কোটার সংস্কারে দেরি যে কারণে
প্রকাশিত : ২০:১৭, ৫ জুলাই ২০১৮ | আপডেট: ১৫:১০, ১৬ জুলাই ২০১৮
সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি সংস্কারে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা। আন্দোলনকারীদের দাবির মুখে গত ১১ এপ্রিল জাতীয় সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঘোষণার আড়াই মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও কোনো প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় গত ৩০ জুন আবারও আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীর চাপের মুখে কোটা পদ্ধতির বাতিল বা সংস্কারে গত ৩ জুলাই ৭ সদস্যের কমিটি গঠন করা করা হয়েছে।
কমিটি বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা, সংস্কার বা বাতিলের বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করে কোটা পদ্ধতি সংস্কার বা বাতিলের প্রয়োজন হলে তার যৌক্তিকতাসহ সুপারিশ করবে। সেই আলোকে কোটা বাতিল বা সংস্কারের বিষয়ে সমাধান আসবে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গঠিক কমিটির কোটা বাতিল বা সংস্কারে তেমন ভূমিকা থাকবে না। বিষয়টি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। কারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষাবিদসহ ওই সময়কার জনমত দেখে সরকার প্রধান কোটা বাতিলের ঘোষণা দিলেও বিষয়টির সঙ্গে রাজনীতি জড়িত।
কারণ কোটা বাতিলের পক্ষে মত বেশি থাকলেও কোটা থাকার পক্ষেও দাবি উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে সরকার বিরোধী পক্ষও রাজনীতি করছে। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে কোটা বাতিলের পক্ষে সিদ্ধান্ত এলে বিরোধীরা এটি নিয়ে রাজনীতি করে কি-না সেটি নিয়েও ভাবতে হচ্ছে সরকার ও ক্ষমতাসীন দলকে।
এদিকে কোটা বাতিল হবে নাকি সংস্কার হবে সেই বিষয়েও এখন ঐক্যমত্যে পৌছতে পারে নি সরকার ও আমলারা। সংস্কার হলে কত শতাংশ থাকবে এটি নিয়েও রয়েছে নানা মত। বর্তমানে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ। কোটা পদ্ধতির সংস্কার করে এটি কমিয়ে আনলে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তান-নাতি-নাতনিরা বিষয়টি কিভাবে নেবেন তা নিয়েও ভাবতে হচ্ছে সরকারকে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরও জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ‘স্পর্শকাতর’ বিষয়টি নিয়ে তড়িঘড়ি কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না সরকার। তাই বিষয়টি এতোদিন ঝুলে ছিল।
এদিকে কোটা আন্দোলন নিয়ে বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির অতিরিক্ত আগ্রহ দেখানোর বিষয়টি নিয়েও ভাবতে হচ্ছে সরকারকে। বিশেষ করে কোটা আন্দোলন নিয়ে সম্প্রতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক নেতার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। এই আন্দোলনে ঘি ঢেলে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে বিরোধী দল। এ বিষয়েও সরকার সতর্ক।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বুধবার (৫ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে বলেন, কোটার পেছনে রাজনীতি আছে। বিএনপি নিজে আন্দোলন করতে পারেনা। তাই কোটার উপর ভর করেছে। এদেশে সাড়ে চার দশক কোটা ছিল। বাতিল করতে হলে সময় লাগবে। কেউ বাতিলের পক্ষে। আবার কেউ বহালের পক্ষে। সরকারকে সবার কথা শুনতে হয়। তিনি আরও বলেন, শাহবাগের মোড়ে দাঁড়িয়ে বা দু’ একটা ইউনিভার্সিটির সামনে দাঁড়িয়ে আন্দোলন করলেই কোটা বাতিল হয়ে যাবে, তা হবে না। আবার কেউ এটা নিয়ে রাজনীতি করবে আর সরকার সেই রাজনীতির ফাঁদে পা দিবে তা তো হয় না।
কোটা আন্দোলন নিয়ে সরকার যে সতর্ক সেটি ফুটে উঠেছে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের বক্তব্যেও। তিনিও বুধবার এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে একটি মহল দেশের স্থিতিশীলতা নষ্টের পাঁয়তারা করছে। এ বিষয়ে সরকার সতর্ক রয়েছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর প্রশাসন ও ছাত্রলীগের মারমুখী আচরণ নিয়েও ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। শিক্ষাবিদরা বলছেন, কোটা আন্দোলককারীদের ওপর ছাত্রলীগের বিরূপ আচারণই বলে দেয় সরকার কোটা সংস্কার নিয়ে দোটানায় আছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও কথা সাহিত্যিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, কোটা সংস্কার বিষয়ে আন্দোলনকারীদের মধ্যে নতুন ভোটার রয়েছে প্রায় এক কোটির মতো। আর এই তরুণদের দাবি মেনে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘোষণারও প্রায় দুই মাস পার হয়ে গেল। তাহলে যেখানে কোটি তরুণের আবেগ, ভবিষ্যৎ জড়িত, সেখানে কিসের এই কালক্ষেপণ। ভোটের বছরে এ সমস্যার সমাধানে সরকারকে দ্রুত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে।
কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্নভাবে আন্দোলনকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল, এটি তাদের সুবিধার্থেই করা হয়েছে। এজন্য আন্দোলন চলাকালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে বলা হয়, সরকারি চাকরিতে কোটায় প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধাতালিকা থেকে শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। তাতেও সন্তুষ্ট হতে পারেনি আন্দোলনকারীরা।
এরপর থেকে সরকারের শীর্ষস্থানীয় নেতা আন্দোনল দমন ও ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য নানা ধরনের বক্তব্য দিলেও আন্দোলন দমনের ব্যর্থ হয়েছে। তারা আন্দোলনকারীদের বোঝাতে চেয়েছেন এই মুহূর্তে যদি কোটা বাতিল বা সংস্কার করা হয় তাহলে একটি অংশ এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট করতে পারে। কোটা সংস্কার বা বাতিল যে সিদ্ধান্তই সরকার গ্রহণ করুক সেই সিদ্ধান্তই হবে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, এমনও বোঝানো হয়েছে। কিন্তু কিছুতেই এ আন্দোলন থামেনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠক করে কোটাবিরোধী আন্দোলনের নেতারা। ৯ এপ্রিল সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় পরবর্তী এক মাসের মধ্যে সরকার এ সমস্যা সমাধান করবে। ততদিন পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা তাদের কর্মসূচি স্থগিত করার ঘোষণা দেয়। কিন্তু একমাসের মধ্যে এ সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্ত না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হন আন্দোলনকারীরা। তারা পুনরায় আন্দোলন শুরু করার আল্টিমেটাম দেয়।
নাম প্রকাশ করার শর্তে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সময়ক্ষেপণের মাধ্যমে সরকার চেয়েছে, কোনোভাবে আন্দোলনটি ঝুলিয়ে দিতে পারলে আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যাবেন। একবার ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে পরবর্তীতে আর এ আন্দোলন দানা বাঁধবে না, কিন্তু তা হয়নি।
সর্বশেষ গত ২৭ জুন জাতীয় সংসদে ‘সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা থাকতে হবে, কমানো যাবে না’ বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের এই বক্তব্যকে সমর্থন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘অবশ্যই, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যই তো আজ আমরা স্বাধীন। তাদের অবদানেই তো আমরা দেশ পেয়েছি। তাই কোটা থাকবে।’ এ বিষয়ে কাজ করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে প্রধান করে কমিটি করে দেওয়া হয়েছে বলেও সংসদকে জানান প্রধানমন্ত্রী।
২ জুলাই মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান, কমিটি এখনও কাজ শুরু করেনি। কারণ বিষয়টি সরকারের নীতিনির্ধারণী বিষয়।উচ্চপর্যায়ে সিদ্ধান্ত হয়ে এলে তার নেতৃত্বে গঠিত কমিটি পরের কাজগুলো করতে পারবে। বিষয়টি জটিল এবং সময় লাগবে।
সোমবার (২ জুলাই) রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে প্রধান করে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এই কমিটি গঠনের কথাই জাতীয় সংসদকে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কমিটি বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পর্যলোচনা, বাতিল ও সংস্কারের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে সুপারিশ প্রণয়ন করবে এবং ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দেবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কোটা সংস্কার বিষয়টি সরকারের ওপর মহলের বিষয়। এছাড়া বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। কারণ সরকারের উচ্চ পদস্থ ব্যাক্তিরা চান না কোটা প্রথা বিলুপ্ত হোক। এর উপর আবার সামনে জাতীয় নির্বাচন। এ নিয়ে বিরোধী দল ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে পারে। তাই ওপর মহলের নির্দেশনা ছাড়া কোনো সিদ্ধান্তই দিতে পারবে না এ কমিটি। কমিটি যে সুপারিশই করুক, তা হতে হবে ওপর মহলের পরামর্শ মোতাবেক। তাই কমিটিকে দেওয়া ১৫ দিনের সুপারিশ সম্বলিত প্রতিবেদন দেওয়া সম্ভব হবে না। এ ক্ষেত্রে কমিটি বাড়তি সময় চাইতে পারে। এতে আবার হতে পারে বিলম্ব।
গোপন সূত্রে জানা গেছে, কমিটি মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিদ্যমান ৩০ শতাংশ কোটা কমিয়ে ২০ শতাংশ রাখার সুপারিশ করতে পারে। যদি সরকার কমিটির সুপারিশ মতো ২০ শতাংশ কোটা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য রেখে সিদ্ধান্ত দেয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট হতে পারে।
এ রিটে কোটা সংস্কার হোক আর বাতিল হোক সে সিদ্ধান্ত হয়ে যেতে পারে স্থগিত। এমনটি যদি হয়, তখন আর কারোরই কিছু করার থাকবে না। সরকারের কোটা সংস্কার বা বাতিলের সিদ্ধান্ত আদালত কর্তৃক স্থগিত হলে বিদ্যমান পদ্ধতি বা বিদ্যমান কোটাই বহাল থাকবে। এমনটি হলে সরকারের ইচ্ছাই পরোক্ষভাবে বাস্তবায়ন হবে বলেই মনে করেন তারা।
এ বিষয় জানতে চাইলে শিক্ষাবিদ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ একুশে টিভি অনলাইনকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজে কোটা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন। এখনও প্রজ্ঞাপন হয়নি। শুধুমাত্র একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমার বুঝে আসে না কেন প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরেও প্রজ্ঞাপন হতে এতো দেরি হচ্ছে?
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এখন ঘোষণা দিলেন আর একবছর পরে কমিটি হলে তাহলে তো তার কথার গুরুত্ব দেওয়া দেওয়া হলো না। এর উপর আবার ছাত্রলীগ আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করছে। এতে শুধু শিক্ষার্থীর ক্ষতি হচ্ছে না, গোটা দেশের ক্ষতি হচ্ছে। আমার মনে যত দ্রুত সম্ভাব প্রজ্ঞাপন জারি করা উচিত। অনেকেই বলছে এটা অনেক জটিল ব্যাপার। বিষয়টি জটিল-ই যদি হয়ে থাকে তবে যত দ্রুত পারা যায় সহজভাবে যারা বিষয়টির সমাধান করতে পারবে তাদের দায়িত্ব দেওয়া উচিত।
এ বিষয় জানতে চাইলে চাইলে জাতীয় অধ্যাপক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিরেটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান একুশে টিভি অনলাইনকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী যখন কোটা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন অবশ্যই তা বাস্তবায়ন হবে। তবে একটু সময় লাগবে। যে কোনো বিষয় একটু প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সময় লাগে। আশা করি দ্রুতই বিষয়টির সমাধান হবে।
এবিষয় জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান একুশে টিভি অনলাইনকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কথায় আস্থা রেখে শিক্ষার্থীদের সঠিক আচারণ করতে হবে। এই মুহূর্তে অস্বদাচারণ কোনোভাবেই কাম্য নয়। প্রধানমন্ত্রী যেহেতু বলেছেন সেহেতু আশা করতে পারি কোটার বিষয়ে একটি সঠিক সমাধান হবে।
জানা গেছে, সরকারের নীতিনির্ধারণী মহলের কোনো নির্দেশনা না পাওয়ায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এতদিন কোনো কাজই শুরু করতে পারেনি। সংসদ সচিবালয় বা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তারা কোনো লিখিত নির্দেশনাও পাননি। এ কারণে সরকারের এ দু’টি মন্ত্রণালয় বা বিভাগ কোটা সংস্কারের কাজ শুরু করতে পারেনি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম বলেন, ‘সবেমাত্র কমিটি গঠিত হলো। অবশ্যই কমিটি অবিলম্বে কাজ শুরু করবে। তবে এক্ষেত্রে সরকারের পরামর্শ প্রয়োজন হতে পারে। কারণ এটি অবশ্যই ওপর মহলের বিষয়।
সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা সংস্কার বা বাতিলের বিষয়ে সুপারিশ দিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে সাত সদস্যবিশিষ্ট যে কমিটি গঠন করা হয়েছে সেই কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ বিভাগের সচিব, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ কমিটিতে সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।কিন্তু এই মুহূর্তে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব পদে কেউ নাই।তাই এ কমিটির সাচিবিক দায়িত্বপালনের জন্য সবার আগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে একজন অতিরিক্ত সচিব নিয়োগ দিতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ‘আমরা এখনও কোনো নির্দেশনা পাইনি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘কোটা পদ্ধতি বাতিলের বিষয়টি যেহেতু প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে ঘোষণা দিয়েছেন, প্রচলিত রেওয়াজ অনুযায়ী এ বিষয়ে সংসদ সচিবালয় থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে নির্দেশনা আসবে। অথবা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেও নির্দেশনা আসতে পারে।
এ প্রসঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে যেভাবে অগ্রসর হতে বলবেন, আমি সেভাবে বাকি কাজ করবো।
/ এআর /