ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চায় বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ

প্রকাশিত : ১৬:৩৪, ২৫ মার্চ ২০১৯ | আপডেট: ১৬:৩৬, ২৫ মার্চ ২০১৯

গণহত্যা দিবসকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি চায় বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ। জাতীয় গণহত্যা দিবস-২০১৯ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের উদ্যোগে (সোমবার) ২৫ মার্চ সকালে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল মিলনায়তনে আয়োজিত ‘রক্তাক্ত ২৫ মার্চ ও একাত্তরের গণহত্যা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

অনুষ্ঠানের সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি লায়ন মো. গনি মিয়া বাবুল মূল প্রবন্ধে বলেন, ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশ ২৫ মার্চকে জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে এবং দিবসটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্যে সরকার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

এই দিবসটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলে বিশ্বের সকল নির্যাতিত জনগোষ্ঠীর প্রতি সম্মান ও সহানুভুতি জানানো হবে। ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের জন্যে বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সমর্থন ও সহযোগিতা আদায়ের জন্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা আবশ্যক।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের আন্তর্জাতিক তৎপরতার কারণে দীর্ঘ ৪৮ বছর পরও বাংলাদেশের গণহত্যা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়নি। বাংলাদেশ ২০১৭ সাল থেকে জাতীয় গণহত্যা দিবস পালন করায় দিবসটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা এবং যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক উপ কমিটির চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু বলেন, ২৫ মার্চ ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী তাদের পূর্ব পরিকল্পিত অপারেশন সার্চলাইটের নীলনকশা অনুযায়ী আন্দোলনরত বাঙালিদের কণ্ঠ চিরদিনের জন্যে স্তব্ধ করে দেওয়ার ঘৃণ্য লক্ষ্যে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কমলাপুর, সদরঘাট, প্রভৃতি এলাকায় নিরস্ত্র ঘুমন্ত মানুষের ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়ে ইতিহাসের সবচেয়ে বর্বরোচিত ও নিকৃষ্টতম গণহত্যা শুরু করে।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা বিচারপতি শামসুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী মানিক।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ইসমত কাদির গামা ও বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সদস্য মফিদা আকবর।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের সভাপতি জিন্নাত আলী খান জিন্নাহ, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল, ন্যাপ ভাসানীর সভাপতি বঙ্গদীপ এম এ ভাসানী, বাংলাদেশ সাংবাদিক অধিকার ফোরামের মহাসচিব আতাউর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রোকন উদ্দিন পাঠান, সিনিয়র সাংবাদিক মানিক লাল ঘোষ, বঙ্গ টিভি’র চেয়ারম্যান কবি মায়া রাজ, সংগঠনের নির্বাহী সদস্য মো. মাসুদ আলম, আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদ খান প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ২৫ মার্চের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

কেআই/ 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি