গ্রন্থমেলায় সাংবাদিক কমলেশ রায়ের সায়েন্স ফিকশন `মানুষখানা`
প্রকাশিত : ১২:১৬, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | আপডেট: ১২:২৯, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
অমর একুশে বইমেলায় এসেছে সাংবাদিক কমলেশ রায়ের সায়েন্স ফিকশন 'মানুষখানা'। বইটি প্রকাশ করেছে পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স। বইমেলায় ১৩ নম্বর প্যাভিলিয়নে বইটি পাওয়া যাচ্ছে। আর প্রচ্ছদ এঁকেছেন প্রসূন হালদার। বইটির মূল্য ধরা হয়েছে দুইশত টাকা।
বইটির গল্পে হঠাৎ করেই পৃথিবীর আকাশ থেকে হারিয়ে যায় একটি বিমান। শতাধিক যাত্রীর এই বিমানে সাতটি মহাদেশের মানুষই ছিলেন। এতগুলো মানুষের। এভাবে হারিয়ে যাওয়ার বিষয়টি শুধু রহস্যজনকই নয়, বরং আতঙ্কজনক। সারা পৃথিবী তোলপাড় করেও বিমানটির আর কোনো খোঁজ পাওয়া গেল না। কোথায় গেল সেই বিমান? কী রহস্য লুকিয়ে আছে এই হারানো বিমানের আড়ালে?
চেনাজানা আমাদের এই পৃথিবীর বাইরে কল্পনার এক অন্য জগতের নাম বিজ্ঞান কল্পকাহিনির জগৎ। সেই জগতের কিছু ঘটনা ও ঘটনার আড়ালে থাকা অজানা বিষয় নিয়ে কমলেশ রায়ের কিশোর বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির সংকলন মানুষখানা।
বইটিতে রয়েছে পাঁচটি কল্পকহিনি। মানুষখানা, সুন্দর কীট সুন্দর পতঙ্গ, ফিবোট কথা বলা বট ও টিকা । সব বয়সি পাঠককেই ভাবাবে বৈচিত্র্যে ভরা এই গল্পগুলো। বিজ্ঞান কল্পকাহিনি মানেই আনন্দময় পাঠের আয়োজন।
বিজ্ঞানের ডানায় চড়ে কল্পনার ভুবনে ভ্রমণ। এই বইয়ের প্রতিটি কল্পগল্পের পরতে পরতে রয়েছে রোমাঞ্চ, রহস্য ও উত্তেজনা। পাতায় পাতায় চমকে যাওয়া অনুভূতি।
কমলেশ রায় কল্পবিজ্ঞান কাহিনি লিখেন ঠাস বুনটে। সায়েন্স ফিকশন যারা ভালোবাসেন তারা বইটিকে অনায়াসে রাখতে পারেন পছন্দের তালিকায়। রকমারি, পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্সসহ বিভিন্ন অনলাইন বুকশপেও পাওয়া যাচ্ছে মানুষখানা বইটি।
এছাড়াও কমলেশ রায়ের এর আগে পঞ্চক, কাঞ্চনবন, মানুফিন, সাত রহস্যে টিকু পিকু, গল্পে গল্পে মুক্তিযুদ্ধ, গল্পের গাড়ি, অসীম আলো, নবীন মেঘের দল, রাঙ্গা কাকা, সহ আরও অনেক বই প্রকাশিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ফরিদপুর জেলার কৃতি সন্তান সাংবাদিক কমলেশ রায় ১৯৭৪ সালের ১ ডিসেম্বর কালীপদ রায়-দীপালি রায় দম্পতির ঘর আলোকিত করে পৃথিবীতে আসেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষাজীবন শেষ করে সাহিত্য চর্চা করেছেন দীর্ঘদিন। দৈনিক সংবাদ দিয়ে শুরু করেন সাংবাদিকতা পেশা। এরপর তিনি যুগান্তরে যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে সকালের খবরে যোগদান করেন। এখানেও নিজের কর্মদক্ষতায় পত্রিকাটির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের দায়িত্ব পান। বর্তমানে তিনি সময়ের আলোর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এমএম//
আরও পড়ুন