ঢাকা, মঙ্গলবার   ২২ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

গুচ্ছ ভর্তির ইবি কেন্দ্রে নিয়ম ভেঙে সরব বাইকাররা

ইবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৯:৫৬, ২১ মে ২০২৩

Ekushey Television Ltd.

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তবে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কেন্দ্র এলাকায় নিয়ম ভেঙে অননুমোদিত বাইক চালকদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে

শনিবার (২০ মে) বেলা ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬টি একাডেমিক ভবনে ‘বি’ ইউনিটভুক্ত মানবিক বিভাগের পরীক্ষা শুরু হয়ে চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত। এতে ৬ হাজার ৮৫০ জন শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ করার কথা ছিল। তাদেরকে কেন্দ্র করে দুটি ছাত্র সংগঠনের ‘জয় বাংলা’ ও ‘গেরিলা’ বাইক সার্ভিসের ৬টি বাইককে জরুরি পরিস্থিতির ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার অনুমতি প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সরেজমিনে দেখা যায়, ৬টি বাইকের অনুমতি প্রদান করা হলেও প্রকৃত সংখ্যা ছিল তার অধিক। একইসঙ্গে অনুমোদিত দুই বাইক সার্ভিসের বাহিরেও বাইকারদের সরব উপস্থিতি দেখা গেছে। পরীক্ষা কেন্দ্রে অননুমোদিত বাইক চালকদের বেপরোয়া গতি নিয়েও ভীতি প্রকাশ করেছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকা সংলগ্ন প্রবেশদ্বার দিয়ে অননুমোদিত বাইকগুলো ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে এবং নিয়ম ভেঙে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে চলাচল করে।

এ বিষয়ে সুমন বিশ্বাস নামের এক পরীক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে পরীক্ষার দিন অতিরিক্ত বাইক চলাচল ঠিক না। যে কোন সময় যে কোন ধরণের ঘটনা ঘটতে পারে। আমাদের সচেতন থাকা উচিত। তবে বাইক সার্ভিসের মাধ্যমে অনেকেই উপকৃত হয়েছেন। তারা সার্ভিসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে কেন্দ্রে পৌঁছে দিয়েছেন।

অপেক্ষমান আরেকজন অভিভাবক বলেন, কেন্দ্রে পরীক্ষা চলছে কিন্তু কেন্দ্রের সামনের রাস্তাগুলোয় এখনও বাইক চলছে। বিষয়টিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নজর দেয়া উচিত। তাছাড়া কেন্দ্রের আশেপাশেও অনেক লোকজন ভীড় করে আছে। অভিভাবক ছাউনি করা হয়েছে, কেন্দ্রের আশেপাশে ভীড় না করে নিরাপত্তার স্বার্থে সেখানে অবস্থান করা উচিত।

এবিষয়ে ছত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোখলেসুর রহমান সুইট বলেন, প্রক্টর অফিস থেকে বলা হয়েছিল ছাত্র সংগঠনগুলো ক্যাম্পাসে বাইক সার্ভিস দিবে। আমরা তিনটি বাইক নিয়ে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের সার্ভিস দিয়েছি। এর বাহিরে যেই বাইকগুলো ছিল তাদের বিষয়ে প্রশাসন বলতে পারবে।

ইবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, আমাদের জয় বাংলা বাইক সার্ভিসের দশটি বাইক পরীক্ষার্থীদের সেবার জন্য ছিল। আমারা জরুরি পরিস্থিতির ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছে দিয়েছি। জয় বাংলার সকল বাইক ছাত্রলীগের ব্যানারে ছিল কিন্তু এর বাহিরে যে সকল বাইক চলাচল করেছে তাদের সঙ্গে ছাত্রলীগের কোন সম্পর্ক নেই।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, অন্যান্য বছর অননুমোদিত বাইক চলে বলে এ বছর আমরা ৬টি বাইকের কার্ড করে দিয়েছিলাম। এর বাহিরে কোন বাইক চলতে পারবে না। আমাদের দায়িত্ব হলো শিক্ষার্থীদের পাশে থাকা ও সুস্থ, সুন্দরভাবে যাতে তারা পরীক্ষা দিতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখা। এই জায়গায় যদি কোন বিঘ্ন ঘটে থাকে তাহলে পরবর্তী পরীক্ষায় আমরা আরও কঠোর পদক্ষেপ নিবো।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি