ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪

গাজীপুর সিটি নির্বাচনে নজিরবিহীন প্রস্তুতি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:০২, ২৪ জুন ২০১৮ | আপডেট: ১২:১৮, ২৪ জুন ২০১৮

গাজীপুর সিটি নির্বাচনের আর মাত্র একদিন বাকি। নজিরবিহীন কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। ইতোমধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সার্বিক প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করেছেন নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনি এলাকার নিরাপত্তায় আজ রোববার থেকে মাঠে নামছে বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ, এপিবিএন, আনসারসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রায় ১১ হাজার সদস্য। ২৯ প্লাটুন বিজিবি, র‍্যাবের ৫৮টি টিম এবং পুলিশের ৫৭টি মোবাইল ও ২০টি স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন হচ্ছে। গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মন্ডল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, সিটি নির্বাচন উপলক্ষে ইতোমধ্যে পুরো গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলেছে আইনশৃংখলা বাহিনী। পোশাক ছাড়াও বিপুল পরিমাণ পুলিশ সাদা পোশাকে নগরীর বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব পালন করছেন। নির্বাচন উপলক্ষে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পুলিশসহ আইনশৃংখলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।

এদিকে, এ নির্বাচনের সব ধরনের প্রচারকাজ আজ রোববার দিবাগত মধ্যরাতে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হচ্ছে। আর শনিবার মধ্যরাত থেকে বহিরাগতদের গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় অবস্থান নিষিদ্ধ করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এর ফলে গাজীপুরের ভোটার নন এমন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারা আজ থেকে সেখানে অবস্থান করতে পারবেন না।

এ নির্বাচনে বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থীর মধ্যেই মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। তবে অপর দলের প্রার্থীরাও নির্বাচনের মাঠে তাদের গ্রহণযোগ্যতা যাচাই করে দেখতে চান।

রিটানিং কর্মকর্তা বলেন, নির্বাচন উপলক্ষে সব প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে। শুক্রবার পর্যন্ত ৯ হাজার জন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োগ প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই বিপুল পরিমাণ সদস্য মোতায়েনের প্রধান উদ্দেশ্য হলো নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ করা।

প্রসঙ্গত, আগামী মঙ্গলবার (২৬জুন) অনুষ্ঠিত হবে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। এর আগে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয় গত ৩১ মার্চ। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১৫ মে এ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সীমানা নির্ধারণ নিয়ে জটিলতাকে কেন্দ্র করে হাইকোর্ট গত ৬ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করে আদেশ দেন। এতে স্থগিত হয়ে যায় নির্বাচনী সব ধরনের কার্যক্রম। পরে হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই মেয়র প্রার্থী এবং নির্বাচন কমিশন। শুনানি শেষে ওই স্থগিতাদেশ স্থগিত করে নির্বাচন অনুষ্ঠান করার আদেশ দেন উচ্চ আদালত। উচ্চ আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ভোট গ্রহণের নতুন এ তারিখ নির্ধারণ করে দ্বিতীয় দফায় ঘোষণা দেয় নির্বাচন কমিশন। নতুন ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী গত ১৮ জুন থেকে এ নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু করেন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা।

৫৭টি সাধারণ এবং ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড বিশিষ্ট এ সিটি করপোরেশনের মোট ভোটার ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৭ জন। এর মধ্যে ৫ লাখ ৭৯ হাজার ৯৩৫ জন পুরুষ এবং ৫ লাখ ৬৭হাজার ৮০১ জন নারী ভোটার। এ নির্বাচনে মেয়র পদে সাত জন, সংরক্ষিত আসনে (নারী কাউন্সিলর) ৮৪ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৫৪জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ২০১৩ সালে গাজীপুর ও টঙ্গি পৌরসভার ৩২৯ দশমিক ৫৩ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে গাজীপুর মহানগরের যাত্রা শুরু হয়।

একে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি