কড়া নিরাপত্তার মধ্যে যুক্তরাজ্যে চলছে নতুন নেতৃত্ব বাছাইয়ের লড়াই
প্রকাশিত : ১৯:২৯, ৮ জুন ২০১৭ | আপডেট: ২০:০৯, ৮ জুন ২০১৭
কড়া নিরাপত্তার মধ্যে যুক্তরাজ্যে চলছে নতুন নেতৃত্ব বাছাইয়ের লড়াই। ভোটযুদ্ধে মূল প্রতিদ্বন্দ্বীতায় কনজারভেটিভ পার্টির থেরেসা মে ও লেবার পার্টির জেরেমি করবিন। ভোটের মাঠে রয়েছেন ১৪ বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত প্রার্থীও। সম্প্রতি সন্ত্রাসী হামলার শোক আর আতংককে সঙ্গী করে ভোট দিচ্ছেন দেশটির সাধারণ জনতা। বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টায় শুরু হওয়া ভোট গ্রহণ চলবে রাত ৩টা পর্যন্ত। এখন পর্যন্ত ডাক যোগে ভোট পড়েছে ১৬ শতাংশ।
যুক্তরাজ্যে নেতৃত্বের লড়াই। কনজারভেটিভ পার্টির থেরেসা মে নাকি লেবার পার্টির জেরেমি করবিন? কে হবেন আগামি দিনের সরকার প্রধান? দু’জনের মধ্য থেকে একজনকে বেছে নেয়ার লড়াই চলছে।
সম্প্রতি দু’দফায় সন্ত্রাসী হামলার আতংক এখনও জনমনে। যদিও কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হয়েছে পুরো যুক্তরাজ্য। শোক আর শংকা নিয়েই ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছেন ভোটাররা। ৪০ হাজারেরও বেশি কেন্দ্রে ভোটার ৪ কোটি ৬৯ লাখ।
ভোট দিয়েছেন রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা। থেরেসা মে বার্কশায়ারের সোনিং কেন্দ্রে, জেরেমি করবিন উত্তর লন্ডনের পাকেমান স্কুল কেন্দ্রে. ভোট দিয়েছেন। এছাড়া লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির টিম ফ্রেরনসহ প্রায় সব দলের নেতারা এরইমধ্যে ভোট দিয়েছেন।
নির্বাচনী লড়াইয়ে পিছিয়ে নেই ব্রিটিশ বাংলাদেশীরাও। মোট ১৪ জন প্রার্থীর মধ্যে রুশনারা আলী, টিউলিপ সিদ্দিক ও রুপা হকসহ ৮ জন লড়ছেন লেবার পার্টির হয়ে। আরো রয়েছেন ৪ স্বতন্ত্র প্রার্থী।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের জরীপ বলছে, শুরুর দিকে প্রধান দুই দলের মধ্যে ব্যবধান অনেক বেশি থাকলেও শেষ মুহুর্তে তা মাত্র কয়েক পয়েন্টে এসে দাঁড়িয়েছে। তাই লড়াইটা এবার হাড্ডাহাড্ডিই হচ্ছে।
ব্রেক্সিট পরবর্তি বিভক্ত দেশটিতে ঐক্য ও শক্তিশালী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার তাগিদ থেকেই মধ্যবর্তী নির্বাচন। ব্রেক্সিটের পাশাপাশি অভিবাসন, সন্ত্রাস দমন ও সর্বোপরি অর্থনৈতিক উন্নতি নির্বাচনের মূল ইস্যু।
৬৫০ আসনের পার্লামেন্টে কমপক্ষে ৩২৬ আসনে জয় পেলেই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করতে পারবে বিজয়ী দল। তবে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন না হলে কোয়ালিশন সরকার গঠনের পথে এগুতে হবে যুক্তরাজ্য। শেষ পর্যন্ত কোন পথে হাঁটবে যুক্তরাজ্য সেটাই দেখার অপেক্ষা।
আরও পড়ুন