গুটিয়ে নিতে হচ্ছে অ্যাকর্ডের কার্যক্রম
প্রকাশিত : ১৬:১৪, ২৮ আগস্ট ২০১৮
কার্যক্রম গুটিয়ে নিতে হতে পারে পোশাক খাতের সংস্কারবিষয়ক ২০০ ব্র্যান্ডের ইউরোপের ক্রেতাজোট অ্যাকর্ড অন ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশের (অ্যাকর্ড)। অ্যাকর্ডের মেয়াদ আর না বাড়াতে আদালতের প্রথম দফা নিষেধাজ্ঞার পর এ বিষয়ে সরকারকে সরাসরি অনুরোধ করেও সাড়া পায়নি অ্যাকর্ড। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই শেষ হয়ে যাচ্ছে অ্যাকর্ডের কার্যক্রম।
জানা গেছে, নতুন করে মেয়াদ বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছে অ্যাকর্ড। আবেদনে বর্তমান মেয়াদ শেষ হওয়ার পরই দ্বিতীয় মেয়াদে `সেকেন্ড অ্যাকর্ড` নামে আগের মতোই স্বাধীনভাবে সংস্কার কাজ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যাকর্ড। গত বছরের ২৭ অক্টোবর নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে অ্যাকর্ডের অংশীদারদের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়। তবে জোটের অনেক অংশীদার এখনও এতে সই করেনি। ২০০ ব্র্যান্ডের মধ্যে ১৪০টি ব্র্যান্ড মেয়াদ বাড়াতে সম্মত। জোটের দাবি, এতেই ১২০০ কারখানায় বর্ধিত মেয়াদে কার্যক্রম চালানো সম্ভব হবে। তবে দ্বিতীয় মেয়াদে কাজ চালিয়ে নিতে সরকারের সঙ্গে নতুন করে চুক্তি করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সরকারের সঙ্গে এ ধরনের কোনো চুক্তি হয়নি।
এদিকে অ্যাকর্ডের কার্যক্রম নিয়ে অস্বস্তিতে আছে বিজিএমইএ। সরকারের কাছে তাদের কার্যক্রম নিয়ে কয়েক দফা অভিযোগও করেছেন সংগঠনের নেতারা। অ্যাকর্ডের অতিরিক্ত সময় কিছুতেই চান না তারা। বিজিএমইএর সহসভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, মেয়াদ বাড়ানোর প্রশ্নই আসে না। বরং সরকার গঠিত রিমিডিয়েশন কোঅর্ডিনেশন সেলে (আরসিসি) তারা কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। অ্যাকর্ডের প্রয়োজনীয়তা আর নেই।
আরকে//
আরও পড়ুন