গতি এসেছে চট্টগ্রাম বন্দরে, বেড়েছে রাজস্ব আদায় (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:৫৭, ৮ মে ২০২৩
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আবারও বাড়ছে আমদানি-বাণিজ্য। গতি এসেছে রাজস্ব আদায়েও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাদ্যপণ্য ও শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে ছাড় দেয়ার সুযোগ থাকলেও বিলাসীপণ্যের ক্ষেত্রে আরও সতর্কতা জরুরি।
ডলার সাশ্রয়ের মাধ্যমে রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে বেশকিছু ক্ষেত্রে আমদানি নিয়ন্ত্রণ করছে সরকার। বিশেষ করে বিলাসীপণ্যের ঋণপত্র খোলায় নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। এতে প্রথম কয়েক মাস চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি-বাণিজ্য কমলেও আবারও তা বাড়তে শুরু করেছে।
গত নভেম্বরে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে দেশে আসে ৯৮ লাখ ৪৬ হাজার মেট্রিক টন পণ্য। ডিসেম্বরে তা নেমে যায় ৮০ লাখ মেট্রিক টনে। আর এবছরের ফেব্রুয়ারিতে আমদানি হয় ৭৯ লাখ মেট্রিক টন পণ্য।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের তথ্যানুযায়ী, গত মার্চে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ১ কোটি ৭ লাখ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়। এসময়ে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৫ হাজার ৪৬ কোটি টাকা। ফেব্রুয়ারির চেয়ে যা ৭৫৯ কোটি টাকা বেশি।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার ব্যারিস্টার বদরুজ্জামান মুন্সি বলেন, “ডিসেম্বর, জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চ মাসে আমদানির পরিসংখ্যান পজেটিভ। আমরা ধারণা করছি, পরবর্তীতে মাসগুলোতে এই পজেটিভ ধারা অব্যাহত থাকবে।”
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও বৈশ্বিক অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি বিবেচনায় সতর্ক আমদানিনীতির কথা বলছেন অর্থনীতিবিদরা।
অর্থনীতিবিদ ড. অধ্যাপক মঈনুল ইসলাম বলেন, “আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ক্রমেই কমে যাচ্ছে, এই ধারাটাকে ঠেকাতে হবে।”
বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারি পদক্ষেপ সফল হলে দ্রুতই দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশা শিল্পদ্যোক্তাদের।
পিএইচপি ফ্যামিলি চেয়ারম্যান সুফি মিজানুর রহমান বলেন, “অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে গত মাস থেকে আমদানির ক্ষেত্রে কিছু কিছু এলসি ছাড়া শুরু করেছে সরকার।”
রপ্তানিমুখী শিল্প সচল রেখে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর পাশাপাশি রিজার্ভ বৃদ্ধিতে জোর দেয়ার পরামর্শ অর্থনীতিবিদ ও শিল্পোদ্যোক্তাদের।
এএইচ
আরও পড়ুন