গ্রিসের মন্দিরগুলোর পেছনের রহস্য
প্রকাশিত : ১৮:০২, ৫ অক্টোবর ২০১৭ | আপডেট: ১৩:৫২, ৬ অক্টোবর ২০১৭
প্রাচীন গ্রিসের মন্দিরগুলো রহস্যের ঘেরাটোপে আবদ্ধ। গবেষণায় দেখা গছেে যে, প্রাচীন গ্রিক মন্দিরগুলি নির্মাণের ক্ষেত্রে জ্যোতির্বিজ্ঞানমূলক অভিপ্রায় থাকতে পারে। কিন্তু কীভাবে সম্ভব!
পরিস্কার সায় এথেন্সের ফিলোপাপ্পো পর্বতের টালি পাথরের রাস্তাটা দেখলে অবাক না হয়ে পারা যায় না। অবাক দৃষ্টিতে তাকাতে তাকাতে মনে অবশ্যই প্রশ্ন জাগবে, ওখানকার তারাগুলো কেন এত বেশি ঝলমল করছে?
এর উত্তর হতে পারে, প্রাচীন গ্রীসের বাসিন্দারা খুবই বুদ্ধিমান ছিল। তারা জানতো কোথায় তাদের পবিত্র স্থানগুলো কোথায় নির্মাণ করতে হবে। এই স্থানগুলি আমাদের চেয়ে অনেক মহান কিছু নির্দেশ করে। জোতিবিদ্যা সম্পর্কে উৎসাহিত অনেকেই বিশ্বাস করেন যে, পৃথিবীর বসতি অংশ ও আকাশের গ্রহগুলোকে শ্রেণীবদ্ধ করতে গ্রিক মন্দিরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে।
মনোলো ফার্নান্দেজ নামের একজন স্পেনিস ভাষা শিক্ষক বলেছেন যে, গ্রিকের মন্দিরগুলো এলোপাতারি নয়। দেখা যায় যে, সনিওনের পসেইডন মন্দির এথেন্সের হেপাস্থেইন মন্দির, এগিনার আফায়া এথেনিয়া মন্দিরের সঙ্গে একটি সমদ্বিবাহু ত্রিভুজ গঠন করেছে। দেলফির এপোলো, এগিনার আফাইয়া এবং পার্থেনন মিলেও সমদ্বিবাহু ত্রিভুজ গঠন করেছে।
ত্রিভূজগুলি পৃথিবীর পৃষ্ঠের সঙ্গে সম্পর্কিত সূর্য, চাঁদ বা গ্রহ এবং নক্ষত্রগুলির বিভিন্ন স্বর্গীয় সংস্থাগুলির আন্দোলনকে প্রতিফলিত করে। সূর্যের মত মহাজাগতিক বস্তুর বিভিন্ন কর্মকান্ডের ফলেই এই ত্রিভূজগুলো সৃষ্টি হয়েছে। চাঁদ, গ্রহ ও তারা পৃথিবী পৃষ্ঠের সঙ্গে সম্পর্কিত।
টেলিস্কোপের মধ্য দিয়ে চাঁদ, শনি, মঙ্গল এবং বিভিন্ন নক্ষত্রপুঞ্জ দেখে তিনি দৃঢ় বিশ্বাস হয় যে, পৃথিবীর আদি অংশকে আকাশে গ্রহের সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য গ্রীকদের মন্দিরগুলি নির্মিত হয়েছিল।
গ্রীসে ত্রিভূজীয় ধারণা নতুন কিছু নয়, এটি পবিত্র ভূগোলের একটি উদাহরণ। ধর্মীয় স্থাপনাগুলো জ্যোতিবিদ্যা বা পুরাণ অনুযায়ী অবস্থিত ছিল। ষাটের দশকে ফ্রান্সের ইউনিভার্সিটি অব নাইস সোফিয়া এন্টি পোলিসরে সাহিত্যরে অধ্যাপক জেন রিচার এটাকে ‘মহান নকশা’ বলে অবহিত করেন। তিনি মনে করতেন যে, রাশিচক্রের ১২টি লক্ষণকে প্রতিফলিত করে গ্রিসকে ১২টি সেক্টরে ভাগ করা যাবে।
পবিত্র ভূগোল সম্পর্কিত লিচারের এই তত্ত¡টি প্রচলিত বিজ্ঞানের কাছ থেকে যথাযথ মূল্যয়ন পায়নি কারণ এগুলো কখনো প্রমান করা যায়নি।
**বিবিসি থেকে ভাষান্তর করেছেন মাহবুবুর রহমান।
//এআর