কোরবানি পশুর বর্জ্য অপসারণে কাজ করছে ছাত্রলীগ
প্রকাশিত : ১৫:৩৯, ২২ আগস্ট ২০১৮ | আপডেট: ১৬:৫০, ২২ আগস্ট ২০১৮
কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে মাঠে নেমেছে কক্সবাজারের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আজ বুধবার দুপুর ১২টা থেকে পৌরশহরের বিমানবন্দর সড়কের পাশে পড়ে থাকা বর্জ্য অপসারণ দিয়ে এ যাত্রা শুরু করেছেন তারা।
বর্জ্য অপসারণে কাজ করতে দেখা গেছে,কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মইন উদ্দিন আহমেদ। জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেশব্যাপী চলছে ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর কোরবানির ঈদ উদযাপন। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে পাড়া-মহল্লায় দেয়া হয়েছে অসংখ্য পশু কোরবানি। গ্রামে খোলা জায়গায় পশু জবাই হলেও শহরের সংকীর্ণ এলাকায় পশু জবাই হয়েছে রাস্তার ধারে,পথের উপর।
কক্সবাজার পৌর শহরেও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। কিন্তু অনেকে জবাই করা পশুর নিথর দেহটা উঠানে কিংবা বাসাবাড়ির বারান্দায় নিয়ে মাংস কাটাকাটি ও ভাগ বসানো নিয়ে ব্যস্ত। কিন্তু বর্জ্যগুলো তৎক্ষণাত অপসারণ হয়নি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের তাপ বাড়ায় দুর্গন্ধ ছড়ানো শুরু করে বর্জ্যগুলো।
তিনি আরও জানান, পৌরসভার পরিচ্ছন্নকর্মীরা সিডিউলে উপসড়কগুলোতে কবে আসবেন তার সঠিক সময় নির্ধারণ নেই। তাই ছাত্রলীগের মইন জানান, পশু জবাই করা স্থানগুলো পরিষ্কার করে সেখানে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দুর্গন্ধ মুক্ত করার চেষ্টা করছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বিমানবন্দর সড়ক হিসেবে এটি ভিআইপি এলাকা। ঈদ উপলক্ষে বেড়াতে আসা পর্যটকরা বিমান থেকে নেমে এ সড়ক দিয়েই হোটেল ও গেস্ট হাউসে যাচ্ছে। বর্জ্যের দুর্গন্ধে পর্যটক এবং স্থানীয়রা নাকে রুমাল দিয়ে চলছে দেখে আমরা তা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে মাঠে নেমেছি।
দুপুরে এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা নিজ উদ্যোগে বাসাবাড়ি থেকে পাইপ টেনে পানি দিয়ে রাস্তায় জমে থাকা রক্ত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করছেন। পশুর নাড়ি-ভুড়ি-হাড়-বর্জ্য একটা নির্দিষ্ট স্থানে জমা করে পরে বালতি ভরে সেগুলো দূরবর্তী ডাস্টবিনে রেখে আসা হয়। মেয়রের এলাকায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বর্জ্য অপসারণে নেমেছে খবর পেয়ে অন্যান্য ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরাও কাজে নেমেপড়ে বলে জানায় স্থানীয়রা।
টিআর/
আরও পড়ুন