গর্ভস্থ সন্তান মেয়ে হলে অন্ত:স্বত্তা কি বেশি অসুস্থ হন?
প্রকাশিত : ১৪:৩৪, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১৬:২৮, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮
কোন প্রকার পরীক্ষা ছাড়া বলা সম্ভব না গর্ভের সন্তান মেয়ে হবে, নাকি ছেলে। সন্তান গর্ভে আসার পর, শিশুটি ছেলে না কি মেয়ে হবে- এটি জানার কৌতুহল প্রায় সকলেরই থাকে। মা-বাবার জানার আগ্রহ এ ক্ষেত্রে বেশি। যদিও ২০ সপ্তাহের আগে শিশুটির লিঙ্গ সম্পর্কে ডাক্তার জানাতে পারেন না। সে যাই হোক;-
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গেছে, গর্ভস্থ সন্তান মেয়ে হলে গর্ভকালীন বিভিন্ন রোগের প্রভাব মায়ের ওপর গুরুতর হতে পারে।
ওহাইয়ো স্টেট ইউনিভার্সিটির ওয়েক্সনার মেডিকেল সেন্টার পরিচালিত এক গবেষণায় গর্ভস্থ সন্তানের লৈঙ্গিক পার্থক্যের সঙ্গে মায়ের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সম্পর্ক পর্যালোচনা করে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
গবেষণায় আমান্ডা মিচেল ও তার দল ৮০ জন গর্ভবতী নারীর গর্ভাবস্থার প্রথম ভাগ, মধ্যভাগ ও শেষ ভাগ পর্যালোচনা করেন। এসব হবু মায়েদের মধ্যে ৪৬ জনের গর্ভস্থ সন্তান ছিল ছেলে ও বাকি ৩৪ জনের ছিল মেয়ে।
গবেষণায় বিশেষ করে গর্ভবতী নারীদের সাইটোকিনস লেভেল পর্যবেক্ষণ করা হয়। সাইটোকিনস হলো সংকেতদানকারী অনুজীব যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। অনেক সমসয় এদেরকে ইমার্জেন্সি অনুজীব বলা হয়, কারণ যে কোনো ধরণের অসুস্থতা মোকাবেলা করতে শরীর থেকে এটা বের হয়।
গবেষণায় একইসঙ্গে রক্তে ও পরীক্ষাগারে নেওয়া ব্যাকটেরিয়া উদ্ভাসিত নমুনায় সাইটোকিনস লেভেল পর্যালোচনা করা হয়। প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যায়, গর্ভস্থ সন্তান মেয়ে হলে হবু মায়ের আ্যাজমা ও অ্যালার্জির মতো কিছু কিছু অসুস্থতার লক্ষণ ও প্রদাহ গুরুতর হতে পারে।
প্রধান গবেষক মিচেল ধারণা করেছেন, গর্ভফুলে সেক্স হরমোন বা অন্যান্য হরমোনের উপস্থিতির কারণে প্রদাহের মাত্রা কম বেশি হতে পারে।
তবে সন্তান ছেলে না মেয়ে তার সঙ্গে মায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতির সম্পর্কে নিশ্চিত হতে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে মনে করছেন গবেষকরা।
সূত্র : মেডিকেল নিউজ টুডে
এসএ/