গণশুনানিতে ভোগান্তি আর দুর্ব্যবহারের অভিযোগ (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:০৫, ১১ আগস্ট ২০২২ | আপডেট: ১১:২৪, ১১ আগস্ট ২০২২
নানা পদক্ষেপেও শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লাগেজ পেতে ভোগান্তি দূর হচ্ছে না। আছে যাত্রীদের সঙ্গে কর্মীদের দুর্ব্যবহারের অভিযোগও। গণশুনানীতে উঠে আসে এসব অভিযোগ। তবে বরাবরের মত কর্তৃপক্ষের আশ্বাস সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধানের।
বিমানবন্দরে যাত্রীদের লাগেজ পেতে দেরী হওয়া কিংবা লাগেজ ভেঙ্গে যাওয়া, এমনকি ব্যাগ থেকে মালপত্র উধাও হয়ে যাওয়া নিত্যদিনের অভিযোগ। বিভিন্ন সময়ে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হলেও সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।
এমন বাস্তবতায় যাত্রী সেবারমান উন্নয়নে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুরু হয় গণশুনানী। এতে যাত্রীদের নানা অভিযোগের উত্তর দেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান।
যাত্রীদের অভিযোগ লাগেজ পেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। অনেক সময় লাগেজ খোয়াও যায়।
যাত্রীরা অভিযোগ করেন বলেন, “দুটি ট্রলির একটি পাইনি। আসলে বলে এখানে যান, সেখান থেকে বলে ওখানে যান।”
এই অভিযোগের ভিত্তিতে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, গত ১ মাসে বিমানবন্দরের সেবার মানের উন্নতি হয়েছে। তবে যাদের বিরুদ্ধে এসন অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেন, “তিনি যদি কাজটি করে থাকেন তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা থেকে আরম্ভ করে আইনগত যত ব্যবস্থা আছে আমরা নিব। তবে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি এই ব্যবস্থাপনার অনেক উন্নতি হয়েছে।”
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক বলেন, অনেক সময়ে বাইরে থেকে লাগেজ কাটা অবস্থায় আসে। তারপরও এখানকার কেউ লাগেজ কাটার সঙ্গে জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিমানবন্দর নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, “নিষিদ্ধ জিনিস বা পানি জাতীয় কিছু থাকলে সেখান থেকেও কেটে ফেলে। স্যুটকেসের তালার মাস্টার কি থাকলে তারা খুলে ফেলেন অথবা চেইনগুলো খোলা হয়। যদি কার্টন হয় সেটা কাটা ছাড়া কোন উপায় থাকে না। এরপর সেখানকার কর্তৃপক্ষের একটা কাগজ দিয়ে দেওয়ার কথা, যে নিরাপত্তার কারণে ব্যাগটা খুলেছে এবং সেটা চেক করেছে।”
বিমানবন্দরে সেবার মান বাড়াতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এএইচ
আরও পড়ুন