খাদ্যে ভেজাল অকাল মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে
প্রকাশিত : ১৬:২৬, ২৭ মে ২০১৯ | আপডেট: ১৬:৩৩, ২৭ মে ২০১৯
দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য বিষ ও ভেজালমুক্ত এবং পুষ্টিমানসম্পন্ন খাদ্য নিশ্চিত করতে পারলে কান্সারসহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আ ব ম ফারুক। খাদ্যকে ভেজালমুক্ত করা গেলে ক্যান্সার কমপক্ষে অর্ধেকে নেমে আসত।
নানা ধরনের বিষাক্ত ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে প্রস্তুতকৃত নিম্নমানের খাদ্যের কারণে আগামী প্রজন্ম বিভিন্ন গুরুতর অসুখের ঝুঁকি নিয়ে বড় হচ্ছে। খাদ্যে ভেজাল অকাল মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। দীর্ঘদিন বিষাক্ত খাদ্য গ্রহণের ফলে গর্ভবতী মা ও তার পেটের ভ্রূণের ক্ষতি হয়, সন্তানও ক্যান্সার, কিডনিসহ মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। গর্ভবতী নারীরা জন্ম দিচ্ছে বিকলাঙ্গ শিশু, গর্ভস্থ শিশু স্বল্পবুদ্ধি সম্পন্ন ও প্রতিবন্ধী হওয়ার আশঙ্কাও থাকছে। এসব খাবারে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুরা।
কিডনি ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী দেশে দুই কোটির বেশি মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত এবং রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত খাদ্য গ্রহণের ফলেই কিডনি রোগ হচ্ছে। প্রতিমাসে ক্যান্সার, কিডনি ও লিভার রোগী দ্বিগুণ হারে বাড়ছে। খাদ্যের সঙ্গে বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ গ্রহণের পর তা নিঃশেষ না হয়ে দেহের ভিতর দীর্ঘদিন জমা থাকে। ফলে এ বিষক্রিয়া বংশ থেকে বংশে স্থানান্তর হয়।
লেখক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আ ব ম ফারুক
টিআর/