গরু বিক্রি নিয়ে শংকায় খামারীরা (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:৫১, ১৪ জুলাই ২০২১ | আপডেট: ১২:৫২, ১৪ জুলাই ২০২১
রংপুরে প্রায় ৪ লাখ গরু বিক্রি নিয়ে শংকায় খামারীরা। মিলছে না বিক্রেতা। অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রির কথা বলা হলেও নেই তেমন সাড়া। আর গাইবান্ধায়ও কোরবানীর পশু বিক্রি করতে না পেরে হতাশ খামারীরা।
করোনার কারণে কোরবানীর গরু বিক্রি নিয়ে শঙ্কা দেশজুড়ে। রংপুরে সাড়ে ১৮ হাজার খামারীর ৩ লাখ ৯৬ হাজার গরুর ৯০ শতাংশই বিক্রির অপেক্ষায়। এর মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান ও শংকরসহ দেশীয় জাতের গরু।
রংপুর জেলায় চাহিদা রয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার গরুর। এরপর থেকে যায় ১ লাখ ৩৩ হাজার অতিরিক্ত। লকডাউনে পাইকাররা আসতে না পারায় আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শংকায় খামারীরা।
খামারীরা জানান, এবার বাজার খারাপ, তারপরও তো বিক্রি করতে হবে। করোনার কারণে বাইরে থেকে পার্টিরা আসতে পারে না। এসে যে নিয়ে যাবে সেরকম ব্যবস্থা নেই, রোডঘাটে নানা সমস্যা।
জেলা প্রশাসক বলছেন, অনলাইনে গরু কেনা বেচায় ততোটা পারদর্শী নন ক্রেতা-বিক্রেতারা।
রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেন, মানুষ উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করেছি যে, তারা সরাসরি কোন খামারে যেয়ে অথবা গ্রাম-ইউনিয়ন পর্যায়ে যেয়েও তারা কিনতে পারে। সেটা কিন্তু বন্ধ নেই।
এদিকে, গাইবান্ধায়ও শতাধিক খামারে প্রায় ৩০ হাজার কোরবানীর পশু বিক্রির জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
খামারীরা জানান, ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছি। কেমন কি করবো বুঝতে পারছি না। এই গরুর খাদ্য যদি কিনতে না পারি তাহলে গরু বাঁচাবো কি করে। প্রতিদিন একটা গরুর পেছনে ৩ থেকে ৪শ’ টাকা খরচ।
আর্থিক ক্ষতি থেকে বাঁচতে যে কোন উপায়ে পশু বিক্রির ব্যবস্থা চান খামারীরা।
ভিডিও-
এএইচ/
আরও পড়ুন