ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

ক্রেতাদের কাছে চালের দাম যাচ্ছে দ্বিগুনের বেশী

প্রকাশিত : ১২:২৯, ৯ এপ্রিল ২০১৬ | আপডেট: ১২:২৯, ৯ এপ্রিল ২০১৬

Ekushey Television Ltd.

কৃষকের উৎপাদিত মিনিকেট চাল মিল মালিক আর মধ্যসত্তভোগিদের হাত ঘুরে ক্রেতাদের কাছে যাচ্ছে দ্বিগুনের বেশী দামে। এককেজি ভালো মানের মিনিকেট চাল উৎপাদন করতে কৃষকের খরচ হয় ২৫ টাকা। এই চাল মিল মালিকদের কাছে বিক্রি হচ্ছে ২৫টাকা ৯২ পয়সায়। আর মধ্যসত্তভোগিদের হাত ঘুরে এসে ভোক্তাকে কিনতে হচ্ছে ৫৫ টাকারও বেশী দরে। দেশে ফসলি জমি কমে গেলেও চাষাবাদের আধুনিক পদ্ধতি আর কৃষকের ঘাম ঝরানো শ্রমে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ন। বছরে ৩৪ মিলিয়ন মেট্রিক টন চালের চাহিদার পুরোটাই যোগান দিচ্ছেন কৃষকরা। কৃষকের শ্রমের মূল্য ছাড়াই ১ মণ ধান উৎপাদনে বীজ, সার, কীটনাশক সহ সব মিলিয়ে গড়ে খরচ পড়ে ৭শ টাকা। আর ১মণ ধান শুকানোর পর থাকে প্রায় ৩৫ কেজি। কৃষকের হাত থেকে স্থানীয় ব্যবসায়ী বা ফড়িয়া হয়ে ধান আসে চাতালে। এরপর ধান যায় আড়ৎদারদের হাতে। সেখান থেকে যায় রাইস মিলে। এখানে যন্ত্রের মাধ্যমে ধান থেকে বের করা হয় চাল। দেখা যায়, ৩৫ কেজি ধান থেকে পাওয়া যায় ২৬ কেজি চাল।  কিছু মধ্যসত্তভোগী থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে বেশিরভাগ অটোরাইস মিল মালিকরা সরাসরি কৃষক থেকে ধান ক্রয় করছেন । ৭শ টাকার ধান থেকে উৎপাদিত ২৬ কেজি চাল, মিল মালিকরা ঢাকার মকাম বা আড়ৎদারদের কাছে বিক্রি করেন ১১শ টাকার বেশী দামে।  অর্থাৎ প্রতি কেজির দাম প্রায় ৪২ টাকা। আর ঢাকার মুহাম্মদপুরে কৃষি মার্কেটের আড়তে এই চাল কেজিপ্রতি বিক্রি হয় ৪৩-৪৪ টাকায়। বিভিন্ন বাজারে ভাল মানের মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৪৬ থেকে ৫০ টাকা দরে। তবে রাজধানীর গলির দোকানে ৫৫ বা তার বেশী দামেও বিক্রি হচ্ছে মিনিকেট চাল। যদিও টিসিবির তালিকা অনুযায়ী, ভোক্তাদের  ভাল মানের মিনিকেট পাওয়ার কথা  ৪৪-৪৫ টাকায়।
Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি