গুচ্ছ পদ্ধতির ফি বাতিলের দাবিতে ছাত্র অধিকার পরিষদের মানববন্ধন
প্রকাশিত : ১৪:২২, ১৬ নভেম্বর ২০২১
গুচ্ছ পদ্ধতির বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক আবেদন ফি বাতিল এবং মেধাক্রমের ভিত্তিতে ভর্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তারা এ মানববন্ধন করে।
ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সদস্য জহির ফয়সালের সঞ্চালনায়
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘গুচ্ছ পদ্ধতিতে যারা আবেদন করেছে তারা প্রতেকে ১২০০ টাকা প্রদান করে আবেদন করেছে। পরবর্তীতে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ই পৃথকভাবে আবেদন ফি বাড়িয়েছে; মেধাবী ও নিম্নবিত্তদের গলাকাটার পাঁয়তারা করছে। অবিলম্বে গুচ্ছ পদ্ধতির বাড়তি ভর্তি ফি বাতিল করতে হবে। মেধাক্রমের ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ দিতে হবে। দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দিতে হবে।’
ছাত্র অধিকার পরিষদের জাবি শাখার প্রচার সম্পাদক ইকবাল বলেন, ‘এখনই সময় গুচ্ছ পদ্ধতি নামক শিক্ষা বাণিজ্যের বিরুদ্ধে কথার। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বা শিক্ষকদের কাজ কি? তারা দেশ গড়ার কারিগর। প্রতিটি শিক্ষার্থী, কর্মচারীর অধিকার রক্ষা করা। কিন্তু তাদের শিক্ষাবাণিজ্যের কারণে অনেকে সুযোগ পান না। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে প্রতিটি অনুষদে প্রায় ৬শ’ টাকা করে খরচ করতে হবে। এখানে কোন মেধাতালিকা দেয়া হয়নি। শিক্ষার্থীরা জানেই না কোথায় তাকে আবেদন করতে হবে। এ হয়রানির অবসান ঘটাতে হবে।’
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী নাজিউল আলম বলেন, ‘গুচ্ছ ভর্তিতে আমাদের কোন মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয় নাই। আমরা কিভাবে বুঝব কোথায় আবেদন করতে হবে? আমরা কোথায় যাব? প্রথমে ১২০০ টাকা করে খরচ করে আবেদন করেছি। এখন আবার বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে ৬০০ করে টাকা লাগবে। আমাদের ভোগান্তির শেষ কোথায়?’
ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাকা জেলা উত্তরের সভাপতি জুবায়ের হোসেন জুম্মান বলেন, ‘উন্নত দেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষক তৈরির জন্য কাজ করেছে। আর আমাদের দেশে সবই বাণিজ্যিক। এরা ব্যবসায়ের সাথে যুক্ত হয়ে জাতিকে কলংকিত করছে। তাদের এ বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজ মাঠে নামবে।’
সঞ্চালনায় ছিলেন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সদস্য জহির ফয়সাল।
প্রসঙ্গত, দেশের ২০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ২০২০-২১ সেশনের স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষা একযোগে অনুষ্ঠিত হয়। গত ২০ অক্টোবর, ২৬ অক্টোবর ও ৩ নভেম্বর যথাক্রমে এ, বি ও সি ইউনিটের ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
এরপর ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য ৭ নভেম্বর থেকে ১১ নভেম্বর সময় বেঁধে দেয় কর্তৃপক্ষ। পুনঃনিরীক্ষণের জন্য একজন শিক্ষার্থীকে ২ হাজার টাকা খরচ করতে হবে।
এএইচ/
আরও পড়ুন