কোন সময়ে গ্রিন টি পানে ক্ষতি বেশি?
প্রকাশিত : ১২:২৭, ২৯ জুলাই ২০১৮
সন্দেহ নেই যে গ্রিন টি বাস্তবিকই শরীরের পক্ষে উপকারি। তবে তা কখন এবং দিনে কতবার খাওয়া যাবে? সে ব্যাপারে রয়েছে চিকিৎসকদের বিধি-নিষেধ। যা না মানা হলে চা খাওয়ার উপকারের চেয়ে ক্ষতিটাই বেশি হওয়ার সম্ভাবনা। তাই গ্রিন টি পান করার আগে কতগুলি বিষয় সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা একান্ত প্রয়োজন।
দিনে কয়বার: দিনে ১-২ কাপ গ্রিন টি পান করা যায়। কিন্তু তার থেকে বেশি হলেই সমস্যা। কারণ দু কাপের বেশি গ্রিন টি পান করলে শরীরে টক্সিসিটি লেভেল বেড়ে যায়। যে কারণে লিভারের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
খালি পেটে গ্রিন টি: ভুলেও খালি পেটে গ্রিন টি খাওয়া যাবে না। কারণ এমনটা করলে পাকস্থলির ক্ষতি হতে শুরু করে। সেই কারণেই তো সব সময় ভরা পেটে গ্রিন টি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।
দুপুরে খাওয়ার পর: খাওয়ার পর পর গ্রিন টি খেলে খাবারে উপস্থিত পুষ্টিকর উপাদান ঠিক মতো শরীর দ্বারা শোষিত হয় না। ফলে দেহে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয়। সেই সঙ্গে একাধিক রোগও শরীরকে ঘিরে ধরে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, ভারি খাবার খাওয়ার ১ ঘন্টার মধ্য়ে যদি গ্রিন টি শরীরে প্রবেশ করে, তাহলে হজমে সহায়ক অ্যাসিডেরা ঠিক মতো কাজ করতে পারে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বদহজম হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
গ্রিন টি খেলে প্রস্রাবের মাত্রা বাড়ে কি না: গ্রিন টি পানের সঙ্গে প্রস্রাবের মাত্রার যোগ রয়েছে। বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে গ্রিন টি খাওয়া মাত্রা প্রস্রাবের হার স্বাভাবিকের থেকে বাড়তে শুরু করে। সেই কারণেই তো এই পানীয়টি খাওয়ার পর পর বেশি করে জল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। কারণ এমনটা না করলে দেহে জলের ঘাটতি দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
গ্রিন টি কখন পান করতে হবে: গ্রিন টি কোন সময় পান করলে শরীরে উপকারে লাগে সে বিষয়ে জানতে একাধিক গবেষণা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে দুপুর ৩ থেকে বিকাল ৫ টার মধ্যে এই চা টি পান করলে সবথেকে বেশি উপকার পাওয়া যায়। যেমন ধরুন... ১. ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে: যারা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ভুগছেন, তারা সুস্থ থাকতে নিয়মিত গ্রিন টি পান করতে পারেন। একাধিক স্টাডিতে দেখা গেছে নিয়মিত ১-২ কাপ করে এই পানীয় পান করলে শরীরে এমন কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে যে তার প্রভাবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে সময় লাগে না।
আরকে//