সারাদেশে বিক্ষোভ বৃহস্পতিবার
খালেদাকে ইউনাইটেডে নিলে যেন মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে : রিজভী
প্রকাশিত : ১৪:০৬, ১৯ জুন ২০১৮ | আপডেট: ১৫:৫৬, ১৯ জুন ২০১৮
কারাবন্দি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও চিকিৎসা নিশ্চিতের দাবিতে বৃহস্পতিবার সারাদেশে বিক্ষোভ করবে বিএনপি।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনের বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
রিজভী বলেন, এ মুহূর্তে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। ইউনাইটেড হাসপাতালে তার যথাযথ চিকিৎসা দিতে হবে।
এ দাবি আদায়ে বৃহস্পতিবার রাজধানীসহ দেশের সব মহানগর ও জেলা সদরে বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দেন তিনি।
তবে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের কারণে গাজীপুর সিটি এলাকা এ কর্মসূচির বাইরে থাকবে বলে তিনি জানান।
রিজভীর ভাষ্য, বাংলাদেশে চলছে এক আজব শাসন। এখানে বিরোধী দল, বিরোধী মত ও বিরোধী বিশ্বাসের মানুষরা দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এখন দেশে দণ্ডমুণ্ডের কর্তা সেজে বসেছে। দেশের জনপ্রিয় নন্দিত-নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে শুধু অন্যায়ভাবে সাজাই দেওয়া হয়নি, এখন তার ওপর চলছে নানা কায়দায় অমানবিক নিষ্ঠুর নির্যাতন। তার শারীরিক অসুস্থতার যাতে যথাযথ চিকিৎসা না হয় তার জন্য সরকার এমন কোন ফন্দি নাই যা আঁটছে না। চিকিৎসাকে বিলম্বিত করার জন্য মন্ত্রীদের দিয়ে নানা কাহিনী শোনানো হচ্ছে মানুষকে।
রিজভী বলেন, এখন শুধু কারা কর্তৃপক্ষই নয় এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী, সেতুমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তারা এমন কথা বলছেন, যেন খালেদা জিয়ার বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা হলে তাতে মনে হয় মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে চান এজন্য যে, ইতিপূর্বে তিনি সেখানে চিকিৎসা নিয়েছেন। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক, উন্নতমানের পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্রপাতি-যেগুলো সুযোগ ইউনাইটেড হাসপাতালে রয়েছে বলেই তিনি সেখানে চিকিৎসা করাতে চান। রোগী সাধারণত আস্থাভাজন চিকিৎসকের কাছেই যেতে চান। আস্থা তৈরি হয় চিকিৎসক কর্তৃক রোগীর আরোগ্য হওয়া, এরপর সেই চিকিৎসকের কাছে বারবার ফলোআপ ইত্যাদির কারণে। অতীত অভিজ্ঞতার আলোকেই রোগী তার আস্থাভাজন চিকিৎসক ও হাসপাতালের ওপর নির্ভরশীল হন।
বিএনপির এ নেতা বলেন, ১৮৯৪ সালে কারাবিধি যখন তৈরি হয় তখন ইউনাইটেড বা স্কয়ার হাসপাতাল ছিল না। কিন্তু এখন বেসরকারি হাসপাতালে সেবার মান উন্নতমানের বলেই মানুষ সেখানে ভিড় করে। সরকারি হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার থাকলেও সেবার মান এত নিম্নমানের যে মানুষ জমি-জায়গা বিক্রি করে হলেও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে দলের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
/ এআর /
আরও পড়ুন