গণপরিবহনে যোগ হল ‘র্যাপিড পাস’
প্রকাশিত : ১৮:৩৬, ৫ জানুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ১৩:৪১, ৮ জানুয়ারি ২০১৮
গণপরিহন খাতের উন্নয়নে নতুন সেবা ‘র্যাপিড পাস’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাইকার সহযোগিতায় প্রায় ৩৯ কোটি টাকা খরচে সব ধরনের গণপরিবহনে নতুন এই সেবা দেওয়া হবে। যাতায়াতকে আরও স্বাচ্ছন্দ করতে দেশজুড়ে এই ডিজিটাল সেবা সম্প্রসারিত হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণপরিহন খাতের নতুন সেবা ‘র্যাপিড পাস’ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘র্যাপিড পাস’ নামটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে এসেছে।
র্যাপিড পাস-এর ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, গণপরিবহন ব্যবস্থায় সমন্বিত ই-টিকেটিং পদ্ধতিকে র্যাপিড পাস বলা হয়। একে আইসি কার্ডও বলা হয়। আইসি কার্ড একটি সমন্বিত সার্কিট ভিত্তিক স্মার্ট কার্ড যা পরিবহন সেক্টরসহ আরও অন্যান্য কিছু ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যাবে।
এই আইসি কার্ড মূলত প্রি-পেইড সিম কার্ড বা ডেবিট কার্ডের মতো। এই কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে যাত্রীরা টিকেটের জন্য লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার ঝামেলা থেকে মুক্তি পাবেন। এতে সময় বাঁচার পাশাপাশি ভাড়ার জন্য নগদ টাকা রাখারও দরকার হবে না।
গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য ই-টিকেটিং পদ্ধতি চালুর লক্ষ্যে ২০১৪ সালে সরকার একটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়। এ প্রকল্পের আওতায় র্যাপিড পাস সেবা চালু করা হয়।
ইতোমধ্যে রাজধানীর মতিঝিল-আবদুল্লাহপুর রুটের দু’টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবহনে ‘র্যাপিড পাস’ কার্ড চালু হয়েছে। ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) কার্ডটি তৈরি করেছে।
ব্যবহারের নিয়ম
এই কার্ডের ব্যবহারও সহজ বলে জানায় র্যাপিড পাস কর্তৃপক্ষ। ব্যবহারকারী এই কার্ডটি ডিটিসিএ অনুমোদিত পাবলিক ট্রান্সপোর্ট অপারেটরের সেবা যেমন বাস, ট্রেন, ফেরি ইত্যাদিতে ব্যবহার করতে পারবেন।
কার্ডটি ব্যবহারের জন্য বাসে চালকের পাশে একটি যন্ত্র বসানো থাকবে। কার্ডধারী যাত্রী বাসে ওঠার সময় একবার এবং বাস থেকে নামার সময় একবার যন্ত্রের নির্দিষ্ট স্থানে কার্ডটি স্পর্শ করাবেন। বাস থেকে নামার সময় যন্ত্রে কার্ড স্পর্শ করানোর পর যন্ত্র থেকে রসিদ বের হবে। এতে ভাড়া ও কার্ডের ব্যালেন্স উল্লেখ করা থাকবে।
রিচার্জ করবেন যেভাবে
ব্যালান্স শেষ হলে সহজেই যাত্রী নির্বাচিত ডাচ বাংলা ব্যাংক শাখা বা টিকিট শপ থেকে র্যাপিড পাস কার্ড ইস্যু বা রিচার্জ করতে পারবেন। আবার ব্যবহারের সময় কার্ডে পর্যাপ্ত টাকা না থাকলেও একবার কার্ডটি ব্যবহার করা যাবে। এক্ষেত্রে পরবর্তী রিচার্জ থেকে টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সমন্বয় করা হবে। কার্ডে প্রাথমিক মূল্য ৪০০ টাকা। এর মধ্যে ২০০ টাকা রিচার্জ হিসেবে কার্ডে জমা থাকবে। ব্যবহারকারীরা একবার সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা ও সর্বনিম্ন ১০০ টাকা রিচার্জ করতে পারবেন।
র্যাপিড পাস নিবন্ধন
র্যাপিড পাস কার্ডের জন্য নিবন্ধন করতে হবে। এজন্য সর্বনিম্ন তথ্য (নাম এবং মোবাইল নাম্বার) দরকার হবে। কার্ড হারিয়ে গেলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে নিবন্ধন ছাড়া ব্যবহারকারী কোনো কিছু দাবি করতে পারবে না। এই নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে কমপক্ষে দুই কার্যদিবস সময় লাগবে। নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার আগে কিছু দাবি করা যাবে না। র্যাপিড পাস সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য http://rapidpass.com.bd ওয়েবসাইটে জানা যাবে।
কেআই/টিকে
আরও পড়ুন