খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড ফের বসবে কাল
প্রকাশিত : ১৪:৩৮, ৭ অক্টোবর ২০১৮ | আপডেট: ১৪:৪০, ৭ অক্টোবর ২০১৮
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের কেবিন ব্লকের ৬ তলায় ৬১১ নম্বর কেবিনে ভর্তি রয়েছে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা। চিকিৎসা দিতে গঠন করা হয়েছে মেডিকেল বোর্ড। মেডিকেল বোর্ডের সমস্যারা জিয়ার চিকিৎসার আগের ও বর্তমান ফাইলপত্র পর্যালোচনা করেছেন। এসময় তারা প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ফাইল পর্যবেক্ষণ ও আলোচনা করেন। ফাইল পর্যালোচনা শেষে বেরিয়ে মেডিকেল বোর্ডের সদস্যারা বলেন, আগামীকাল সোমবার এবিষয় ফের বসা হবে।
আজ রোববার বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে বিএসএমএমইউর কেবিন ব্লকে গিয়ে তারা প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ফাইল পর্যবেক্ষণ ও আলোচনা করেন। পরে বেরিয়ে এসে সঙ্গে আলাপে এ কথা জানান খালেদার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান বিএসএমএমইউর মেডিসিন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল জলিল চৌধুরী।
শনিবার (৬ অক্টোবর) খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে এনে বিএসএমএমইউ হাসপাতালের কেবিন ব্লকের ৬ তলায় ৬১১ নম্বর কেবিনে ভর্তি করা হয়। তার আগে ওই মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। সেদিন জানানো হয়, রোববার দুপুরে মেডিকেল বোর্ড খালেদাকে দেখে তার চিকিৎসার ব্যাপারে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবে।
অবশ্য ওই মেডিকেল বোর্ড খালেদার সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক মামুনের বিষয়ে জানতে চান। তখন মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বিএনপি প্রধানকে জানান, রোববার ডা. মামুনকে সঙ্গে রাখা হবে।
এরপর রোববার ডা. মামুন রহমানকে সঙ্গে নিয়েই মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা খালেদার চিকিৎসার ব্যাপারে কেবিন ব্লকের ৬১২ নম্বর কেবিনে আলোচনায় বসেন। সেখানে ছিলেন মেডিকেল বোর্ডের অপর চার সদস্য ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. বদরুন্নেসা আহমেদ, রিউমাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক, কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জী, অর্থোপেডিক বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নকুল কুমার দত্ত।
দীর্ঘ আলোচনার পর বেরিয়ে ডা. আব্দুল জলিল চৌধুরী বলেন, আমরা দীর্ঘ এক ঘণ্টা খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ফাইল পর্যালোচনা করেছি। সঙ্গে ছিলেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. মামুন রহমানও।
ডা. জলিল বলেন, এখন তো তার চিকিৎসাই চলছে। আগে থেকেই তিনি ওষুধ খাচ্ছেন। ফাইল পর্যালোচনা শেষে বেরিয়ে এসেছি, আগামীকাল (সোমবার, ৮ অক্টোবর) আবার বসবো।
টিআর
আরও পড়ুন