ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে হিমালয়
প্রকাশিত : ১৪:৪৮, ১৯ আগস্ট ২০২৩
অতি বৃষ্টিপাত এবং তুষারপাত কমে যাওয়ায় ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে হিমালয়। এরফলে হিমালয় অঞ্চলে বেড়েছে বন্যা, ভূমিধ্বসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ। সম্প্রতি ভারতের উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, পাকিস্তান ও নেপালের বন্যা ও ভূমিধস তারই প্রমাণ। গবেষকরা বলছেন, হিমালয় অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তন এ জন্য দায়ী।
উত্তর ভারতের হিমালয় পাদদেশের অঞ্চলগুলোতে আকস্মিক বন্যার সাথে ভূমিধস। প্রাণ হারিয়েছে বহু মানুষ। ভারত ছাড়াও বাংলাদেশ, নেপাল ও পাকিস্তানের কিছু অংশও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, হিমালয়সহ বিশ্বের পর্বতগুলোতে বৃষ্টি বেড়েছে। সেইসাথে আগে যে পরিমাণ তুষার পড়তো সে তুলনায় এখন তুষারপাত হচ্ছে না। এই পরিবর্তন পর্বতগুলোকে আরও ভয়ঙ্কর করে তুলছে।
তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণেই যে শুধু বৃষ্টিপাতই বেশি হচ্ছে তা নয় বরং তুষার ও বরফ গলে যাওয়াও দুর্যোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারি বৃষ্টির পানি মাটি আলগা করে দিচ্ছে।
এর ফলে এ বছর ভূমিধস, শিলাখন্ড ধসে পড়া ও বন্যা বেড়েছে। এবার বর্ষা শুরুর পর থেকেই ৫৫ দিনে হিমাচল প্রদেশে ১শ’ ১৩টি ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগে হিমাচলের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি পর্যটন ও আপেল বাণিজ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সিমলার সামার হিলে রেললাইনের নিচের মাটি পাহাড়ি ঢল ও কাদাপানির স্রোতে ভেসে গেছে। হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু বলেছেন, এসব ভূমিধসে অবকাঠামোর যে ক্ষতি হয়েছে তার পুননির্মাণ কঠিন চ্যালেঞ্জ।
উত্তরাখন্ডের চিত্রও একই রকম। পানিতে ভেসে গেছে বহু স্থাপনা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিবেশগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হিমালয় অঞ্চলে অপরিকল্পিত নির্মাণযজ্ঞ হচ্ছে বলেই বারবার ভূমিধস হচ্ছে। ধ্বংস করা হচ্ছে পাহাড়ের বন। ঝর্ণাধারার কাছে অবকাঠামো তৈরি করে পানির স্বাভাবিক প্রবাহকে আটকে দেওয়া হচ্ছে।
এএইচ
আরও পড়ুন