খাদ্যে ভেজাল, সচেতন হওয়ার তাগিদ (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:১২, ১৮ মে ২০১৯
অসাধু ব্যবসায়িদের অপতৎপরতায় দেশে এখন ভেজাল খাদ্যেও মহামারি। সর্বত্র ভেজালের সিন্ডিকেট,ভেজালের বাণিজ্য। বহুমানুষ এই মানবতাবিরোধী, জাতিবিধ্বংসী, কর্মকান্ডেলিপ্ত। প্রতিদিন তারা লাখ লাখ মানুষকে ঠেলে দিচ্ছে মৃত্যুর দিকে। ফল, মাছ, সব্জিতে ফরমালিন। অননুমোদিত কেমিক্যালে তৈরি হচ্ছে মানহীন খাদ্য-পন্য। নগর থেকে গ্রাম কোথায় নেই ভেজাল? এ সঙ্কটরোধে সকলকে সোচ্চার হওয়ার পরমর্শ সংশ্লিষ্টদের।
২০১৬ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় খাদ্য পন্যের ল্যাবটেস্ট করার উদ্যোগ নেয়। পরীক্ষা করা হয় ৫১টি পণ্যের ৬৪০ টিন মুনা।মধ্যে ৩০ পণ্যের ১৮৩ নমুনায় ভেজাল পাওয়ায়ায়। এরআগে ২০১৪ সালে আরেকটি পরীক্ষা কার্যক্রমে ৮২টি পণ্যেও মধ্যে ৪০ শতাংশেই মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর উপাদান শনাক্ত হয়। পন্য ও প্রতিষ্ঠান ভেদে,সহনীয়মাত্রার চেয়ে ৩ থেকে ২০ গুণ বেশিরাসায়নিকপ্ওায়াযায়। ্ওই পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছিলো ডিডিটি, কার্বামেড, কার্বাইড, অ্যালড্রিন, ক্রোমিয়াম, আর্সেনিক, সিসাও ফরমালিনসহ বেশকিছু রাসায়নিকের উপস্থিতি।
রাজধানীর শ্যামপুওে আমিনফুড নামের প্রতিষ্ঠানটি অনুমোদনহীনভাবে উৎপাদন করে শিশুখাদ্য, সেমাইসহ অন্তত দশটি পন্য।
প্রতিষ্ঠানটিতে খাদ্য পন্য তৈরি শুধ ুমাত্র কেমিকেল আর রং এর মিশ্রনে।
নাম-ধাম্ও উঁপাদনের তারিখ ছাড়া রাসায়নিক তো ব্যবহার হচ্ছেই। তারওপর প্রতিষ্ঠানটিতে নেই কোন ক্যামিস্ট।
ভেজাল খাদ্য তৈরীর জন্য নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তর কারখানাটিকে সিলগালক রে।, জরিমানার পর মালি কে না পেয়ে নিয়মিত মাললা করেন সঙশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
কামরাঙ্গীর চরেরএকটি কারখানয় ও নকল-ভেজালশিশুখাদ্য উৎপাদন হয়। এখানকার চিত্রও ভিন্ন কিছু নয়। ।
শুধুরা জধানীতেই নয়, দেশের নানা স্থানে চলছে ভেজাল খাদ্যের রমরমা ব্যবসা। ভেজালের মহামারি মিস্টিজাত পন্যে।
খাদ্যে ভেজাল নিয়ন্ত্রনে বিএসটিআই-এর সঙ্গে, গত কয়েক বছর ধরে কাজ করছে নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরসহ বেশকিছু সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। তারপরওকি ভেজাল নিয়ন্ত্রন সম্ভব হয়েছে? এপ্রশ্নের উত্তর শুনবো নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তার কাছ থেকে।
বিএসটিআই বছর জুড়েই অভিযানপরিচালনা করে। ফলাফল জানবো প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকের কাছ থেকে।
নিরাপদ খাদ্য প্ওায়ামানুষেরঅধিকার। জনগণের এ অধিকার নিশ্চিত করতেই ভেজালবিরোধী এত সব প্রতিষ্ঠানতৎপর। তারপরও লোভের কাছে হারমানছে আইন। এ পরিস্থিও অবসান জরুরি।