ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

গান পিছু কত টাকা পারিশ্রমিক নিতেন লতা মঙ্গেশকর?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:৫৩, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২

লতা মঙ্গেশকর প্রায় আট দশক ধরে ভারতীয় সিনেমায় গান গেয়েছেন। তবে পারশ্রমিকের বিষয়ে তিনি প্রথম থেকেই তার সমসমায়িকদের তুলনায় বেশ অনেকটা এগিয়ে। কিন্তু, কত টাকা পারিশ্রমিক নিতেন সুরসম্রাজ্ঞী জানেন!

গত ৬ ফেব্রুয়ারি সঙ্গীতাঙ্গনকে কাঁদিয়ে চিরঘুমের দেশে পাড়ি দিলেন কিংবদন্তী গায়িকা লতা মঙ্গেশকর। মাত্র ১৩ বছর বয়সে আচমকাই লতার কাঁধে এসে পড়ে সংসারের দায়িত্ব। বাবা পণ্ডিত দীনানাথ মঙ্গেশকরের মৃত্যুর পর সংসারের হাল ধরতে হয় বড় মেয়ে লতাকে সালটা ছিল ১৯৪২।

নবযুগ চিত্রপট সিনেমা কোম্পানির মালিক মাস্টার বিনায়ক ছিলেন মঙ্গেশকর পরিবারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তিনিই লতাকে গায়িকা ও অভিনেত্রী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করতে সাহায্য করেছিলেন। প্রথমে মারাঠী ছবিতে কণ্ঠ দেন লতা মঙ্গেশকর৷ কিন্তু প্রথম ছবিতে তার গাওয়া গান পরবর্তীতে ব্যবহারই করা হয় না সিনেমায়।

কিন্তু লতা মঙ্গেশকরের যে গানে ভেসেছিল গোটা উপমহাদেশ সেট ছিল ‘মহল’ ছবির ‘আয়েগা আনেওয়ালা’। শিল্পী হিসেবে নিজের স্বাক্ষর রেখে গিয়েছিলেন তার প্রথম গান থেকেই। তবে ‘আয়েগা আনেওয়ালা’ গানটি জনপ্রিয়তা দেয় সুরসম্রাজ্ঞীকে।

পারিশ্রমিকের বিষয়ে প্রথম থেকেই লতা মঙ্গেশকর ছিলেন শীর্ষে। শোনা যায়, তিনি তার প্রথম গানের জন্যে পেয়েছিলেন সেই যুগে প্রায় ৫০০ টাকা।

একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, লতা মঙ্গেশকর তার কেরিয়ারের শুরু দিকে প্রতি গান পিছু নিতে ২০,০০০ টাকা। তারপর তার পারিশ্রমিক বেড়ে হয় ৫০,০০০ টাকা। সূত্রের খবর, সেখান থেকে বেড়ে লতা মঙ্গেশকরের পারিশ্রমিক গান পিছু দাড়ায় এক থেকে দেড় লাখ টাকা। কিন্তু আবার এমন অনেক গানই রয়েছে যে গুলোর জন্যে এক টাকাও পারিশ্রমিক নেননি সুরসম্রাজ্ঞী।

তার দীর্ঘ সঙ্গীত জীবনে বিভিন্ন সংগীতকার ও সুরকারের তৈরি গান গেয়েছেন লতা ৷ যাদের মধ্যে ছিলেন অনিল বিশ্বাস শংকর জয়কিশান, নৌশাদ আলী, শচীন দেব বর্মন, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, সলিল চৌধুরী, খৈয়াম, রবি, রোশন, কল্যাণজি-আনন্দজি, মদন মোহন, এবং উষা খান্না প্রমুখ। আবার হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, কিশোর কুমার, মুকেশ মহম্মদ, রফি প্রমুখ গায়কদের সঙ্গেও দ্বৈত সঙ্গীতে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি ৷

সুর সম্রাজ্ঞি বাংলা ভাষায় মোট ১৮৫টি গান গেয়েছেন ৷ ১৯৫৬ সালে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সুর করা 'প্রেম একবারই এসেছিল নীরবে' গানের মাধ্যমে বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে।

একই বছরে তিনি ভূপেন হাজারিকার সুর করা 'রঙ্গিলা বাঁশিতে' রেকর্ড করেন। যা ব্যাপক হিট হয়।

পাঁচের দশকের শেষের দিকে, তিনি 'যারে উড়ে যারে পাখি', 'না যেওনা' এবং 'ওগো আর কিছু তো নয়' -এর মতো হিট গান রেকর্ড করেছেন লতা। সবক'টি গানই সলিল চৌধুরী রচিত ৷ ১৯৬০ সালে, তিনি 'আকাশ প্রদীপ জ্বলে' রেকর্ড করেছিলেন। যা আজও বাঙালির প্রাণের খুব কাছের।

সূত্র: এই সময়

এসবি/ 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি