ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪

খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে নিষ্ঠুর রসিকতা হচ্ছে: রিজভী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৩৩, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে নিষ্ঠুর রসিকতা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ ও কারা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য নিষ্ঠুর রসিকতা। তাকে পরিকল্পিতভাবে নিঃশেষ করে দিতেই আওয়ামী লীগ সরকার চিকিৎসার পরিবর্তে নিষ্ঠুর ও অমানবিক পথ বেছে নিয়েছে।

আজ রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে রিজভী এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার জীবন নিয়ে চরম উৎকণ্ঠায় দেশবাসীসহ দলীয় নেতাকর্মীরা। খালেদা জিয়া এতটাই গুরুতর অসুস্থ যে তার বাম হাত ও পা প্রায় অবশ হয়ে যাচ্ছে। চলাফেরা দূরের কথা, তিনি উঠে দাঁড়াতেও পারছেন না। সাংবাদিকরা তার এ অবস্থা সচক্ষে দেখে পত্র-পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন।

তা সত্ত্বেও গতকালও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ ও কারা কর্তৃপক্ষ একই সুরে বলেছেন, খালেদা জিয়া ততটা অসুস্থ নন। তারা বলেছেন, খালেদা জিয়া পূর্বে যেসব রোগে ভুগতেন, এখন সেসব রোগেই তিনি ভুগছেন। আওয়ামী লীগ নেতা ও কারা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য খালেদা জিয়ার অসুস্থতাকে তাচ্ছিল্য করে তার জীবনকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলা, যা চরম অমানবিকতারই এক নিষ্ঠুর বহিঃপ্রকাশ। খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে হানিফ ও কারা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য নিষ্ঠুর রসিকতা।

গতকাল শনিবার দুপুরে কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই রোডে নিজ বাসভবনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ মাহবুব-উল-আলম হানিফ সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সমস্যা কোথায়? উনি সুস্থ আছেন।

পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি খালেদা জিয়ার চিকিৎসা প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, উনাকে বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের সেরা ফিজিওথেরাপিস্ট উনাকে থেরাপি দিচ্ছেন। উনি আদালতে হাজির হতে চান না। গত ছয় মাসে আদালতে হাজির হন নাই। সেদিন আদালত যখন চিন্তা করলেন যে উনি অসুস্থতার অজুহাতে আদালতে আসেন না, সে কারণে আদালতই নিয়ে গেলেন কারাগারে। কারাগারের ওখানেই আদালত বসানো, যাতে উনার সুবিধা হয়। উনি সেদিন এসে বললেন যে, আমি আর আসব না। যা বিচার হয় করুন। এই কথার মধ্য দিয়ে দুইটা বিষয় পরিষ্কার হয়েছে। এখনো যে উনি আদালতকে প্রচণ্ড ভয় পান। কারণ যেকোনো অপরাধীই যখন অপরাধ করে, তখন তার মধ্যে বিচার ব্যবস্থাটা একটা ভয়ের সঞ্চার করে।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি