গ্রামীনফোন ও রবি’র লাইসেন্স বাতিলের নোটিশ
প্রকাশিত : ২১:১৫, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ২২:৫০, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯
বকেয়া পরিশোধ না করায় গ্রামীনফোন ও রবি অপারেটরে অনাপত্তিপত্র বাতিল করা হবে। এমন সিদ্ধান্তের কথাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান জহুরুল হক।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০১ এর ৪৬(২) ধারা মোতাবেক মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবির টু জি ও থ্রি জি সেবার লাইসেন্স কেন বাতিল করা হবে না, আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তা জানাতে বলা হয়েছে, নোটিসে এমনটি জানান বিটিআরসি’র চেয়াম্যান। তিনি বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নোটিসের জবাব না দিলে বা পাওনা টাকা পরিশোধ না করলে পরবর্তী পদক্ষেপ বিষয়ে সোয়া ১২ কোটি গ্রাহকের এই দুই অপারেটরে প্রশাসক নিয়োগের মত পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।’
ব্যান্ডউইথ কমিয়ে দেওয়া ভুল সিদ্ধান্ত ছিল কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘কোনো ভুল সিদ্ধান্ত ছিল না। এর চেয়ে বড় ধরনের উদ্যোগে যাচ্ছি আমরা।’
তিনি জানান, দুই অপারেটরের ব্যান্ডউইথ কমানোর যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল তা জনদুর্ভোগ লাঘবে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশে প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে।
বিটিআরসির দাবি, গ্রামীণফোনের কাছে নিরীক্ষা আপত্তির দাবির ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং রবির কাছে ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে তাদের।
এপদক্ষেপের প্রভাব সম্পর্কে জানতে চাইলে বিটিআরসি মহাপরিচালক (স্পেকট্রাম) একেএম শহীদুজ্জামান বলেন, ‘এনওসি বন্ধ হলে কোম্পানিগুলো টেলিকম সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি আমদানি এবং বিটিএস (বেস ট্রানসিভার স্টেশন) স্থাপন ও মেরামত করতে পারবে না। সেই সাথে তারা আর নতুন কোনো প্যাকেজের অনুমতি পাবে না।’
গ্রামীণফোন ও রবির নিরীক্ষা আপত্তির বিষয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান জানান, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী এ নিরীক্ষা করা হয়েছে। পাওনা আদায়ে তাদের একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। ব্যান্ডউইথ সীমিত করার সিদ্ধান্ত বুধবার রাত থেকে প্রত্যাহার করা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এমএস/এসি
আরও পড়ুন