ঢাকা, শুক্রবার   ১১ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

গোল্ডেন বুট দখলের পথে রোনালদো

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:১৩, ২১ জুন ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

মাত্র দুই ম্যাচেই গোল করেছেন ৪টি। সামনে নিশ্চিত ম্যাচ আছে আরও দুটো। এক বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ডটা কি ছুঁয়ে ফেলবেন সি আর সেভেন? সে প্রশ্ন দূরের। তবে কাছের যা আছে, তা হলো এবারের গোল্ডেন বুটটা কি তাহলে রোনালদোর মুকুটেই উঠছে? অন্তত প্রথম দুই ম্যাচের রোনালদোর পারফরমেন্স তাই বলে।

গতকাল মরক্কোর বিপক্ষে খেলা শুরুর আগে স্টেডিয়ামের জায়ান্ট স্ক্রিনে ভেসে উঠল পরিসংখ্যানটা। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে হাঙ্গেরির (স্পেনের হয়ে খেললেও কোনও গোল করেননি) ফেরেঙ্ক পুসকাস ইউরোপে সব চেয়ে বেশি গোল করেছেন। তাঁর গোলের সংখ্যা ৮৪। এ বারের বিশ্বকাপে স্পেনের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিকের সুবাদে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ছুঁয়ে ফেলেছেন কিংবদন্তি সেই পুসকাসকে।

বুধবার মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে মরক্কোর বিরুদ্ধে মাঠে নেমে সেই পুসকাসকে টপকাতে রোনাদোর লাগল মাত্র চার মিনিট। পর্তুগালের হয়ে ১৫২ ম্যাচে ৮৫ গোল করে নতুন রেকর্ড গড়েছেন সিআর সেভেন। এদিকে চার গোল করে নিজেকে ক্রমশ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সোনার বুট জেতার লক্ষ্যেও। মেসি, নেইমার-রা যখন এ বারের বিশ্বকাপে গোল খুঁজছেন, তখন রোনালদোর নামের পাশে চার গোল।

বিশ্বকাপের প্রথম সপ্তাহে এ পর্যন্ত নায়ক রোনালদো-ই। গতি, ড্রিবল, স্পট জাম্প, সাহস, শুটিং— এক জন স্ট্রাইকারের যে গুণ থাকা দরকার, তার সব ক’টাই রয়েছে রোনালদোর ঝুলিতে। এর সঙ্গে যোগ হবে আগাম গোলের গন্ধ পাওয়ার ব্যাপারটাও। মাঠে বসে দেখছিলাম, এ দিন বের্নার্দো সিলভার শর্ট কর্নার থেকে জোয়াও মোতিনহো যখন বলটা মরক্কো বক্সে ভাসিয়ে দিচ্ছেন, তখন রোনালদো বক্সের মাথায় দাঁড়িয়ে। বলটা দেখেই বিপক্ষ কিছু বোঝার আগে ঠিক জায়গায় চলে গিয়েছিলেন রোনালদো। মরক্কোর মিডফিল্ডার করিম আল আহমদি বল বিপন্মুক্ত করতে পা চালিয়েছিলেন। রোনাল্ডো চোট লাগার আশঙ্কা উপেক্ষা করেই হেডে গোলটা করে গেলেন। সবার অলক্ষ্যে দ্রুত বলের কাছে পৌঁছনো, বলটা লক্ষ্য করা এবং নিখুঁত সময়জ্ঞান— এগুলোই চিনিয়ে দেয় রোনাল্ডোকে।

তবে চার মিনিটে এই গোলটার পরে বাকি সময়টা কলকাতা ময়দানে আমার কোচ করিম বেন শরিফার দেশের। গোল খাওয়ার পরেই প্রবল ভাবে ম্যাচে ফিরেছিল মরক্কো। দুই অর্ধ মিলিয়ে প্রায় পাঁচটি গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল হার্ভ রেনার্ডের দল। তফাত এটাই, পর্তুগালের রোনাল্ডো ছিল। মরক্কোর সে রকম ‘ফিনিশার’ ছিলেন না। আর দ্বিতীয় ব্যাপার, পর্তুগিজ গোলকিপার রুই প্যাত্রিসিয়ো। তিনিই ব্যর্থ করেন মরক্কোর গোলের প্রচেষ্টা। দ্বিতীয়ার্ধে যে রকম পাসিং ও প্রেসিং ফুটবল খেললেন ইউনেস বেলহান্দা, নৌরেদ্দিন আমরাবাতরা, তা বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের দিনেও মরক্কোর মাথা উঁচুই রাখল।

এমজে/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি