ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪

ভিডিও দেখুন

গাইবান্ধায় দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন, বিলীন হচ্ছে বসতভিটা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৫৯, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১৩:০০, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

পানি নেমে যাওয়ার পর, তিস্তা-ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে বিপর্যস্ত গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা ও ফুলছড়ি। হারিয়ে গেছে অনেক বাড়িঘর। মানুষ আশ্রয় নিচ্ছে উঁচু স্থানে।

ভারতের গজলডোবা ব্যারাজের সব গেট খুলে দেওয়ার পর বিপদসীমায় বইতে থাকা তিস্তা নদীর পানি এখন কমতে শুরু করেছে। তবে এর তীরর্বতী বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। সেই সঙ্গে প্লাবিত এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। কিন্তু পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে দুর্গতরা। ভাঙন শুরুর আতঙ্কে লোকজন ঘড়বাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। বিশেষ করে চরের গ্রামগুলোতে নড়বড়ে হয়ে যাওয়া বাড়িতে ফিরতে পারছে না বন্যাকবলিতরা।

কবলিত এলাকায় এখনো হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। ওই সমস্ত এলাকার বহু কাঁচাপাকা রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে গোখাদ্য সংকট। বন্যাকবলিতদের মধ্যে এখনো কয়েক হাজার পরিবার নিজ বাড়িতে ফিরতে পারেনি। অনেক পরিবারে এখনো খাবার সংকট বিরাজ করছে। এসব মানুষের যোগাযোগ বাহন বলতে নৌকাই একমাত্র ভরসা হয়ে দাড়িঁয়েছে। র্বতমানে নৌকার অভাবে সঠিক সময়ে বাড়ি থেকে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় যেতে পারছেনা অনেক শিক্ষার্থী।


যমুনার পানি কমলেও, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাজার হাজার হেক্টর জমির ফসল। এছাড়াও দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবারপানি সংকট। ত্রাণ সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্তদের। জামালপুরের বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে যমুনার পানি কমেছে। তবে ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জে এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪ হাজার হেক্টর জমির ফসল।
এদিকে ভাঙন ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রেজাউর রহমান জানান, তাৎক্ষণিকভাবে বালুর বস্তা ফেলে নদীর ভাঙ্গন কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

এসএ/

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি