৩৮তম বিসিএস প্রস্তুতি
গাইড নয়, জোর দিন মৌলিক বিষয়াবলীতে
প্রকাশিত : ১৮:৪৫, ৯ নভেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৯:০২, ৯ নভেম্বর ২০১৭
মু. রাসেদুজ্জামান। জন্ম পটুয়াখালীর এক অজ পাড়াগাঁয়ে। ধুলোবালি আর কাদায় মাখানো শৈশব কেটেছে সেখানে-ই। প্রাথমিক আর উচ্চ মাধ্যমিকের গন্ডি পেরিয়ে ভর্তি হন ঢাকার বুয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজে। সেখানে এসে চেষ্টা করেন নিজেকে নতুনভাবে চেনার। কলেজে বিত্তবৈভবে ভরা বাবার সন্তানদের সঙ্গে পড়ালেখা করতে গিয়ে গ্রাম থেকে উঠে আসা এই কিশোরের মনে জেদ চেপে বসে। মধ্যবিত্ত পরিবার বেড়ে উঠা রাসেদুজ্জামান একটি অসম লড়াইয়ে জয়ী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তখন থেকেই। বিসিএস ক্যাডার হতে হবে এমন পণ মনে চেপে বসে।
রাসেদুজ্জামানের সেই প্রতীতি অপূর্ণ থাকেনি। ৩৪তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডার হয়ে বর্তমানে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্বে আছেন। বিসিএস প্রস্তুতি কখন থেকে নেওয়া উচিত, কীভাবে নেওয়া উচিত ইটিভি অনলাইনের মাধ্যমে বিসিএস প্রত্যাশী বন্ধুদের এমনটিই জানিয়েছেন রাসেদুজ্জামান। বিশেষ করে ৩৮ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার্থীরা স্বল্প সময়ে কীভাবে গুছানো প্রস্তুতি নিবেন সে বিষয়েও মূল্যবান পরামর্শ দিয়েছেন। পাঠকদের জন্য সেটি তুলে ধরা হলো। রাসেদুজ্জামানের সঙ্গে কথা বলে লিখেছেন আউয়াল চৌধুরী।
প্রশ্ন : বিসিএসের স্বপ্ন আপনার মধ্যে কিভাবে তৈরি হলো ?
মু. রাসেদুজ্জামান : ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে জানার আমার একটা প্রবল আগ্রহ ছিল। আমার বাবা পাবলিক হেল্থে বিভাগে চাকরি করতেন। তিনি তখন আমাদের বাসায় পত্রিকা রাখতেন। সেই অজ পাড়াগাঁয়ে ডেইলি পত্রিকা দুই দিন পরে পৌঁছাতো। সেই পত্রিকা হাতে নিয়ে বিভিন্ন আর্টিকেল পড়ে শুনাতেন বাবা। তখন থেকে পত্রিকার সঙ্গে আমার পরিচয়। বাবার সহযোগিতায় অনেকগুলো বিষয় জানার সুযোগ হতো। পরবর্তীতে এই জানাটা আমার জন্য বিশেষ কাজে দেয়। যদিও বিসিএস সম্পর্কে তখন আমার কোনো ধারণা ছিল না। কিন্তু বাবা সেটার গোড়াপত্তন করে দিয়ে যান। আজ বাবা নেই। তার বিষয়গুলো, তার চিন্তাগুলোই আজ মনে পড়ে। তিনি আমাকে সঠিক ট্র্যাক ধরিয়ে দিয়েছিলেন। মূলত বিসিএসে কাউকে পাশ করতে হলে তাকে পত্রিকা দেশি-বিদেশি জার্নাল আন্তর্জাতিক বিষয়ে খুঁটিনাটি সব কিছু জানতে হবে। তাই ছোটবেলা থেকে এ বিষয়ে অভ্যস্ত হতে পারলে বিসিএসের সময় এটি বিরাট কাজ দিবে।
প্রশ্ন : কেন বিসিএস ? অন্য কোনো জব নয় কেন ?
মু. রাসেদুজ্জামান : আমি যখন ঢাকা কলেজে পড়ি তখন দেখি বন্ধুদের মধ্যে অনেকেই ডাক্তারী বা ইন্জিনিয়ারিং এ পড়ছে। তাদের চলাফেরা স্টাইল আমাকে বড় হওয়ার স্বপ্ন যোগাতো। নিজেকে তাদের থেকে আলাদা মনে হতো। তখন তাদেরমতো বড় হওয়ার স্বপ্নে বিভোর থাকতাম। আমার কাছে মনে হয়েছে স্বপ্ন পূরণে বিসিএসই একমাত্র মাধ্যম। যেখানে রয়েছে সম্মান, ক্ষমতা, মানুষের জন্য কিছু করার সুযোগ। যা অন্য কোথাও নেই। তাই সব কিছু বাদ দিয়ে টার্গেট করেছিলাম বিসিএসকে।
প্রশ্ন : খুব সহজে বিসিএস পাড়ি দেওয়ার কোনো উপায় আপনার জানা আছে নাকি?
মু. রাসেদুজ্জামান : বিসিএস চাকরি পাওয়ার জন্য শর্টকার্ট বা সহজ কোনো মেথড নেই। আমি সেই কাক ডাকা ভোর থেকে রাত পৌনে নয়টা পর্যন্ত লাইব্রেরীতে পড়ে থাকতাম। বিসিএসের জন্য সব কিছুই ডিটেইল পড়তে হয়। কোনো গাইড বই বা নোট বই খুব বেশি যে উপকারে আসে, তা কিন্তু নয়। এখানে প্রত্যেকটি বিষয় সম্পর্কে সমান ধারণা থাকতে হবে। পিএসসির প্রশ্নগুলো একটা স্ট্যান্ডার্ড মেনটেইন করে। সেই স্ট্যান্ডার্ডে যেতে হলে বিসিএস প্রত্যাশীকে শৈশব থেকেই প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। গল্প উপন্যাস থেকে শুরু করে পত্রিকা, বিভিন্ন জার্নাল, প্রবন্ধ, আর্টিকেল, অর্থনীতি, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, সাম্প্রতিক বিভিন্ন জ্ঞান, সব বিষয়ে তাকে আপটুডেট থাকতে হবে। যেমন কেউ পাঁচটা বিষয়ের মধ্যে চারটিতে খুব ভাল করলো, একটিতে একটু খারাপ, সেটির কোনো কোনো সুযোগই নেই। প্রত্যেকটি বিষয়েই ভালো করতে হবে। যেহেতু এখানে সহজ কোন উপায় নেই সেহেতু কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। নিষ্ঠার সঙ্গে পরিশ্রম করতে হবে। সময় অপচয় করার কোন সুযোগ নেই। কোনো একটা সাবজেক্ট কম পড়লাম আবার কোনটা বেশি এটারও কোন সুযোগ নেই। মূলকথা পাঠ্যপুস্তকগুলোতে জোর দিতে হবে। ৫ম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠ্যবইগুলো আয়ত্ত্বে রাখতে হবে। সৃজনশীল ও মৌলিক বিষয়াবলীতে জোর দিতে হবে। যেমন ধরুন বিসিএস প্রিলিমিনারির বাংলা বিষয়ের প্রস্তুতির জন্য বাজারে প্রচলিত গাইড না পড়ে নবম দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ বইটি পড়লেই যথেষ্ট। এছাড়া উচ্চ মাধ্যমিকের ভূগোল, পরিবেশ বিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, সাধারণ বিজ্ঞান ও কম্পিউটার প্রযুক্তি বিষয়ের বইগুলো পড়লেই প্রস্তুতি অনেকটা হয়ে যায়।
প্রশ্ন : যারা এখন বিসিএস দিতে চাচ্ছে তাদের জন্য কিছু বলুন। কিভাবে তারা নিজেদের প্রস্তুত করবে ?
মু. রাসেদুজ্জামান : বিসিএসের জন্য শুধু একাডেমিক পড়া পড়লে হবে না। এর বাহিরের জ্ঞানটাও লাগবে। জানতে হবে, জানার পিরিধিটা অনেক বেশি বাড়াতে হবে। যতবেশি তথ্য নিজের মধ্যে নেওয়া যায়। আর সৃজনশীল চর্চা থাকতে হবে। বিসিএসে পড়ায় যেমন ভাল হতে হবে তেমনি লিখায়ও ভাল হতে হবে। ভালো আর্টিকেল তৈরি করারও ক্যাপাসিটি থাকতে হবে। লিখার ক্ষেত্রে এমন কিছু শব্দ প্রয়োগ করতে হবে যেগুলো অনন্য। নিজের লেখার মাধ্যমেই নিজেকে আলাদা করে নিতে হবে। একজন পরীক্ষক যখন খাতা দেখেন তার কতটুকু মুখস্ত সেটা তিনি দেখেন না। তিনি দেখেন সে কি লিখলো খাতায়। ব্যতিক্রম কি আছে। আর বিসিএস এর রেজিষ্ট্রেশন থেকে শেষ পর্যন্তও একটা পরীক্ষা। এখানে ভুল করা যাবে না। ক্যাডার চয়েজের ক্ষেত্রেও ভুল করা যাবে না। নিজের কোনো ধরণের ক্যাডার পছন্দ সে আলোকে দিতে হবে।
পরীক্ষার সময় টাইম ম্যানেজমেন্ট একটা বড় বিষয়। একটা প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য ৪০-৫০ সেকেন্ড সময় পাওয়া যায়। এ জন্য আগে থেকেই দ্রুত উত্তর লেখার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। নির্ভুল উত্তর দিতে হবে। ভুল করলে নম্বর কাটা যাবে। এ কারণেও অনেকে বাদ পড়ে যায়। এরপর লিখিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে বলবো প্রতিটা বিষয়েরই আলাদা আলাদাভাবে সমান গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে। শর্টকার্ট কোনো টেকনিক বা পদ্ধতি নেই। এসব চিন্তা করে বেশি দূর এগুনো যায় না। সমকালীন বিশ্ব, টিভির খবর, অর্থ-বাণিজ্য, প্রযুক্তির সংবাদ অর্থাৎ সব দিকগুলোই দেখতে হবে।
এরপর ভাইভার তো আনলিমিটেড সিলেবাস। পৃথিবীর যেকোনো বিষয় থেকেই প্রশ্ন করতে পারে। তবে কমন- আনকমন একটা বিষয় আছে সেগুলো সম্পর্কে জানতে হবে। একবার দু’বার না হলে ভেঙ্গে পড়ার বা হতদ্যেম হওয়ার তেমন কিছু নেই। একদম শেষ বিসিএস পর্যন্ত সম্ভাবনা থাকে। প্রথম দিকে অনেকের হয় না। প্রশ্নের ধরণ বুঝতে সময় লাগে। পরবর্তীতে প্যাটার্ন বুঝে উত্তর দেওয়া সহজ হয়।
আমার মতে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই বিসিএসের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়া উচিৎ। সর্বশেষ আমি বলবো ভাগ্য বলে একটা কথা আছে, এটাকে মানতেই হবে।
প্রশ্ন : বিসিএসের এই লং জার্নিতে বুকে চাপা কোনো কষ্ট কি ছিল ?
মু. রাসেদুজ্জামান : আমি দুইবার ভাইভার মুখোমুখি হই। প্রথমবার নন ক্যাডার আর দ্বিতীয়বার ক্যাডার। প্রথম ভাইভাটা আমার চাকরির বয়স সীমার একেবারে শেষ প্রান্তে এসে হয়। এ সময় নিজের ওপর খুবই প্রেসার ছিল। অনেক চেষ্টার পরও যখন দেখলাম যে বিসিএস হচ্ছে না, আমার অন্যান্য বন্ধুরা যেখানে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে সেখানে এখনো আমার কিছুই হয়নি। তখন খুব খারাপ লাগতো। ফলে আমাকে একটা চ্যালেঞ্জ নিয়েই এগুতে হয়েছে। আসলে চাকরির বয়স সীমার শেষ প্রান্তে চলে আসায় হতাশ হওয়ার মত অনেক কিছুই ছিল। ৩৩তম বিসিএসে আমার লিখিত এবং ভাইভা দুটোই ভাল হয়েছিল। কিন্তু ভাগ্যটা আমার পক্ষে ছিল না। ওই সময়টা অনেক বেশি কষ্টের ছিল। যা কাউকে বোঝাতে পারবো না। ৬-৭ মাস খুবই কষ্টে কেটেছে। নিজেকে খুব অসহায় লাগছিল। প্রায় ৭ মাস পরেই মহান আল্লাহর কৃপায় আমার নন ক্যাডারের চাকরিটি হয়। এরপর নিজের মধ্যে স্বস্তি আসে। পরবর্তীতে ৩৪তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডার হলে আমার স্বপ্ন ধরা দেয়।
প্রশ্ন : আপনার জীবন গড়ার পেছনে কার প্রেরণা সবচেয়ে বেশি ছিল ?
মু. রাসেদুজ্জামান : এক্ষেত্রে আমার বাবা মায়ের প্রেরণাটাই সবচেয়ে বেশি ছিল। তারা আমাকে যথেষ্ট সহযোগিতা দিয়েছেন। বিসিএস জব বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রেস্টিজিয়াস জব। এটি পেতে অনেক পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। অনেকের সহযোগিতা ছিল। আমার বাবা নিজে প্রচুর পড়ালেখা করতেন। মা প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। আমি আগেই বলেছি, আমাদের সেই অজো পাড়া গাঁয়ে লঞ্চে করে দুই দিন পরে যে পত্রিকাটি যেতো আমার বাবা পেপার পড়ে যা কিছু জানতেন সেগুলো আমাকে শেয়ার করতেন। পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন রাইটারের বইগুলোও আমাকে পড়ে শুনাতেন। যখন বিসিএস দিতে আসলাম তখন বুঝতে পারলাম ওই সময় বাবার সঙ্গে যে পড়াশোনাটা হয়েছে সেটি আমাকে কতটা রিচ করে দিয়েছে। এরপর আমি ওই সময়ের প্যাটার্নটা ধরে রাখার চেষ্টা করি। নিয়মিত পত্রিকা পড়া, টেলিভিশনের খবর দেখা ইত্যাদি। এই অভ্যাসটা আমার ছিল। এটাই আমাকে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে দিয়েছে।
প্রশ্ন : শুধু পাঠ্যবই পড়ে কি বিসিএস উৎরানো যায়?
মু. রাসেদুজ্জামান : না। বিসিএসের পদ্ধতিটা অনেকটা সৃজনশীল টাইপের। বই থেকে মুখস্ত করে নম্বর ক্যারি করলাম বিষয়টা ওই রকম নয়। এখানে সৃজনশীল অনেকগুলো বিষয় রয়েছে। প্রশ্নের মধ্যে সৃজনশীল উত্তর রয়েছে। বিভিন্ন তথ্যের উপর নির্ভর করে, ইতিহাসের উপর নির্ভর করে সৃজনশীল যে আর্টিকেলগুলো লিখা হয়, উত্তরগুলো ঠিক ওভাবেই সাজাতে হয়। একাডেমিকের চেয়ে এই জিনিসগুলো আলাদা। এটা কারিকুলাম এ্যক্টিভিটিস এর মাধ্যমে আসে, বিভিন্ন ধরণের পড়াশোনার মাধ্যমে আসে, দেশ-বিদেশের জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে তৈরি হয়। এ জন্য প্রয়োজন নিজেকে আপটুডেট রাখা। এ ক্ষেত্রে ছোটবেলার ঐ পদ্ধতিটা আমার অনেক বেশি উপকার করেছে।
প্রশ্ন : আপনি বুয়েট কলেজে পড়ার কথা বলেছেন। সেখানকার কোন বিষয়গুলো আপনাকে চ্যালেঞ্জের পথে নিয়ে যায় ?
মু. রাসেদুজ্জামান : আমি যখন অজ পাড়াগাঁ থেকে এসে বুয়েট কলেজে ভর্তি হলাম, তখন দেখলাম কারো বাবা বড় অফিসার, কারো বড় ব্যবসায়ী, কারো সরকারী আমলা। ওদের জীবনের যে গতি, চলাফেরা, স্টেটাস সেটা আমার থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। ওরা যে ধরণের লাইফ লিড করে আমি সেটা চিন্তাও করি না। তখন আমার ভেতরে একটা চ্যালেঞ্জ চলে আসে। ওদের মত জীবন, অবস্থান, সম্মান তৈরি করতে হবে। তাদের সঙ্গে আমার যে ব্যবধান সেটি আমাকে উৎরে যেতে হবে। পরবর্তীতে কলেজ শেষ হওয়ার পর বন্ধুদের অনেকে ভাল ভাল জায়গায় ভর্তি হয়ে গেলো। কেউ মেডিকেলে, কেউ বুয়েটে, আমি ঢাকা কলেজে ভর্তি হই। আমার ইচ্ছা ছিল না কিন্তু মধ্যবিত্ত পরিবার, অন্য ভাইবোনেরা আছে। পরিবারের সামর্থ্যের কথা চিন্তা করে এখানে ভর্তি হই। আর্থিক সংকট সব সময়ই ছিল। যখন বন্ধুদের সঙ্গে চলতাম তখন নিজের কাছে খুব খারাপ লাগতো। তারা কত ভাল জায়গায় পড়ছে আর আমি কোথায় পড়ে আছি। নিজেকে তাদের থেকে আলাদা মনে হতো। তখন সিদ্ধান্ত নেই আমি যেখানে আছি ঠিক এখান থেকেই আমাকে উঠতে হবে। আমার জন্য এটা একটা বিশাল চ্যালেঞ্জ ছিল। নানা সীমাবদ্ধতার মাঝেই নিজেকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করি। অনার্স শেষ করার পরপরই বিসিএসের জন্য একেবারে মন-প্রাণ উজাড় করে নেমে পড়ি।
/ এআর /
আরও পড়ুন