কোটা আন্দোলনের নেতা রাশেদ ফের ১০ দিনের রিমান্ডে
প্রকাশিত : ১৮:০২, ৮ জুলাই ২০১৮ | আপডেট: ১৯:৪৮, ৮ জুলাই ২০১৮
কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানের বিরুদ্ধে পৃথক দুই মামলায় পাঁচ দিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিত আজ রোববার ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম মুহাম্মাদ আসাদুজ্জামান নূর এ আদেশ দেন। এর আগে আজই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে রাশেদকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
আদালত সূত্র জানায়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় রাশেদকে পুনরায় ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, রাশেদের ফেসবুক মেসেঞ্জার, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বিকাশ, রকেটের মাধ্যমে টাকার লেনদেন হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম আদালতকে জানান, রাশেদের হিসাবে সাত লাখ টাকার লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তখন রাশেদের আইনজীবী জায়েদুর রহমান আদালতকে বলেন, এ টাকা কোনো ব্যবসায়ী দেননি। ঢাকাসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীরা এ টাকা দিয়েছেন। কেউ দিয়েছেন ১০০ টাকা, কেউবা ৫০০ টাকা। ব্যানার, ফেস্টুন, মাইকের ভাড়া বাবদ খরচ চালানোর জন্য এ টাকা দিয়েছেন আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীরা। তখন রাশেদের আইনজীবীর উদ্দেশ্যে আদালত বলেন, এ কেমন আন্দোলন যে আন্দোলন করতে সাত লাখ টাকা লাগে। রাশেদের আইনজীবী তখন আদালতকে বলেন, এ টাকা ছাত্রদের টাকা।
এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনের হামলার ঘটনায় শাহবাগ থানায় করা মামলায় রাশেদকে ১০ দিন রিমান্ড নেওয়ার আবেদন করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এ ঘটনায় রাশেদের জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে বলে রিমান্ড আবেদনে বলা হয়।
আদালত শুনানি শেষে দুই মামলায় রাশেদের ৫ দিন করে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রাশেদকে ১ জুলাই রোববার রাজধানীর ভাষানটেক থেকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরদিন তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে। আদালত রাশেদের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এসএইচ/
আরও পড়ুন