কোলেস্টেরল কমাতে কি ওষুধ খাওয়া উচিত?
প্রকাশিত : ১৮:৪১, ৭ অক্টোবর ২০২১ | আপডেট: ২০:০২, ৭ অক্টোবর ২০২১
কোলেস্টেরল মানেই যে ক্ষতিকর, তা কিন্তু নয়। বরং সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ কোলেস্টেরলের প্রয়োজন। কিন্তু সমস্যাটা হয় দেহে কোলেস্টেরলের পরিমাণটা বেড়ে গেলে। তখন তা হৃদরোগজনিত অসুস্থতার কারণ হয়ে ওঠে।
দেহের কোলেস্টেরলের মাত্রা কত, তা একমাত্র রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমেই জানা যায়। আর রক্তে এই কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলেই চিকিৎসকরা কোলেস্টেরল কমানোর জন্য ওষুধ দিয়ে থাকেন।
কিন্তু, কোলেস্টেরল কমাতে সত্যিই কি ওষুধ খাওয়া উচিত?
চিকিৎসকদের মতে, প্রথমেই ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। রক্তে কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে প্রথমেই পরিবর্তন আনতে হয় দৈনন্দিন খাবার-দাবারে। এরসঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিয়মিত শরীরচর্চারও প্রয়োজন। কিন্তু তারপরও যদি তেমন কোনও উন্নতি না হয়, তখনই ওষুধের কথা ভাবেন চিকিৎসকরা।
আর সেই ওষুধ কিন্তু রোগীর কোলেস্টেরলের মাত্রা ও তার অন্যান্য শারীরিক সমস্যার বিষয়ে বিস্তারিত জেনে বুঝে তবেই দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। তার আগে তারা জেনে নেন রোগীর কো-মর্বিডিটি বা হার্টের সমস্যা, ফুসফুসের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবিটিসজনিত সমস্যা রয়েছে কিনা।
কাজেই চিকিৎসক না দিলে নিজে নিজে দোকান থেকে কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধের কিনতে যাবেন না। কারণ ওষুধটির পরিমাপ ও প্রয়োজনীয়তা একেক রোগীর ক্ষেত্রে একেক রকম। অনেক সময় রোগীর একাধিক জটিলতা থাকায় চিকিৎসকেরা ‘কম্বিনেশন মেডিসিন’ও দিয়ে থাকেন।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
এছাড়াও কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধের রয়েছে নানা রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া! সাধারণত এই ধরনের ওষুধ খেলে বড়সড় ধরণের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না। তবে দেহে হাল্কা ব্যথা, পেশি ও পিঠে ব্যথা হতে পারে।
অতীত রেকর্ড থেকে জানা যায়, কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধের সেবনে খুব কম সংখ্যক রোগীর ক্ষেত্রে বমিভাব, মাথাব্যথা, লিভারের সমস্যা দেখা দিয়েছে।
তাই ওষুধ খাওয়ার পর যদি মনে হয় কোনওরকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে, তা হলে ২ সপ্তাহের মধ্যেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
এনএস/