খালেদা জিয়ার ১১ মামলার হাজিরা ২৭ নভেম্বর
প্রকাশিত : ১৪:৪৪, ১৫ অক্টোবর ২০১৭
রাষ্ট্রদ্রোহসহ মোট ১১ মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হাজিরার দিন ২৭ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালত। রোববার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কামরুল হোসেন মোল্লা সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে হাজিরার জন্য ২৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
আইনজীবীর বরাতে জানা যায়, দারুসসালাম থানার নাশতার আট মামলা, রাষ্ট্রদ্রোহের একটি এবং যাত্রাবাড়ী থানার বিস্ফোরক ও হত্যা আইনের দুটি মামলায় খালেদার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
১১ মামলায় খালেদা জিয়ার হাজিরা দিন ধার্য ছিল রোববার । অধিকাংশ মামলা উচ্চ আদালতের আদেশে স্থগিত রয়েছে বলে সময়ের আবেদন দাখিল করেন তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া, সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবা ও জিয়া উদ্দিন জিয়া। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কামরুল হোসেন মোল্লা সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে হাজিরার জন্য ২৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার নথি সূত্রে জানা যায় ,গত বছরের ২৫ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম রাশেদ তালুকদারের আদালতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ড. মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী বাদী হয়ে রাষ্ট্রদ্রোহের এ মামলা করেন। ওই মামলায় গত বছরের ৫ এপ্রিল খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন।
মামলার আরজি থেকে জানা যায় , ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, ‘আজকে বলা হয়, এত লক্ষ শহীদ হয়েছে। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে।’
যাত্রাবাড়ী থানার মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় গ্লোরী পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসে পেট্রলবোমা হামলা হয়। এতে বাসের ২৯ যাত্রী দগ্ধ হন। পরে তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ১ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নূর আলম (৬০) নামের এক যাত্রী।
এ ঘটনার একদিন পর অর্থাৎ ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কে এম নুরুজ্জামান।
অপরদিকে , ২০১৫ সালে দারুস সালাম থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে আটটি মামলা দায়ের করা হয়। এই আট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়।
গত বছরে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে এসব মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। পরে এসব মামলায় খালেদা জিয়া হাজির হয়ে জামিন নেন।
এম/এআর
আরও পড়ুন