গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণের অপার সম্ভাবনা (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:৫৫, ৯ মার্চ ২০২২ | আপডেট: ১৫:১৬, ৯ মার্চ ২০২২
গভীর সমুদ্র থেকে মাছ ধরার বিশাল সম্ভাবনা খুব অল্পই ব্যবহার করতে পারছে বাংলাদেশ। যদিও দিন দিন তা বাড়ছে। গত বছর ৭ লাখ টন সামুদ্রিক মাছ ধরা পড়েছে বঙ্গোপসাগরে।
ভারত ও মায়ানমার থেকে সমুদ্রসীমা বিজয়ের পর বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমার আয়তন এখন ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার। যা দেশের মূল ভূখণ্ডের আয়তনের ৮০ শতাংশের সমান। বিশাল এই সীমানার সামান্য অংশ জুড়েই শিকার হয় বিভিন্ন প্রজাতির সুস্বাদু মাছ।
মাছ ধরা জাহাজের ক্যাপ্টেন জিয়াউর রহমান বলেন, “ভারত-বাংলাদেশের যে সমুদ্র এরিয়া হয়েছে ওই এলাকায় কমার্শিয়াল ফিসিংটা ভাল হচ্ছে। মায়ানমার-বাংলাদেশ বর্ডারে অতোটা পাওয়া যাচ্ছে না।”
কন্টিনেন্টাল ফিশিং ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহসান ইকবাল চৌধুরী বলেন, “মাইগ্রেডেট ফিস রেখেও লাভ নেই, ওটা থাকবে না। ডিপ সীতে ফেরত চলে যাবে বা মায়ানমার-ইন্ডিয়ায় চলে যাবে।”
সাধারণতঃ গভীর সমুদ্রে সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার বেগে ছুটতে থাকে মাছ। জাহাজের উপর বসেই বিশেষ যন্ত্রে দেখা যায় মাছের বিচরণ ক্ষেত্র। এর মধ্যে দ্রুত স্থান পরিবর্তন করতে পারদর্শী রূপচাঁদা মাছ। সামুদ্রিক মৎস্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান থেকে জানা যাচ্ছে ধীরে হলেও মাছ ধরার হার দিন দিন বাড়ছে।
চট্টগ্রাম সামুদ্রিক মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. শরিফ উদ্দিন বলেন, “বিগত বছরে প্রায় ৭ লাখ মেট্রিক টন মাছ আমরা বঙ্গোপসাগর থেকে আহরণ করতে পেরেছি।”
চট্টগ্রাম থেকে সর্বোচ্চ দেড়শ’ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত মাছ ধরা হচ্ছে। অথচ ৬০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত আমাদের সীমানা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমুদ্রের দূরবর্তী অঞ্চলে কি পরিমাণ মৎস্য সম্পদ রয়েছে তা এখনও অজানা দেশের শিকারিদের কাছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. রাশেদ উন নবী বলেন, “বড় রিসার্স ভেসেল এনে পুরো বছরের সার্ভে করবো তখন বলতে পারবো যে আমাদের কোন জায়গায় কি পরিমাণ মাছ আছে এবং আমাদের বাৎসরিক উৎপাদন ক্ষমতা কতটুকু।”
দক্ষ জনবল ও ইউরোপের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির জাহাজ ব্যবহারের সুসমন্বিত উদ্যোগ নেয়া হলে বঙ্গোপসাগর থেকে মৎস্য সম্পদ আহরণের অপার সম্ভাবনা রয়েছে।
এএইচ/