গুজব ও মিথ্যাচারকারীদের কঠোরভাবে দমন করা হবে : তথ্যমন্ত্রী
প্রকাশিত : ১৭:৫১, ১৯ আগস্ট ২০১৮ | আপডেট: ১৬:৪৩, ২১ আগস্ট ২০১৮
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জানালা খোলা রাখার পক্ষেই সরকারের অবস্থান। তবে গুজব ও মিথ্যাচারকারীদেরও কঠোরভাবে দমন করা হবে। সেটি ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব বন্ধ করে নয়। সঠিক তথ্য সরবরাহের জন্য মূলধারার গণমাধ্যমকে সামাজিক মাধ্যমে আরও সক্রিয় হতে হবে।
আজ রোববার দুপুরে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) ও ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম সেন্টার বাংলাদেশের (আইজেসিবিডি) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পিআইবির অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘ফেসবুকে গুজব ও গণমাধ্যমের করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিলে সভাপতিত্ব করেন পিআইবির মহাপরিচালক শাহ আলমগীর। আলোচনায় অংশ নেন একুশে টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক ও প্রধান নির্বাহী মনজুরুল আহসান বুলবুল, নাগরিক টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক ও বিএফইউজের কোষাধ্যক্ষ দীপ আজাদ, মাছরাঙা টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক রাশেদ আহমেদ, ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক আশিষ সৈকতসহ সিনিয়র সাংবাদিকরা। সঞ্চালনা করেন জিটিভি ও সারাবাংলার প্রধান নির্বাহী ও বিএফইউজের সহসভাপতি সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা।
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে মিথ্যাচার ও গুজবের বাহন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। গুজব রটনাকারীরা দেশ, গণমাধ্যম ও গণমানুষের শত্রু। যেকোনো ঘটনার সময় তারা গুজব রটিয়ে মূলধারার গণমাধ্যমের সঙ্গে সরকারের বিভেদ তৈরি করে। যারা বিভিন্ন ইস্যুতে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে পরাজিত হয়েছে, তারাই এসব গুজব ও মিথ্যাচার রটিয়ে ফায়দা হাসিল করতে চায়। বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামী ও সাম্প্রদায়িক শক্তি এবং বিএনপি ও তাদের সহযোগীরা গুজবের উৎপাদন ও পুনরুৎপাদন করে। তিনি গুজবে ভয় না পেয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেন।
সাংবাদিকদের পরামর্শের আলোকে যেকোনো ঘটনার সময় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলা ও তথ্য দেওয়ার জন্য একজন মুখপাত্র নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে হাসানুল হক ইনু সরকারের সঙ্গে আলাপ করবেন বলেও জানান।
ইনু বলেন, তথ্যের উৎস যাচাই করে সংবাদ পরিবেশন করে সঠিক সংবাদটি ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউবে শেয়ার করলে গুজব নিচে পড়ে যাবে।
এসএইচ/
আরও পড়ুন