খালেদা জিয়া ছাড়া নির্বাচন হবে না : রিজভী
প্রকাশিত : ১৬:২৫, ৩ মে ২০১৮
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ছাড়া আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচন হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন।
গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রী তিনটি দেশ ঘুরে এসে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আগামী নির্বাচনে কোন পার্টি ক্ষমতায় এলো বা এলো না তাতে কিছু আসে যায় না। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। আদালতের সাজা পেয়ে খালেদা জিয়া কারাগারে রয়েছেন। এখানে সরকারের কিছু করার নেই।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের কড়া সমালৈাচনা করেন রিজভী। তিনি বলেন, গতকাল শেখ হাসিনার সাংবাদিক সম্মেলনের বক্তব্য হিংসায়-প্রতিহিংসায় আকণ্ঠ আপ্লুত।
রিজভী বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের দিবাস্বপ্ন আওয়ামী নেতারা দেখতে পারেন। কিন্ত এ দেশে আর একতরফা জাতীয় নির্বাচন হবে না। তাই শেখ হাসিনা যতই মহাপরিকল্পনা করুন না কেন, সেই নীলনকশার নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে পারবেন না।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দায়িত্ব নেন তখন তাঁর বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা ছিল। স্বাভাবিক গতিতে মামলা চললে উনার যাবজ্জীবন দণ্ড হতে পারত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতার জোরে মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আপনি ৮১ সালে দলের সভানেত্রী কীভাবে এবং কোন দেশে থেকে হয়েছিলেন সেটা কি আপনার মনে আছে? তখন আওয়ামী লীগে অনেক বর্ষীয়ান নেতা ছিলেন। কিন্তু তাদের ডিঙ্গিয়ে আপনি কীভাবে দলের সভাপতি হয়েছিলেন। আপনি তো আওয়ামী লীগের সদস্যও ছিলেন না। তারেক রহমান দলে ধাপে ধাপে সদস্য, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এবং পরে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন। তিনি ধারাবাহিকভাবেই জাতীয় রাজনীতির আজকের অবস্থানে উন্নীত হয়েছেন।
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করে বলেন, দুই সিটিতেই মন্ত্রী-এমপিরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মিটিং করছেন। পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিএনপি নেতাকর্মীদের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে, নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
অতএব ভোটে আস্থার পরিবেশ তৈরি করতে হলে সেনা মোতায়েন করতে হবে বলে দাবি করেন রিজভি।
একে// এআর
আরও পড়ুন