ক্ষমতার বদল হোক,রাষ্ট্র যেন বদলে না যায়
প্রকাশিত : ১২:২২, ২২ জুলাই ২০১৮ | আপডেট: ১৩:৫৯, ২৩ জুলাই ২০১৮
ড. মীজানুর রহমান
আগামী ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন। আর এ নির্বাচন হচ্ছে জাতীয় নির্বাচনের একটি মহড়া। কারণ, দলীয় প্রতীকে ব্যাপক অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে নির্বাচন হচ্ছে। আমাদের জাতীয় রাজনীতিতে যেসব দল বড় ভূমিকা পালন করে, তারা হয় নিজেরাই অংশ নিচ্ছে, না হয় কাউকে সমর্থন করছে। সেদিক থেকেও খুবই তাৎপর্যপূর্ণ এই নির্বাচন। নিকট অতীতে হয়ে যাওয়া আমাদের খুলনা ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে একটা ব্যাপার লক্ষণীয়, সেখানে কোন মারামারি, দাঙ্গা বা একটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার কথা কোথাও শোনা যায়নি।
কিন্তু সেদিন রাজশাহীতে ছাত্রদলের সমাবেশে মোটরসাইকেলযোগে এসে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানোর খবর পাওয়া গেছে। এ বিষয়টাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে, সতর্ক হতে হবে এবং অত্যন্ত শক্তভাবে প্রতিহত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ করার সাহস কেউ না পায়। তবে এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এতে করে অচলাবস্থা সৃষ্টির সম্ভাবনা আছে এ রকম চিন্তা করাও অমূলক। কারণ, আমাদের দেশে ‘ব্লেইম গেইম’-এর রাজনীতি আছে আমরা এটি জানি। নির্বাচন কমিশনেরও জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণে বড় একটি সুযোগ এটি। জাতীয় নির্বাচনে যে রকম অসুবিধা তৈরি হতে পারে কিংবা ফাঁক-ফোকর দেখা দিতে পারে সেগুলো খুঁজে বের করে পূর্ব প্রস্তুতির জন্য এটি একটি ফিল্ড ওয়ার্ক।
জাতীয় নির্বাচন দক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করার জন্য সিটি নির্বাচনের অভিজ্ঞতা কাজে আসবে। আরেকটি বিষয়, বিভিন্ন সময় বিশেষ করে ২০১৪-১৫ সালে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যারা জ্বালাও-পোড়াও, পেট্রোলবোমার মতো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছে তাদের প্রতি বিশেষ নজর রাখতে হবে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা বাহিনীকে এ বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে, যাতে নির্বাচনকালে অপশক্তির উদ্ভব না ঘটে।
তবে চার বছর আগের ঘটনা নিয়ে নির্বাচনের আগে ব্যাপক ধরপাকড় করে কোনভাবেই নির্বাচনী পরিবেশ বিঘ্নিত করা যাবে না। নির্বাচনের সময় অনেক ধরনের অভিযোগ আমরা শুনি বিভিন্ন পক্ষ থেকে। নির্বাচনকালীন এই পরিস্থিতি সুষ্ঠু রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চেয়েও যেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ, সেটা হলো সব দলের নেতা-কর্মীদের যার যার প্রার্থীর পক্ষে মাঠে অবস্থান করা।
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার সকাল ১০টার মধ্যেই বাড়ি চলে গেলেন। ১০টা এগারো মিনিটে বললেন, ‘ফেইল্যুর ইজ দ্য পিলার অব সাকসেস!’ প্রার্থী নিজেই যখন আশা ছেড়ে দিয়ে এ ধরনের কথা বলেন তখন তার এজেন্ট এবং ভোটাররা তো কেন্দ্র ছেড়ে দিবেই। এজেন্টদের বের করে দেয়ার যে অভিযোগ তারা করেছে সেটা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছি না, কোথাও হলেও হতে পারে। তবে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ তারা করতে পারেনি। শুরুতে বলা হচ্ছিল, ১০টা কেন্দ্রে বাধা দেয়া হয়েছে, পরে পঞ্চাশ কেন্দ্রে, তারপর সব কেন্দ্রেই। কিন্তু সুনির্দিষ্ট কোন্ কোন্ কেন্দ্রে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে সেগুলোর নাম বলতে পারেনি। এভাবে ঢালাও একটি অভিযোগ করে তারা নির্বাচনী ময়দান ছেড়ে দিয়েছে।
পর্যবেক্ষকদের চোখেও এরকম কিছু ধরা পড়েনি। নির্বাচন কেন্দ্রে এজেন্ট থাকা না থাকার কথা যদি বলি, এজেন্ট থাকতে হবে আমাদের নির্বাচনী আইনে এমন কোন বাধ্যবাধকতা কোথাও নেই। কমিশনই তার ভোটারদের নিরাপত্তা এবং ভোট দেয়ার ব্যবস্থা করে দেবে। তবে তার মানে এই নয় যে, নির্বাচন কমিশন কোন পক্ষের হয়ে কাজ করবে। কথা হচ্ছে, প্রতিবারই কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেয়ার যে অভিযোগ করা হয় এটা আমরা আর শুনতে চাই না। নির্বাচন কমিশন এবার ভাল একটি কাজ করেছে, আগেই এজেন্টদের তালিকা চেয়ে নিয়েছে। আমি মনে করি, এমন ব্যবস্থা করা দরকার, যে এজেন্ট একবার কেন্দ্রে ঢুকবে তাকে বের হতে দেয়াই উচিত না। কারণ এমনও ঘটনা ঘটেছে, এজেন্ট নির্বাচন কেন্দ্রে যায়ইনি অথচ বলা হচ্ছে তাকে বের করে দেয়া হয়েছে।
সাম্প্রতিককালে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতির নতুন মেরুকরণের কথা শোনা যাচ্ছে। এরকম হলে তা মূলত আওয়ামী লীগ বনাম বাকি দলগুলোর একটা জোট হতে পারে এবং তাদের একমাত্র পুঁজি হবে ভারত বিরোধিতা ও ধর্ম। এই দুটি বিষয় ছাড়া তাদের খুব বেশি কিছু করার নেই। যেমন বিএনপির যে ভোটব্যাংক তা হলো মূলত ভারতবিরোধী ও ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলো। আজকাল বিএনপি ভারত সহনীয় কথাবার্তা বলছে। এতে তাদের লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হবে। কারণ তৎকালীন মুসলিম লীগের যে সেটআপ সেটাই মূলত আজকের বিএনপি। পুরনো এ বৈশিষ্ট্য থেকে বেরিয়ে আসলে বিএনপি তো আর বিএনপি থাকছে না। জোটের ব্যাপারে বলতে গেলে অনেক সময় পুরোপুরি একই আদর্শের দল না বলেও কৌশলগত কারণে একাধিক দল একসঙ্গে জোটবদ্ধ হয়।
বামপন্থী দলগুলো একত্রে জোট গঠন করতে পারে বলে শুনেছি। ভারতে বামদল ক্ষমতায় এসেছে, অনেক বছর টিকেও থেকেছে এটা আমরা দেখেছি। কিন্তু আমাদের দেশের বামদের মধ্যে এত বিভাজন যে, আজ যদি দেখেন তারা জোট করেছে কাল সকালে দেখতে পাবেন, কেউ কেউ জোট ছেড়ে দিয়েছে। এদের মধ্যে মার্কসবাদী, লেনিনবাদী বিভিন্ন তরিকার লোকজন আছে। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় যখন জোটের নেতৃত্ব নিয়ে কোন্দল বাঁধে কেবল তখনই আদর্শিক দ্বন্দ্বগুলোকে সামনে এনে এরা জোট ভেঙ্গে দেয়। আসলেই যদি বামদলগুলো এক হয় এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এটা অবশ্যই আমাদের রাজনীতির জন্য অত্যন্ত ভাল দিক। তবে জোটবদ্ধ হয়ে এলেই এই নির্বাচনে তারা খুব ভাল ফলাফল করবে না এটা নিশ্চিত করে বলা যায়। কারণ, বামদলগুলো সমাজের শ্রেণী ভাঙতে চায়, বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চায়, মানুষে মানুষে সাম্য চায়, কিন্তু মানুষের মধ্যে যে আত্মকেন্দ্রিকতা, সেলফিসনেস এ কারণেই মূলত মানুষ তাত্ত্বিকভাবে বামদলগুলোকে গ্রহণ করলেও আপন করে নিচ্ছে না। অনেক সময় আমাদের বামদের একটা সীমাবদ্ধতা হলো বাস্তবতার প্রেক্ষিতে পরিবর্তনগুলোর সঙ্গে তারা মানিয়ে নেয়া, খাপ খাইয়ে নেয়ার মতো উদার মানসিকতা দেখাতে পারে না।
সোভিয়েত ইউনিয়নে সত্তর বছর সমাজতন্ত্র থাকার পরও কিন্তু এক সময় ভেঙ্গে পড়েছে। আর চায়নাতে যেটা আছে আদৌ এটাকে সমাজতন্ত্র বলে কিনা আমি জানি না। কিউবাও সেদিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওরা ব্যক্তি মালিকানাধীন সম্পত্তির অনুমোদন দেবে। আরেকটি বিষয়, মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা যে কেবল পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি তা কিন্তু না, নোয়াখালী, কুষ্টিয়াসহ দেশের অনেক জায়গায় সর্বহারা বাম, অতিবাম, চিনাপন্থী বামদেরকেও আমাদের মোকাবিলা করতে হয়েছে। তারপরও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের যে বামদলগুলো ছিল তারা একটা শক্ত পক্ষ হতে পারে। কারণ, ক্ষমতার পালাবদল হবেই, তা হোক। কিন্তু রাষ্ট্রের যে বৈশিষ্ট্য তার পরিবর্তন যেন না হয়। সব সরকারই যেন স্বাধীনতার পক্ষের হয়। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করেছি বিভিন্ন সময় আমাদের দেশে ক্ষমতার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রেরও পরিবর্তন হয়েছে, রাষ্ট্রটাকেই ভিন্ন এক রাষ্ট্র বানিয়ে ফেলা হয়েছে।
২০০১ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে একটি দল যখন ক্ষমতায় এলো তখন প্রথম আঘাতটাই তারা করল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর। এর মাধ্যমে রাষ্ট্রের যে মূল কাঠামো সেটাই পরিবর্তনের আভাস পাওয়া গেল। একইভাবে পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে হত্যার মাধ্যমে এদেশে কেবল রাষ্ট্রক্ষমতারই পরিবর্তন হয়নি, রাষ্ট্রটাকেই পরিবর্তন করে একটা পূর্ব পাকিস্তান কায়েম করা হয়েছিল। তাই বলতে চাই, আমাদের রাজনীতিকে আরও পরিশীলিত করতে হলে স্বাধীনতার পক্ষের দলগুলোকে হারুক আর জিতুক নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। আজকের নির্বাচনে হারলেও কাল বা পরশু নির্বাচনে হয়ত তারা জয়ী হবে।
সম্প্রতি বিএনপি জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছে। ড. কামাল হোসেন, মাহমুদুর রহমান মান্না, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী এদের নিয়ে যদি বিএনপি জোট গঠন করে এবং স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতকে ত্যাগ করে, সেটাও শুভ উদ্যোগ। কারণ, বাংলাদেশের রাজনীতিতে তাদের অবদান রয়েছে। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীও বঙ্গবন্ধু হত্যার পর যারা শক্ত প্রতিবাদ করেছিলেন তাদের একজন। কিন্তু তাদের সঙ্গে নিয়ে আবার যুদ্ধাপরাধী জামায়াতকেও সঙ্গে রেখে যদি কোন জোট হয় তাহলে সেটা টিকবে না। বলা হয়, রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই। তবে আমাদের দেশের রাজনীতিতে শেষ কথা বলে একটা কথা আছে। সেটা হলো আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করা। একদিকে আওয়ামী লীগ থাকবে, আর বাকি সবাই মিলে এর বিরোধিতা করবে। একটু-আধটু ন্যায়নীতি, সুশাসন এসব কথা বলবে; কিন্তু মূল যে কাজটা করবে সেটা হচ্ছে ধর্মকে ব্যবহার এবং ভারত বিরোধিতা।
আমাদের জাতীয়তা বাঙালী না বলে মুসলিম বাঙালী বলে একটা কাঠামো দাঁড় করানোর চেষ্টা করবে। সে যাই হোক, আওয়ামী লীগ টানা দ্বিতীয়বারের মতো রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকে মেয়াদ শেষ করতে চলেছে। সামনে আরেকটি নির্বাচনী বৈতরণী অপেক্ষমাণ। নির্বাচনকে নিয়ে সরকারের ইতিবাচক ব্যাপারগুলো যদি বলি তা হলো দেশে দশ বছর আগে সামাজিক, অর্থনৈতিক বিভিন্ন সূচকের যে অবস্থা ছিল সে তুলনায় এখনকার উন্নতি অভাবনীয় ও অনুকরণীয়। যে মেগা প্রজেক্টগুলো আছে- যেমন পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, কর্ণফুলী টানেল সরকার পরিবর্তন হলে এই প্রজেক্টগুলো ব্যাহত হবে বলেই মনে করে জনগণ।
কারণ, সরকারের পরিবর্তন হলে আগের সরকারের হাতে নেওয়া প্রজেক্টগুলো ব্যাহত হওয়ার নজির আছে এদেশে। ১৯৯৬-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার আসলে ইউনিয়ন পর্যায়ে যে ছোট্ট স্বাস্থ্যকেন্দ্র করা হয়েছিল, বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে চুক্তিগুলো করা হয়েছিল, এরকম আরও অনেক উন্নয়ন পরিকল্পনা বাতিল করেছিল পরের সরকার এসে। সুতরাং বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আবার আসলে চলমান উন্নয়ন কাজগুলো অব্যাহত থাকবে।
এখন নেতিবাচক দিকগুলোর দিকে যাই। প্রথমেই শুরু করতে হয় নোবেল লরিয়েট নেইল কাইনম্যানের একটা কথা দিয়ে। সেটা হলো ‘মানুষ উপকারের চেয়ে অপকার বেশি মনে রাখে।’ তাই আওয়ামী লীগের কেউ যদি আমার এ লেখা পড়েন তাদের প্রতি আমার পরামর্শ থাকবে, উন্নয়নের চিত্র প্রচার করার প্রয়োজন আছে, তবে তার চেয়েও বেশি দরকার এটা খুঁজে বের করা কোথায় কোথায় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতি যে সব সময় অর্থিকভাবেই হতে হবে ব্যাপারটা এমন না, মানসিকভাবেও হতে পারে। যেমন, কোন এমপি, তার আত্মীয়-স্বজন, বিশেষ করে শ্বশুরবাড়ির পক্ষের লোকজন মানুষের ওপর নিপীড়ন করেছে কি-না।
আওয়ামী লীগেরই ভোটার, আওয়ামী লীগ সমর্থন করে এরকম অনেক লোকও সরকারের ওপর বিক্ষুব্ধ হয়ে আছে অনেক নেতার কারণে। অসন্তোষের এই জায়গাগুলোর সমাধান করতে হবে। কারণ মানুষ যখন রাস্তা দিয়ে হেঁটে যায় সে বুঝতে পারে রাস্তাটা পাকা হয়েছে, আগে লোডশেডিং ছিল, এখন আলো জ্বলছে- এসব মানুষ এখন দেখছে। অতএব অপকার, অসন্তোষ এসব ব্যাপার যে যে জায়গায় ঘটে গেছে সেই জায়গাগুলোকে মেরামত করাটা এখন সবচেয়ে জরুরি।
লেখক : ড.মীজানুর রহমান
উপাচার্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
** লেখার মতামত লেখকের। একুশে টেলিভিশনের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে।