাকে শাহবাগ থানায় দিয়ে এসেছি। এরপর তার ব্যাপারে পুলিশ কী ভূমিকা নিয়েছে তা আমার জানা নেই।’
এর আগে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, আমরা তিনজন যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজ, ফারুক হাসান ও জসিম উদ্দিনের কোনও সন্ধান পাচ্ছি না।
তিনি দাবি করেন, ফারুক হাসানকে মারধরের পর শহীদ মিনার থেকে ও জসিম উদ্দিনকে পাবলিক লাইব্রেরির ভেতর থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও মাহফুজ নামের অপর যুগ্ম আহ্বায়ককে রাশেদ নামে এক কর্মীর বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে।
টিআর/ এআর
আরও পড়ুন