কোটা সংস্কারের দাবিতে সমর্থন শিক্ষকদের
প্রকাশিত : ১৪:২৩, ১০ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ১৫:২৯, ১০ এপ্রিল ২০১৮
সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা সংস্কারের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। শিক্ষকেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভবনে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন। তাঁরা বলেছেন, এ হামলা পূর্বপরিকল্পিত ও ন্যক্কারজনক।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভবন ও অন্যান্য ভবনে হামলাসহ উপাচার্যকে সপরিবারে হত্যার চেষ্টার প্রতিবাদে’এই মানববন্ধন হয়।
মানববন্ধনে শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাকসুদ কামাল বলেন, কোটা সংস্কারে শিক্ষার্থীদের নৈতিক দাবির প্রতি সমর্থন আছে। আগামী ৭ মের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে যেন এর সমাধান হয়, দীর্ঘায়িত যেন না হয়, সেটাই আশা করি।
অধ্যাপক জিনাত হুদা বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে দ্বিমত করব না। কিন্তু যে রক্তাক্ত প্রক্রিয়া এটা হলো, এর উদ্দেশ্য কী ছিল?
গত রোববার এবং গতকাল সোমবার কোটা সংস্কারে আন্দোলনের সময় আহত শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় সহায়তা করা হবে বলে জানান মাকসুদ কামাল। তিনি বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে যদি ভুলভ্রান্তি হয়ে থাকে, তারও নিন্দা জানাই। আন্দোলনের সময় একটি অংশ উপাচার্য ভবনে এসে হামলা চালায় এবং যে ভাষা প্রয়োগ করে, সে ভাষা কাম্য নয়। শিক্ষার্থীদের জানতে হবে শিক্ষকদের সঙ্গে কীভাবে ব্যবহার করতে হয়।
মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক আখতার হোসেন খান বলেন, আমি বিশ্বাস করি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের ওপর হামলা চালাতে পারে না। আন্দোলন যুক্তিযুক্ত থাকে ততক্ষণ, যতক্ষণ তা শান্তিপূর্ণ থাকে। কথায় কথায় উপাচার্য ও প্রক্টর অফিস ভাঙতে হবে কেন?
মোহাম্মদ সামাদ বলেন, স্বাধীন দেশে যে হামলা হয়েছে, এর বিচার চাই।
মানববন্ধনে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, এ হামলার ন্যক্কারজনক ও পূর্বপরিকল্পিত। যদি সেখানে প্রক্টোরিয়াল টিম ও অন্যান্য শিক্ষক না যেতে, তবে কী হতো জানি না। সাদেকা হালিম বলেন, কোটা সংস্কারের দাবি গণতান্ত্রিক অধিকার। শিক্ষার্থীরা তাঁদের ন্যায্য দাবি জানাতেই পারেন।
যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের শিক্ষক শান্তা তৌহিদা বলেন, আমি বিশ্বাস করি, আমাদের শিক্ষার্থীরা এ হামলা করতে পারে না। রাজনৈতিক কারণে এ হামলা হয়েছে।
/এআর /
আরও পড়ুন