কোনো প্রতিবন্ধকতাই আটকাতে পারেনি দেশের অর্থনীতি
প্রকাশিত : ১১:১৭, ২৯ জুলাই ২০২৪
নানা ঘাত-প্রতিঘাত অতিক্রম করেই এতোদূর এগিয়েছে দেশের অর্থনীতি। করোনা মহামারি, বন্যা, ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা মনুষ্যসৃষ্ট প্রতিবন্ধকতা; কোনটাই আটকাতে পারেনি অর্থনীতি ও উন্নয়নের চাকা। তাই ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংস কর্মকাণ্ডের কারণে অর্থনীতিতে যে ক্ষতি হয়েছে, সেটিও দীর্ঘস্থায়ী হবে না। দেশের মানুষের উদ্যম, কর্মশক্তি ও সরকারি নীতিসহায়তায় ফের গতিশীল হবে অর্থনীতি।
সম্প্রতি কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে যে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড ঘটে, তাতে নৈরাজ্যের প্রথম ৬ দিনেই দেশের অন্তত ৭৬ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।
পলিসি রিসার্র্চ ইনস্টিটিউট পিআরআই বলছে, প্রথম ৮ দিনে সার্বিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে সোয়া লাখ কোটি টাকা। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যেও বড় ক্ষতির কথা বলছেন দেশের পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএ।
বিজিএমইএ সভাপতি এসএম মান্নান কচি বলেন, “যদি প্রণোদনা দিয়ে সহযোগিতা না করা হয় তাহলে আমাদের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। এইসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে শিল্প চালিয়ে রাখা বড় কঠিন।”
তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির অগ্রযাত্রা কখনোই মসৃণ ছিল না। নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়েই এতদূর এগিয়েছে। প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ-দুর্বিপাক নতুন কোনো ঘটনা নয়।
অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবীর বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংক যদি একটি স্পেশাল ফান্ড তৈরি করে সেক্ষেত্রে প্রথমে এসএমই খাতকে গুরুত্ব দিতে হবে। তাদেরকে খুবই সহজ শর্ত ও কম সুদে ঋণ দিতে হবে। যেটা কোভিডের সময় আমরা দেখিছে, বিরাট ফান্ড তৈরি করে দেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।”
বাংলাদেশের মানুষের উদ্যম, কর্মশক্তি, সাহসী পদক্ষেপ ও সরকারি নীতিসহায়তার ওপর ভর করে বার বার ঘুরে দাঁড়িয়েছে অর্থনীতি। সাম্প্রতিক সহিংসতায় যে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে সেটিও দীর্ঘস্থায়ী হবে না।
ড. মাহফুজ কবীর বলেন, “বাংলাদেশিদের যে অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং বাংলাদেশের যে জাতীয় ঐক্য রয়েছে, সামাজিক পুঁজি রয়েছে- সেটি হয়েছে আমাদের সবচেয়ে বড় ভরসার জায়গা। যেখানে অনেক সমস্যার মধ্যেও ব্যবসায়ীরা কখনও হাল ছেড়ে দেননি এবং সরকারও সবসময় ব্যবসায়ীদের পাশে থেকেছে, জনগণের পাশে থেকেছে। আমি মনে করি, সরকার এখনও থাকবেন কিন্তু সরকারের উপর অনেক চাপ রয়েছে।”
গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা, উন্নয়ন-অবকাঠামো ও সম্পদ ধ্বংস কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
এএইচ
আরও পড়ুন