ক্রিকেটার সানির স্ত্রী নাসরিনের আত্মহত্যার চেষ্টা
প্রকাশিত : ২১:৫৮, ২৫ আগস্ট ২০১৭ | আপডেট: ২০:৪৮, ২৬ আগস্ট ২০১৭
ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন ক্রিকেটার আরাফাত সানির স্ত্রী নাসরিন সুলতানা। অচতেন অবস্থায় তাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাকে ২৪ ঘণ্টার র্পযবক্ষেণে রাখা হয়ছে। নাসরিন সুলতানার কক্ষ থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করা হয়েছে।
নাসরিনের পারবিারকি সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে মোবাইল ফোনে সানির সঙ্গে নাসরিনের কথা কাটাকাটি হয়। এরপর সবার অজান্তে ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। সকালে তাকে বিছানায় অচতেন দেখে প্রথমে আল মানার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে ধানমণ্ডির রেনেসাঁ হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে পাকস্থলি পরিষ্কার করা হয়। বর্তমানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন নাসরিন।
নাসরিন সুলতানার মা রোকসানা ইসলাম বলেন, সানির সঙ্গে ঝগড়া হইছে রাতে। এরপর ওতো ঘুমাইছিল। সকালে ডাক দিছি, আমরা ছোট মেয়ে দরজা খুলছে। নাসরিন পইরা রইছে, জ্ঞান নাই। তারপর ওর আব্বারে জানাই। এরপর সবাই মিলে হাসপাতালে নিয়া যাই।
নাসরিনের ছোট বোন শারমিন সুলতানা বলেন, রাত ১২টার দিকে একবার ঝগড়া হইছে সানির সঙ্গে। এরপর আমি ঘুমাইছি। পরে রাত তিনটার দিকে ও (নাসরিন) মোবাইল ফোনে চিল্লাচিল্লি করছিল। সকালে তাকে অচেতন দেখে সবাইকে খবর দেই। টেবিলের উপর ট্রিপটিন ট্যাবলেটের খোসা পড়ে থাকতে দেখি।
ঘুমের ট্যাবলেট খাওয়ার ব্যাপারে রেনেসাঁ হাসপাতালের ডা. প্রিয়ম তালুকদার বলেন, আমরাও ধারণা করছি ট্রিপটিন জাতীয় কিছু খেয়ে থাকতে পারে। তবে পাকস্থলি ওয়াশ করার পর খুব বেশি কিছু পাওয়া যায়নি। এখন কোনো সমস্যা নাই, তার অক্সিজেন লাগছে না বা অন্য কোনো সাপোর্ট লাগছে না। আইসিইউতে রাখা হয়েছে অবজারভেশনের জন্য। কারণ, এ ধরণের ওষুধের প্রতিক্রিয়া অনেক পড়ে শুরু হয়। আমরা ২৪ ঘণ্টা দেখার পর রোগীকে ছেড়ে দিবো।
এদিকে নাসরিনের টেবিলে পাওয়া গেছে একটি সুইসাইড নোট। সেখানে লিখা ছিল, ‘‘আব্বা, মা, দুইহাত জোর করে তোমাদের অনুরোধ করতেছি আমাকে হসপিটালে নিও না। আল্লাহর দোহাই লাগে আমাকে আমার মতো মরতে দাও…। চিঠির পরের পৃষ্ঠায় লেখা, ‘‘This is not suicide. It’s a murder. আমার আজকে এ অবস্থার জন্য শুধু সানি দায়ী। আল্লাহ যাতে ওর বিচার করে। ‘’
ফেসবুকে ভুয়া একাউন্ট খুলে ব্যক্তিগত ছবি প্রকাশের দায়ে চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি ক্রিকেটার আরাফাত সানির বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা করেন নাসরিন। সে সময় এজাহারে তিনি ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে তাদের বিয়ে হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
ওই মামলায় সানিকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। ওই মামলার রেশ কাটতে না কাটতে নাসরিন ২০ জানুয়ারি যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করেন সানির বিরুদ্ধে। বিষয়টি মীমাংসারও চেষ্টা করে উভয় পক্ষ। মীমাংসার পর্যায়ে সানি মিরপুরে বাসা নেয় এবং সেখানে নাসরিনের যাতায়াতও ছিল। কিন্তু চলতি মাসের ৭ তারিখে নাসরিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে নেওয়ার কথা থাকলেও সানি তা নেয়নি বলে জানান তার বোন শারমিন সুলতানা। এজন্য উভয়ের মধ্যে প্রায় সময় ফোনে কথা কাটাকাটি হতো বলেও জানান তিনি।
সানির মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ডব্লিউএন