ক্লুলেস নিরব হত্যার রহস্য উদঘাটন
প্রকাশিত : ১৫:৩৬, ৬ এপ্রিল ২০২৫

রাজবাড়ীর কালুখালীতে ক্লু-লেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও আসামি গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হত্যার পর কোমরে লোহার শিকল দিয়ে প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে পদ্মায় ডুবিয়ে দেয়া হয় নিরব শেখ (১৭)র দেহ।
এ নিয়ে রোববার (৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মোছাঃ শামিম পারভীন প্রেসব্রিফিং করেন।
পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার বলেন, রাজবাড়ী জেলার কালুখালী থানার রতনদিয়া ইউনিয়নের বাগঝাপা সালেপুর এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার সাথে জড়িত মূল আসামি মোঃ মিজান শেখ (২২)কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মিজান পার্শ্ববর্তী বাগলপুর গ্রামের টেন্ডু শেখের ছেলে।
তিনি আরও বলেন, গত ২০ মার্চ রতনদিয়া ইউনিয়নের হরিনবাড়ি (মাধবপুর বাজার সংলগ্ন) এলাকার বাসিন্দা মোঃ জিয়ারুল শেখের ছেলে নিরব শেখ নিখোঁজ হয়। পরদিন রাতে একটি অজ্ঞাত নম্বর থেকে নিরবের পরিবারের কাছে ফোন আসে এবং ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। তবে কিছু সময় পর ওই ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এরপর গত ২৩ মার্চ কালুখালী থানাধীন রতনদিয়া ইউনিয়নের বাগঝাপা সালেপুর এলাকার পদ্মা নদীর পাড়ে কোমরে লোহার শিকল ও প্লাস্টিকের বস্তা বাঁধা অবস্থায় নিরব শেখের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর পরপরই নিহতের বাবা বাদী হয়ে কালুখালী থানায় অপহরণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এই ঘটনায় তার (পুলিশ সুপার)-এর নেতৃত্বে থানা পুলিশ এবং ডিবির সমন্বয়ে বিশেষ তদন্ত টিম গঠন করা হয়। তদন্তের একপর্যায়ে গোপন সূত্রের মাধ্যমে তথ্য প্রাপ্তির পর শনিবার (৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে আসামি মোঃ মিজানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মিজান জানায়, হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ছিল তার চাচাতো ভাই নেহাদ আলী (লিয়াকত শেখ) ও কাইয়ুম শেখ। জানা গেছে, নেহাদ ও কাইয়ুমের মধ্যে বালু উত্তোলন নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল, আর বাদী (নিহত নিরবের বাবা) নেহাদের পক্ষ নেয়ার কারণে কাইয়ুম প্রতিশোধ নেওয়ার উদ্দেশ্যে নিরবকে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি ও হত্যার পরিকল্পনা করেন।
মিজান আরও জানায়, হত্যাকাণ্ডের পর নিরবের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়, এরপর লাশ গুম করতে প্লাস্টিকের বস্তা ও লোহার শিকল দিয়ে কোমরের সাথে বেঁধে পদ্মা নদীতে ফেলে দেয়।
অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কঠোরভাবে কাজ করছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
এএইচ
আরও পড়ুন