ক্রেতাশূন্য বাবুরহাট (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৩:০০, ২৯ এপ্রিল ২০২১
করোনা পরিস্থিতিতে মধ্য রমজানেও ক্রেতাশূন্য দেশীয় কাপড়ের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার নরসিংদীর শেখেরচর-বাবুরহাট। ঈদ সামনে রেখে এতদিনে বেচাবিক্রি শেষ হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে হাট খোলা থাকলেও, লকডাউনের কারণে আসতে পারছেন না দূর-দূরান্তের ক্রেতারা, দুশ্চিন্তার ভাঁজ ব্যবসায়ীদের কপালে।
অন্য বছর শবে-বরাতের আগে থেকে মধ্য রমজান পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পাইকারদের পদচারণায় মুখর থাকতো শেখেরচর-বাবুরহাট। করোনার কারণে গত বছর থেকে পরিস্থিতি ভিন্ন।
শাড়ি, লুঙ্গি, থ্রি-পিস, শার্ট পিস, প্যান্ট পিস, পাঞ্জাবির কাপড়, থান কাপড়সহ দেশীয় তৈরি প্রায় সব ধরনের কাপড়ের বেশিরভাগ দোকানে ঝুলছে তালা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে খোলা হলেও দেখা মিলছে না পাইকারের।
পাইকারি বিক্রেতারা জানান, এবার গাড়িঘোড়া চলছে না, তাই আমাদের বেচাকেনা খারাপ। দোকান খুলে বসে আছি কিন্তু বেচাবিক্রি নেই। উপযুক্ত সময় যখন বেচাকেনা হবে তখনই লকডাউন। গতবছরও মন্দা গেছে এবারও মন্দা। এখন আমাদের পুরু মেরুদণ্ড ভেঙ্গে গেছে, এর ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে এবার কত বছর লাগবে তা বলা যাচ্ছে না।
লকডাউন শিথিল হলেও যাতায়াত ব্যবস্থা স্বাভাবিক না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাইকারদের।
ক্রেতারা জানান, লকডাউনে এখানে আসতে আমাদের অনেক দুর্ভোগ, খরচও বেশি। মালের দামও বেশি, আমরা যাচাই করতে পারছি না।
ক্রমাগত লোকসানে ব্যবসায়ীরা দুশ্চিন্তায়, জানান ব্যবসায়ী সংগঠনের এই নেতা।
নরসিংদী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট আলী হোসেন শিশির বলেন, আমাদের এই অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের সারাবছরের যে বিনিয়োগ, তাতে কয়েক হাজার কোটি টাকার লেনদেন এখানে হয়। রমজানের আগে থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত। রমজানের শুরুতে লকডাউনের কারণে আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে গেছে।
দেশীয় কাপড়ের ঐতিহ্যবাহী এই হাটে পাইকারি দোকানের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৫ হাজার। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ঈদ উপলক্ষে সপ্তাহে তিনদিন বসা হাটে হাজার কোটি টাকার বেচাকেনা হয়ে থাকে।
দেখুন ভিডিও :
এএইচ/ এসএ/
আরও পড়ুন