গাইবান্ধায় সব ওষুধের দোকান বন্ধ
প্রকাশিত : ১২:৪৭, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
গাইবান্ধা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের এক নেতার বোনের সঙ্গে কথা কাটাকাটির জের ধরে গাইবান্ধার সব ওষুধের দোকান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি গাইবান্ধা জেলা শাখা। এ ঘোষণায় বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে গাইবান্ধার সব ওষুধের দোকান বন্ধ রয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তানজিল আহমেদ মোনার বোন শারমিন আক্তার ও ছোট ভাই হারুন মিয়াকে বহনকারী ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকসা বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের ডিবি রোডের বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল সংলগ্ন ওষুধের দোকান আরকে ট্রেডিংয়ের সামনে এসে অটোচালক আর যেতে রাজি হননি। এতে তাদের সঙ্গে অটোচালকের কথা কাটাকাটির সময় পাশেই দোকান থেকে আরকে ট্রেডিংয়ের স্বত্তাধীকারী রুহুল আমিন এগিয়ে গিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করলে শারমিন আক্তারের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শারমিন আক্তার ধাক্কা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে রুহুল আমিন তাকে থাপ্পড় দেন।
খবর পেয়ে তানজিল আহমেদ মোনাসহ কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন মামুন ও অন্যান্য নেতাকর্মীরা আরকে ট্রেডিংয়ে যান। অন্যদিকে, ওষুধ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি গাইবান্ধা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান। সেখানে আশপাশের ওষুধ ব্যবসায়ী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা থানায় গিয়ে একটি অভিযোগ দেন।
পরে সন্ধ্যার দিকে জেলা পরিষদের গেটের উত্তর পাশে দু`পক্ষের মারামারিতে সাইফুল ইসলাম আহত হন। তাকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও শাস্তি দাবি করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সন্ধ্যায় জেলা শহরের এক নম্বর ট্রাফিক মোড়ে গিয়ে সমাবেশ করেন। অন্যদিকে কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি জরুরি সভা করে সাইফুল ইসলামের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতার ও সুষ্ঠু সমাধান না হওয়া পর্যন্ত জেলার সব ওষুধের দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
একে//এসএইচ
আরও পড়ুন