খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে কোরআন যা বলেছে
প্রকাশিত : ১২:১৯, ২ এপ্রিল ২০২৩
সহজ কথায় কল্যাণের পথ নির্দেশ করাই কোরআনের বিশেষত্ব। কোরআনের পরিচয় কোরআন নিজেই দিয়েছে খুব সহজভাবে সহজ দুটি শব্দ দিয়ে।
সূরা বনি ইসরাইলের ৮২ নম্বর আয়াত হচ্ছে, কোরআন হচ্ছে শেফা এবং রহমত। দুটো শব্দ শেফা এবং রহমত। এই দুটোর পরে আর কোনো শব্দের প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। বাক্যটা তাই যে, কোরআন হচ্ছে বিশ্বাসীদের জন্যে শেফা এবং রহমতস্বরূপ।
'শেফা' এবং 'রহমত' এই দুটো এমন শব্দ যে আর কোনো শব্দ যদি ব্যবহার নাও করা হয় যদিও অনেক শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে তারপরও এক জীবনের জন্যে এটা যথেষ্ট।
আসলে কোরআনের বিশেষত্ব হচ্ছে খুব সহজ শব্দে, খুব সহজ কথায় সাধারণ মানুষের জন্যে কল্যাণের পথ নির্দেশনা।
যেমন এই শেফাকে আপনি নিরাময় বলতে পারেন, ব্যাধিমুক্তি বলতে পারেন, সুস্থতা বলতে পারেন। আর 'রহমত' মানে হচ্ছে করুণা। একে করুণা বলতে পারেন, আশীর্বাদ বলতে পারেন। ব্লেসিং বলতে পারেন, আপনার কল্যাণ বলতে পারেন।
একজন যদি সুস্থ থাকে আর কল্যাণের মধ্যে থাকে তার আর কী প্রয়োজন! সুস্থতা এবং কল্যাণের মধ্যে যদি থাকে স্বাস্থ্য ভালো থাকে আর কল্যাণের মধ্যে থাকে তাহলে আর কোনোকিছুর প্রয়োজন হয় না।
আসলে বুদ্ধিমান মানুষ সবসময় চাওয়াটাকে সংজ্ঞায়িত করেন, অল ইনক্লুসিভ কিন্তু আপাতদৃষ্টিতে মনে হবে খুব সহজ।
টোটাল ফিটনেসটাই হচ্ছে শেফা!
আসলে এই যে শেফা এবং রহমত দুটো শব্দের মধ্যে সবকিছু অল
ইনক্লুসিভ। আসলে শেফা শব্দের ব্যাখ্যা করতে করতে যত
শেফা শব্দের অর্থ খুঁজি অর্থ খুঁজতে খুঁজতে দেখি যে এটার অর্থ
খালি বাড়ে।
একেক বছর শেফার একেকরকম অর্থ খুঁজে পাই, এই বছরের জন্যে আমরা অর্থ খুঁজে বের করলাম যে শেফা বলতে তো আসলে সুস্থতা, সুস্থতা মানে কী? ইটস এ টোটাল ফিটনেস। নিরাময় না, শুধু ব্যাধিমুক্তিটা শেফা না ব্যাধি থেকে মুক্ত হলে সে কী হবে, সে টোটালি ফিট হবে। এই টোটাল ফিটনেসটা হচ্ছে শেফা।
এই শেফা নিয়ে প্রচুর গবেষণা হয়েছে। এবং ধরুন আরবি ডিকশনারি নানানরকম কথা বলেছে। কিউর অর্থে শেফাকে বুঝিয়েছে।
ইবনে সিনা আসলে কত বড় চিকিৎসক ছিলেন তার জামানার যে তার মৃত্যুর পাঁচশ বছর পর্যন্ত ইউরোপে তার বই পড়ানো হতো। তার কিতাব, দি ক্যানন অব মেডিসিন, ইউরোপে ডাক্তার হতে হলে তার মৃত্যুর পাঁচশ বছর পর্যন্ত এই ক্যানন অব মেডিসিন পড়ে ডাক্তার হতে হতো।
মডার্ন মেডিসিনের জনক হিপোক্রেটাসকে বলা হয়। তারপরেই ইবনে সিনা।
কিউর অর্থ 'Operation is successful but the patient is death' নয়!
তো 'কিতাব আল শেফা' তার আরেকটি বই এবং এই বইয়ের ইংরেজি নাম কিউর হলেও বুক অব হিলিং হলেও এতে দৈহিক নিরাময়ের কোনো প্রসঙ্গ নাই এবং এটা ওষুধের সাথে সংশ্লিষ্ট কোনো বই নয়।
এখানে 'আরোগ্য', শেফা বলতে বোঝানো হয়েছে যে আত্মাকে অজ্ঞতা থেকে মুক্ত করা। অর্থাৎ সত্তাকে অজ্ঞতা থেকে মুক্ত করার নাম হচ্ছে শেফা। যে আসলে সবচেয়ে বড় রোগ হচ্ছে অবিদ্যা অজ্ঞতা যেটা মহামতি বুদ্ধ ২৬শ বছর আগে বলেছেন।
এবং আমরা এককথায় বলতে পারি যে, শেফা মানে হচ্ছে কিউর ফরম অল সোর্স অব সাইকোসোমাটিক এন্ড সাইকো-সোশ্যাল স্পিরিচুয়াল নেগেটিভিটি এন্ড পারভাশন। অর্থাৎ যত ধরনের বিকৃতি আছে সাইকো-সোশ্যাল সাইকোসোমাটিক নেগেটিভিটি আছে স্পিরিচুয়াল নেগেটিভিটি আছে- এ থেকে নিরাময়। আর শরীর তো আছেই।
শরীরটা তো এটা আমরা সহজভাবে বুঝি কিন্তু এই অর্থগুলো আমরা বুঝি না। আমরা কিউর বলতে বুঝি যে শুধু রোগমুক্তি। আরে রোগ থেকে আপনি মুক্ত হতে পারেন। ঐ যে বলে না অপারেশন ইজ সাকসেসফুল, বাট দি পেশেন্ট ইজ ডেথ। ১ অপারেশন সাকসেসফুল হয়েছে, রোগ থেকে তিনি মুক্ত হয়েছেন রোগের ঐ অংশটা কেটে বাদ দিয়ে দেয়া হয়েছে, কিন্তু তিনি মারা গেছেন।
আসলে রোগমুক্তি নয়, সুস্থতা সবচেয়ে ইম্পর্টেন্ট। জীবাণুমুক্তি শুধু নয়, সুস্থতা হচ্ছে খুব গুরুত্বপূর্ণ।
অর্থাৎ শারীরিক মানসিক আত্মিক সামাজিক যতরকম ব্যাধি আছে
যতরকম রোগ আছে যতরকম নেতিবাচকতা আছে যতরকম বিকৃতি আছে, বিকার আছে তার নিরাময় হচ্ছে এই কোরআন এককথায়।
ইহকাল এবং পরকালকে সুন্দর করার প্রেসক্রিপশনই কোরআন
এবং হাদীস! এবং আমরা আরো সহজভাবে বলতে পারি আধুনিক ভাষায় যে ফিজিকেল মেন্টাল সোশ্যাল এন্ড স্পিরিচুয়াল ফিটনেস। এই ফিটনেসের ম্যানুয়াল হচ্ছে কোরআন।
দম নিচ্ছেন এতেও আপনার নেকি অর্জন হচ্ছে! এই টোটাল ফিটনেসটা খুব ইম্পর্টেন্ট। এবং টোটাল ফিটনেসের জন্যে প্রথম ইম্পর্টেন্ট জিনিস হচ্ছে দম। এই দম নেয়াটা আসলে ছোট জিনিস, আপনি এই যে দম নিচ্ছেন এটা আপনার সুস্থতা অর্জন হচ্ছে। কারণ এটা আপনি আপনার সুস্থতার জন্যে এই কাজটি করছেন আপনার ভালো থাকার জন্যে এই কাজটি করছেন। আপনি যাতে অন্যের গলগ্রহ না হন।
সবসময় মনে রাখবেন রোগী মানে হচ্ছে কী? এই পরিচয়টা যত না হয় তত বুঝবেন যে আল্লাহর রহমত আপনার ওপরে তত বেশি। আর এই পরিচয়টা হলেই আসলে আপনি যত বড় মানুষ হোন রোগী পরিচয় হলে কিন্তু আপনার পরিচয় হয়ে গেল রোগী। সেটার জন্যে কী করতে হবে! এই যে দম এত ফ্রি অক্সিজেন আমরা মাত্র টেন পার্সেন্ট আমাদের ফুসফুসের সামর্থ্যকে ব্যবহার করছি। কেন? অজ্ঞতার কারণে।
দমচর্চা করলে কী হয়? জাদুকর হয়, হ্যারি হুডিনি। দম নিয়ে পানির নিচে চলে যাচ্ছে এবং দীর্ঘসময় দীর্ঘযাত্রা করে তারপরে উঠছেন। উনি তো দমটাকে ধরে রাখতে পেরেছিলেন বলেই এতক্ষণ জীবিত ছিলেন। দম যদি ধরে রাখতে না পারতেন তো ওখানেই মারা যেতেন।
এই দম এটা হচ্ছে প্রথম প্রয়োজন।
আমি তোমাদের যে জীবনোপকরণ দিয়েছি তা থেকে শুদ্ধ ও ভালো জিনিসগুলো খাও'- [সূরা ত্বাহা আয়াত-৮১] তারপরে আসলে যেটা বেশি প্রয়োজন সেটা হচ্ছে খাবার, এখন আমাদের সমস্যা হচ্ছে খাবারটা আমাদের জন্যে গজব হয়ে গেছে, অতিরিক্ত খাবার।
আমাদের দেশে যখন খাবারের অভাব ছিল খাবার কম পাওয়া যেত তখন কিন্তু ডায়াবেটিস ছিল না, খুব খানেওয়ালাদের হতো। সাধারণ
মানুষের ডায়াবেটিস ছিল না। গ্রামের মানুষের ডায়াবেটিস ছিল না হার্টের প্রবলেম ছিল না ক্যান্সার ছিল না। এখন সব আছে।
বলবেন যে, খাবারটা কেন গজব? খাবারটা নেয়ামত, আবার গজব। এটা কোরআন খুব পরিষ্কারভাবে বলেছে, সূরা বাকারার ১৭২ নম্বর আয়াত হচ্ছে, হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা যদি শুধু আমারই ইবাদত করো তাহলে আমি রিজিক হিসেবে যে ভালো জিনিস তোমাদের দিয়েছি তা থেকে আহার করো আর আল্লাহর শুকরিয়া | আদায় করো/ রিজিক হিসেবে যে ভালো জিনিস তোমাদের দিয়েছি তা থেকে আহার করো আর আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করো।
আল্লাহতায়ালা তো পরিষ্কার বলে দিয়েছেন যদি তোমরা শুধু আমার-ই ইবাদত করো আমারই বান্দা হয়ে থাকো অর্থাৎ যদি তুমি বিশ্বাসী হও আমি রিজিক হিসেবে যে ভালো জিনিসগুলো দিয়েছি তা থেকে আহার করো এবং আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করো।
সূরা ত্বাহা ৮১ নম্বর আয়াত, আমি তোমাদের যে জীবনোপকরণ দিয়েছি তা থেকে শুদ্ধ ও ভালো জিনিসগুলো খাও, আর এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি করো না। খেয়াল করবেন, আর এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না, যদি করো তোমাদের ওপর গজব অবধারিত আর যার ওপর গজব পড়বে সে বিনাশিত হবে।
রিচ ফুড বেশি খেলেই উত্তেজনাবশত আপনি অন্যায় কাজে জড়াতে পারেন! আগে খাবারটা ঠিক করতে হবে। কারণ বারুপ যাওয়া থেকে যে জিনিসটি আপনার জিনে ঢুকবে, আপনার বাড়িতে ঢুকবে আপনার এনার্জিতে ঢুকবে যদি সেটা খারাপ হয় আপনাকে খারাপ দেবে। फ
ধরুন আপনি খুব রাজসিক তামসিক খাবার খান একদম ভরপেট খেলেন অনেক খেলেন বুফে খেলেন, খাওয়ার পরে কিন্তু আপনি স্বস্তি পাচ্ছেন না, শরীরে অস্বস্তি দেখা দিচ্ছে।
এবং অস্বস্তির সাথে সাথে আপনার ভেতরে কামভাব বেশি জাগ্রত হবে। যখন আপনি বেশি খাওয়া-দাওয়া করবেন রিচ ফুড খাবেন আপনার ভেতরে কামভাব বেশি জাগ্রত হবে। আপনি উত্তেজনাবশত ভুল করে ফেলতে পারেন। আপনি পাপের মধ্যে জড়িয়ে যেতে পারেন।
উপার্জন হালাল হলেই খাবারটা হালাল হবে।
বিশুদ্ধ খাবারের ক্ষেত্রে হালাল খাবার কিন্তু উপার্জনটাও হালাল হতে হবে।
উপার্জন হালাল হলে খাবারটা তারপরে হালাল খাবার।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, রোগ বাড়ার কারণ ফাস্টফুড ও জাঙ্কফুডা দিনাজপুর ডায়াবেটিস হাসপাতালের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা বলেন,
অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস। এক নম্বর ফ্যাক্টর হচ্ছে খাবার। কী খাবার? অস্বাস্থ্যকর খাবার অতিরিক্ত খাবার। কোরআনে যেটা খুব পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে যে, তোমরা শুদ্ধ ও ভালো জিনিসগুলো যাও। খাবার নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না।
৭০ শতাংশ মৃত্যুর কারণ অসংক্রামক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক চিকিৎসাবায় মেটাতে এক কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে গত বছরের রিপোর্ট এটা। চিকিৎসাবায় মেটাতে গিয়ে এক কোটি মানুষ তাদের আর্থিক অবস্থা দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে।
এবং এই রোগগুলো কী? বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন যে, দেশের ৭০ শতাংশ মৃত্যু হচ্ছে অসংক্রামক রোগে। এবং অসংক্রামক রোগে বেশি যাচ্ছে ৩০ থেকে ৭০ বছর বয়সীরা- আইসিসিডিডিআরবি, ব্র্যাক, বঙ্গবন্ধু শেখ ৰাজৰ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, নন কমিনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম এবং বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টাস ফোরামসহ ৩০টি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত 'প্রথম জাতীয় অসংক্রামক রোগ সম্মেলনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেন।
এবং কারণটা কী? ত্রুটিপূর্ণ খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, ভেজাল খাদ্য, ধূমপান- এসব অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। অসংক্রামক রোগগুলো কী কী?
অসংক্রামক রোগগুলো কী? কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ (মানে হৃদরোগ),
স্ট্রোক, ক্যান্সার, ক্রনিকেল রেসপেরেটরি ডিজঅর্ডার (ফুসফুসের কষ্ট),
হাইপারটেনশন, ওভারওয়েট (অতিরিক্ত ওজন), হাই ব্লাড গ্লুকোজ লেভেল,
হাই লেভেল অব ফ্যাট ইন দি ব্লাড ইনফ্রিজেস দ্যা রিং অফ এনসিডি
(নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ)।
এই যে ক্যান্সার থেকে শুরু করে হার্ট ডিজিজ, ডায়াবেটিস যেগুলো প্রধান রোগ, এই প্রধান রোগের অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর খাবার অতিরিক্ত খাবার।
পরিমিত খাবার খেলে কিন্তু খাবারজনিত রোগ হয় না। কিন্তু যখনই আপনি অস্বাস্থ্যকর এবং অপরিমিত খাবেন এটা অন্যতম কারণ হচ্ছে ভুড়িভোজ, ভুঁড়িভোজন!
এই নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ অসংজ্ঞামক রোগগুলো ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, ক্যান্সার তারপরে আরো যে যে রোগ আছে জটিল রোগ ফুসফুসের ব্যাধি থেকে শুরু করে কিডনির ব্যাধি- এর মূল কারণ হচ্ছে যদি একটি কারণকে শনাক্ত করা যায়, তাহলে এটা শুরু হচ্ছে খাদ্যে অনিয়ম থেকে খাবারের অনিয়ম থেকে। ভুল খাবার গ্রহণ এবং অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ থেকে।
এই অতিরিক্ত খাবার গ্রহণকে নবীজী (স) কত অপছন্দ করেছেন সেটা তিনি খুব পরিষ্কারভাবে বলেছেন। নবীজীর (স) অভ্যাসই ছিল তিনি কখনো খাবার এবং ঐ পানীয় দিয়ে নিজের পাকস্থলী পরিপূর্ণ করতেন না। স্বাভাবিক খাবার খেতেন।
নবীজী সবসময় এক-তৃতীয়াংশ খাবার খেয়েছেন, পাকস্থলীর এক-তৃতীয়াংশ খাবার এক-তৃতীয়াংশ পানীয়।
এই যে মডারেট ইটিং, পরিমিত খাওয়া পরিমিতির বাইরে যখনই
আপনি যাবেন তখন এই খাবারটাই যেটা নেয়ামত আল্লাহর এটাই
আপনার জন্যে গজব হয়ে যাবে।
এবং রসুলুল্লাহ (স) খুব পরিষ্কারভাবে বলেছেন, হে আদম সন্তান! যখন তোমার পাকস্থলীর মতো একটা পাত্র এই পাত্রটা হচ্ছে ভরে ফেলার জন্যে সবচেয়ে খারাপ পাত্র। এর চেয়ে খারাপ পাত্র আদম সন্তানের জন্যে আর কিছু নাই।
নবীজী (স) আরও বলেছেন যে, একজন মানুষের মেরুদন্ড সোজা রাখার জন্যে কয়েক লোকমা খাবারই যথেষ্ট। যদি কয়েক লোকমায় তুমি তৃপ্ত না হও তাহলে একতৃতীয়াংশ খাবার দিয়ে, এক তৃতীয়াংশ পানীয় দিয়ে পূর্ণ করো এবং এক তৃতীয়াংশ ফাঁকা রাখো দম নেয়ার জন্য।
এসবি/