ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

ক্যানসার চিকিৎসায় বড় অগ্রগতির খবর গবেষকদের

প্রকাশিত : ১৫:১৭, ১১ এপ্রিল ২০১৯

ক্যানসার চিকিৎসায় নতুন সাফল্যের খবর দিলেন যুক্তরাজ্যের গবেষকরা। একইসঙ্গে তারা চিকিৎসার জন্য নতুন কিছু ধারণাও নিয়ে এসেছেন।

তারা বলছেন, এখন থেকে ক্যানসারের চিকিৎসায় পুরো শরীরের জন্য ওষধ না দিয়ে শুধু আক্রান্ত কোষগুলোর চিকিৎসা সম্ভব।

ওয়েলকাম স্যাঙ্গার ইন্সটিটিউট এর একটি দল ত্রিশ ধরণের ক্যানসার থেকে ক্যানসারের কোষগুলো ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে।

এখানে ওষধ প্রয়োগ করে প্রায় ৬০০ নতুন ধরনের ঝুঁকি নিরসন করা সম্ভব হয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন।

এ মুহূর্তে ক্যানসারের চিকিৎসায় কেমোথেরাপি দেওয়া হয় এবং এর প্রতিক্রিয়ায় পুরো শরীরেই কমবেশি ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।

গবেষকদের একজন ডা. ফিওনা বেহান। তার মা ক্যানসারে দু’বার আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন।

প্রথম দফায় ডা. বেহানের মাকে যে কেমোথেরাপি দেওয়া হয়েছিলো তাতে তার হৃদযন্ত্রের ক্ষতি হয়েছিলো।

ফলে দ্বিতীয় বার তিনি যখন আবার ক্যানসার আক্রান্ত হলেন তখন চিকিৎসা নেওয়ার মতো অবস্থা আর তার ছিলো না।

ডা. বেহান বিবিসিকে বলছেন, ‘এখন যে চিকিৎসা আমরা করছি তা ক্যানসার রোগীর পুরো শরীরের চিকিৎসা। আমরা সুনির্দিষ্টভাবে ক্যানসার কোষগুলোকে চিহ্নিত করছি না।’

‘এ গবেষণায় আমরা ক্যানসার কোষগুলোর দুর্বলতম স্পটগুলোকে শনাক্ত করেছি এবং এটি আমাদের ওষধ তৈরিতে সহায়তা করছে।’

তিনি বলেন, ‘এগুলো শুধু ক্যানসার কোষগুলোরই চিকিৎসা দেবে এবং ভালো কোষগুলোকে অক্ষত রাখবে।’

জিনগত অস্বাভাবিকতা

ক্যানসার মানুষের শরীরের ভেতরের কোষগুলোকে পরিবর্তন করে দেয়। ফলে ডিএনএ নির্দেশনাও পরিবর্তন হয়ে যায়। পরে ধীরে ধীরে আক্রান্ত কোষগুলো ছড়াতে থাকে ও এক পর্যায়ে মানুষকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়।

এখন গবেষকরা বলছেন, তারা ক্যানসার জিনগুলো অকার্যকরের পথে অগ্রগতি অর্জন করেছেন এবং তারা দেখতে চেয়েছেন যে কোনগুলো বেঁচে থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

প্রায় ৩০ ধরনের ক্যানসার থেকে ল্যাবরেটরিতে বেড়ে ওঠা ৩০০টির বেশি টিউমারের জিন বাধাগ্রস্ত করেছেন তারা।

এ জন্য তারা বিশেষ ধরণের জেনেটিক টেকনোলজি ব্যবহার করেছেন, যেটি গত বছর চীনে ব্যবহৃত হয়েছিলো।

ডিএনএতে কাজ করার জন্য এটি মোটামুটি সহজ ও নতুন।

নতুন এ গবেষণা ক্যানসার চিকিৎসার জন্য যে ধারণা নিয়ে এসেছে সেটি চিন্তা করা এক দশক আগেও অসম্ভব ছিলো বলে মনে করা হচ্ছে।

জার্নাল নেচারে এ গবেষণার বিস্তারিত প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে গবেষক ৬ হাজারের মতো গুরুত্বপূর্ণ জিন চিহ্নিত করেছেন।

ডা. বেহান বলছেন, ‘আমি বুঝতে পারছি ক্যানসার সেলগুলোতে কী হচ্ছে- যাতে করে সুনির্দিষ্টভাবেই ওই কোষগুলোর দিকে বন্দুক তাক করা যায়।’

গবেষকদের প্রধান লক্ষ্য প্রত্যেকটি ধরণের ক্যানসার চিকিৎসার জন্য একটি ‘ক্যানসার ডিপেনডেন্সি ম্যাপ’ প্রণয়ন করা।

এর ফলে চিকিৎসকরা টিউমারগুলো টেস্ট করে ক্যানসার আক্রান্ত কোষগুলোকে ধ্বংসের জন্য ওষধ দিতে পারবেন।

‘এটা লেজার সাইট প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রথম পদক্ষে ‘, বিবিসিকে বলেছেন ডা. বেহান।

সূত্র: বিবিসি

একে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি