ঘরবাড়ি ছেড়ে ঘুমধুম সীমান্তে ২০ হাজার রোহিঙ্গা
প্রকাশিত : ২০:৪২, ২৭ আগস্ট ২০১৭
মিয়ানমারে সৃষ্ট অস্থিরতায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তের জিরো পয়েন্টে অস্থায়ী শিবির স্থাপন করেছে রোহিঙ্গারা। শিবিরে এ পর্যন্ত ২০ হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মিয়ানমারের অভ্যন্তরে থেমে থেমে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রচণ্ড গুলিবর্ষণের শব্দ শোনা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১টার দিকে ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে টেকিবুনিয়ায় মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার চক্কর দেয়। এছাড়া প্রচণ্ড গুলিবর্ষণের ফলে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মুসলিমরা গ্রাম ছেড়ে ধেয়ে আসছে বাংলাদেশের দিকে। সীমান্তে এসব পরিস্থিতি স্বচক্ষে দেখতে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন রোববার এসব সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
গত শুক্রবার থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সৃষ্ট সহিংসতার ঘটনার এখানকার বসবাসকারী লোকজনের মাঝে অজানা এক আতঙ্ক বিরাজ করছে। সীমান্তের কাছাকাছি ঘরবাড়ি ছেড়ে লোকজন জড়ো হচ্ছে ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তের জিরো পয়েন্টে। অন্যদিকে বিজিবির পক্ষ থেকে জিরো পয়েন্টে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
অস্থিরতার বিবরণ দিয়ে স্থানীয়ারা জানান, গত তিন দিনের সহিংসতায় মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী ও রোহিঙ্গা আল-ইয়াকিন গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনায় ৮৯ জন লোক নিহত হন। এদের মধ্য ১১ জন দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য বলে দাবি করেছে মিয়ানমার সরকার। বাকি ৭৮ জন রোহিঙ্গা। এরপর থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
মিয়ানমারের টেকিবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা আবুল কালাম জানান, রাখাইন রাজ্যে সেনা ও রাখাইনদের নির্যাতনের কারণে ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করার জন্য অন্তত ২০ হাজারের অধিক রোহিঙ্গা অস্থায়ী শিবির স্থাপন করে অবস্থান করছে।
ঘুমধমু জলপাইতলি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে অভ্যন্তরে চলে আসা রোহিঙ্গা জয়নাল আবেদীন (৩৩) বলেন, শনিবার দুপুরে অতর্কিতভাবে তাদের বাড়ি-ঘর লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে তারা বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসে। সাথে তার স্ত্রী ছৈয়দা খাতুন (২৯) ছেলে হাসান (৭), ইছা (৫), মেয়ে মাহিদাকে (২) নিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে।
আরকে/ডব্লিউএন
আরও পড়ুন