গাইবান্ধায় ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত জমির ধান
প্রকাশিত : ০৮:৪৯, ১৯ এপ্রিল ২০১৭ | আপডেট: ১১:৪১, ১৯ এপ্রিল ২০১৭
ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৪শ’ বিঘা জমির ধানে চিটা হওয়ায় মাথায় হাত গাইবান্ধার হাজারো কৃষকের। অনেক কৃষক ধান না কেটে ক্ষেতেই ফেলে রাখছেন। কেউ কেউ ধান কেটে গরুকে খাওয়াচ্ছেন। ঋণ বা দাদনের টাকায় ধান চাষ করে দিশেহারা অনেক কৃষক।
দেখতে পাকা ধানের মতো হলেও সবই চিটা। কৃষকরা তাই না কেটে ফেলে রেখেছেন জমিতে। কেউ বা খাওয়াচ্ছেন গরুকে। এই দৃশ্য সদর উপজেলার বোয়ালী, কামারজানি, কুপতলা, মালিবাড়ি, ঘাগোয়া ইউনিয়নসহ সুন্দরগঞ্জ ও ফুলছড়ির অন্তত ৪০টি গ্রামের।
ইরি-২৮ জাতের ধানেই চিটা বেশি হয়েছে বলে জানান কৃষকরা। তাদের অভিযোগ, সময়মতো কৃষি বিভাগের সঠিক পরামর্শের অভাব আর মানসম্পন্ন বীজ বাজারজাত না করায় এই অবস্থা।
ভরা মৌসুমে ঘরে ফসল তুলতে না পেরে কৃষকরা দিশেহারা। একদিকে দাদনের টাকা পরিশোধ, অন্যদিকে পরিবার-পরিজনের সারা বছরের খাবারের চিন্তা তাদের ঘুম কেড়ে নিয়েছে।
ব্লাস্ট রোগের আক্রমণে ধানে চিটা হয়েছে দাবি করে কৃষি কর্মকর্তারা ক্ষতি পোষাতে নানা পরামর্শ দেয়ার কথা জানান।
ধানে চিটা হবার কারণ চিহ্নিত করে ভবিষ্যতের জন্য ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেয়ার দাবি কৃষকদের।
আরও দেখুন (ভিডিও)
আরও পড়ুন